তখন তার গাড়িতে থাকা প্যাসেঞ্জারদের কাছে অনুমতি নিয়ে সে ফোনটা রিসিভ করলো। ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে তার মেয়ের গলা শুনতে পেলো। হ্যালো বলতেই নসু মিয়ার মেয়ে জিজ্ঞেস করল বাবা তুমি কেমন আছো। মেয়ের গলা শুনে নসু মিয়ার মুখটা আনন্দে ঝলমল করে উঠলো। সে বলল আমি ভালো আছি গো আম্মা তুমি কেমন আছো। মেয়ে বললো আমি বেশি ভালো নাই বাবা। তখন নসু মিয়া মেয়েকে জিজ্ঞেস করে কেনো গো মা কি হইছে? মেয়ে বলে আর কয়দিন পর ঈদ আমার সব বান্ধবিরা জামা কাপড় কিন্যা ফালাইছে। আর আমি অহনো কিনতে পারলাম না।
তখন নসু মিয়া তার মেয়েকে বলে তুমি কোন চিন্তা কইরো না গো মা। আমি আসার সময় তোমার লাইগা সুন্দর লাল টুকটুকে জামা নিয়া আইবো। এই কথা শুনে তার মেয়ে খুশি হয়ে যায়। এদিকে তার অটোতে বসে থাকা প্যাসেঞ্জাররা তাকে তাড়া দিতে থাকে। নসু মিয়া তখন তার মেয়েকে বলে মাগো আমি এখন গাড়ি চালাইতাছি। গাড়িতে প্যাসেঞ্জার আছে। প্যাসেঞ্জার নামায় দিয়া তোমার লগে কথা কমুনে। তার মেয়ে বলে আচ্ছা বাবা তারপর নসু মিয়া ফোন রেখে দেয়। ফোন রেখেদিয়ে নশু মিয়া আবার গাড়ি চালানোতে মন দেয়।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
প্রতিটা বাবার কাছে তার মেয়ে রাজকন্যা। মেয়ের আবদার পূরণের জন্য বাবা সবকিছুই করতে পারে। আপনি চমৎকারভাবে একটি ধারাবাহিক গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করতেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি ধারাবাহিক গল্প শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit