পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি।
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ, অনেক ভালো আছি। তবে পরিবারের কেউ ভালো নেই। তারপরেও প্রতিদিনের মতো আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম আজকে আমি আপনাদের সাথে সবাই অসুস্থ হয়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে ব্লগ লিখবো। চলুন আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
আমাদের শরীর বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, এবং বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেয়। হটাৎ বাইরের তাপমাত্রা কমে গেলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়, ফলে জীবাণুর সংক্রমণের আশংকা বাড়তে থাকে। শরীর চেষ্টা করে নিজের তাপমাত্রা বাড়িয়ে এই অবস্থাটা কাটিয়ে ওঠার। আমারা জানি অনেক সময় আমাদের প্রচুর ঠান্ডা লাগলেও শরীর গরম থাকে। কারণ আমাদের শরীর নিজেকে এ পরিস্থিতিতে রক্ষা করার চেষ্টা করে।
ইদানিং হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলেনানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আবহাওয়া না শীত না গরম এরকম অনুভব হচ্ছে। হঠাৎ প্রচুর গরম লাগছে আবার হঠাৎ ঠান্ডা লাগছে। এ পরিস্থিতিতে ফ্যান চালিয়ে রাখার কারণে আমার মেয়ে এবং আমার হাজবেন্ডের জ্বর ঠান্ডা কাশি হয়ে যায়। আমার প্রচুর গরম লাগার কারণে তাদের জন্য ফ্যান ছাড়তে পারছি না। আবার তারাও ফ্যান ছাড়লে ঘুমাতে পারছে না। এটার কারণ হচ্ছে হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার কারণে, শরীর তার নিজের ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছে। কেননা কেউ যদি আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রতিকূল অবস্থায় নিজেকে টিকিয়ে রাখতে না পারে তাহলে তার বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেই। বিশেষ করে আবহাওয়া পরিবর্তন হলে হঠাৎ জ্বর দেখা দেয়।পৃথিবীর প্রায় সব দেশই এ সমস্যাতে সবাই ভুগে।
হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে আবার কমে গেলে আমাদের শরীরে (এন্ডোট্রক্সিন )নামক বিষাক্ত পদার্থ নিঃসৃত হয়ে শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে জ্বর উঠে যাবে। আর সেই জীবাণু যদি শ্বাসনালী বা ফুসফুসে সংক্রমণ করে তো কাশি হবে। সেম সেম আমার মেয়েরও এরকমটাই হয়েছে। তার জ্বরের পাশাপাশি ঠান্ডা ও কাশি লেগে গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে, জানা যায় যে, এই জ্বর বা কাশি কিন্তু ৩-৪দিনের মধ্যেই নিজে থেকেই সেরে যাবে, শরীর প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলে সংক্রমণকে দূর করবে। এর জন্য ডাক্তার দেখানোর দরকার নেই। জ্বর ১০১°ফারেনহাইট এর ওপর গেলে শুধু জ্বরের যেকোনো প্যারাসিটামল বা নাপা খেলেই হবে। শরীর বাকি কাজ নিজের মতন করবে, জীবাণু প্রতিরোধ করবে।
তবে শিশুদের বেলায় হঠাৎ জ্বর উঠলে তাকে তো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া খুবই জরুরী। শিশুরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে না। শরীরে এমনিতেই দুর্বল থাকে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুকে ওষুধ খাওয়াতে হয়।
গত তিন দিন ধরে আমার মেয়ে খুবই অসুস্থ। হঠাৎ আবহাওয়া এরকম হওয়ায় তার জ্বর উঠে যায়। কিছুদিন শরীরটা আলহামদুলিল্লাহ আমার মেয়ের ভালো ছিল। তবে হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনে তার শরীর আবারও খারাপ হয়ে যায় তিনরাত্র ধরে আমি ঘুমাতে পারি না। খুবই জ্বালাতন করে। বড়দের জ্বর উঠলে শরীর যেভাবে নুয়ে যায়। রামিসা ঠিক তেমনি একেবারে বিছানায় শুয়ে গিয়েছে। খাওয়া ঘুম সবকিছুই যেন চলে গিয়েছে। শুধুই কান্নাকাটি করছে। তিন দিন যাবত ব্রোডিল ও নাপা খাওয়াচ্ছি কোন উন্নতি হচ্ছে না। আমার মেয়ের আবার শরীর অসুস্থ হলে হোমিওপ্যাথিক খাতাম। তবে কিছুদিন যাবত তাকে এন্টিবায়োটিক না খাওয়ালে শরীর ভালো হয় না।
অন্যদিকে আমার হাজব্যান্ড ও অসুস্থ। তিনি গতকাল অফিসে গিয়ে আবার ফিরে এসেছেন। তিনার শরীরে এত জ্বর ছিল যে, বাসায় এসে ক্লান্ত শরীর নিয়ে ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তারপর বিকাল পাঁচটায় ওঠে দুপুরের খাবার খেয়ে আবার ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। অন্যদিকে আমার আম্মু ও আমার শাশুড়ি আম্মুর ও একই অবস্থা আমাকে বাসায় যেতে বলতেছে। আমার শাশুড়ির ও হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তন হলে জ্বর উঠে যায়। তিনিও আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন না। এখন আমি পড়েছি মহা বিপদে। আমারও শরীরে হালকা জ্বর রয়েছে। তবে আমার এই ক্লান্তি কাউকে বুঝাতে পারিনা। মেয়ে অসুস্থ স্বামী অসুস্থ , আমিও কিছুটা অসুস্থ হলেও আমার কোন ছুটি নেই।
যাই হোক বন্ধুরা। আজ আর কথা বাড়াচ্ছি না। এখানেই শেষ করছি আমার আজকের ব্লগ। পরিবারের সবাই অসুস্থ, তাই সবার জন্য আপনাদের কাছে দোয়া চাই। আপনারা সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন এই দোয়া করি। সবার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
![image.png](
হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনে আপনার পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে, জেনে বেশ খারাপ লাগলো। গত কয়েক দিন ধরে আবহাওয়া টা তেমন বোঝা যাচ্ছে না। তবে আমাদের কে এই সময়ে সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে। আপনার পরিবারের সবার জন্য দোয়া রইল। আশা করছি তারা খুবই তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে। নইলে কখন যে কোন অসুস্থ তাই পড়া যাবেন বলা যায় না। দোয়া করবেন ভাইয়া ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এখন আপু সাবধানে থাকতে হবে যেহেতু ঘরে ছোট বাচ্চা আছে তাই। সিজনের অসুখ গুলো প্রায় সময় হয়ে থাকে সবার। আসলে আমরা যত সাবধানে থাকি না কেন সিজনাল অসুখ গুলো এমনিতে হয়ে যাই আবহাওয়ার কারণে। সবার সুস্থতা কামনা করছি। আশা করি খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু এই সিজনে সবাই কম বেশি অসুস্থ হয়ে পরে যায়। স্বামী মেয়ে এবং আমি সবাই অসুস্থ। দোয়া করবেন আপু। আপনাদের জন্য দোয়া রইল। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Done
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Done
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit