পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি-
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। কয়েকদিন যাবত খুবই ব্যস্ততার মাধ্যমে যাচ্ছে। আজকে সবাই মিলে ঘরের আনুষাঙ্গিক কিছু কাজ করার অনুভূতি শেয়ার করবো।
বন্ধুরা আপনাদের সাথে আমি শেয়ার করেছিলাম যে কিছুদিন আগে আমার দেবর বিদেশ থেকে এসেছে। বিদেশ থেকে আসার পরে আগামী বৃহস্পতিবারে আমার মামাতো শ্বশুরের মেয়ের সাথে আমার দেবরের বিয়ে ঠিক হয়েছে। হঠাৎ করেই বিয়েটা ঠিক হয়েছে। যার কারণে কারো তেমন কোন প্রস্তুতি ছিল না। যেহেতু বৃহস্পতিবারে বিয়ে বাড়িতে অনেক মেহমান আসবে। সেজন্য আমি চিন্তা করলাম আমাদের ঘরের ফার্নিচার গুলো কিছুটা পরিষ্কার করা দরকার।
সেজন্য আমি প্রথমে আমার শ্বশুর এবং আমার দেবরের মাধ্যমে খাটের জাজিম সহ তুসোক গুলো ছাদের উপরে রোদের মধ্যে দিলাম। তারপর আমি সমস্ত ঘরের প্রত্যেকটা রুমের মাকড়সা গুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিলাম। এই কাজগুলো আমি মঙ্গলবারে দিনের বেলা করেছিলাম। মঙ্গলবারে আমাদের দিকে প্রচুর রোদ উঠেছিল। আরেকটি কথা বলে রাখি আমাদের উচিত প্রতি একমাস পর পর আমাদের ব্যবহৃত জাজিম তোষক বালিশ সবগুলো রোদের মধ্যে শুকিয়ে নেওয়া। তা না হলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু জন্ম নিতে পারে। আমি যখন ঢাকা থেকে বাড়িতে আসি, তখন আমি বিশেষ করে এই কাজগুলো করার চেষ্টা করি। আমরা যখন ঢাকাতে থাকি তখন আমার হাজব্যান্ড প্রতি সপ্তাহে এই কাজগুলো করে থাকে।
গতকাল আমার সাথে আমার ছোট দেবর সহ আমার শ্বশুর অনেক হেল্প করেছে। তারা খাট সোফা এগুলো পরিষ্কার করেছে। আমি সোফার কভারগুলো ধুয়েছিলাম। অর্থাৎ সবাই মিলে আমরা সবগুলো রুম ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিলাম। বিয়ের উসিলায় আমাদের ঘরটা নতুন ভাবে পরিষ্কার হয়ে গেল। আসলে সবাই মিলে যখন কোন কাজ করা হয় তাহলে খুবই ভালো লাগে।
গতকাল সবাই আনন্দে আনন্দে কাজ করেছে। যদি গতকাল এই কাজগুলো না করা হতো তাহলে আর সম্ভব ছিল না। কারণ গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে আমাদের দিকে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। এমনকি ঝড় তুফান হয়েছে। আমি শুনেছি বিভিন্ন জায়গায় ঝড়ে গাছপালা পরে গিয়েছে। আর আজকে রোদের তাপ খুবই কম ছিল। আমাদের বাসার ছাদ ও শুকায় নাই। আজকে মনে মনে চিন্তা করতেছি গতকাল কাজগুলো করে ভালোই হয়েছে।
আজকে দুপুরের পর থেকেই আমাদের বাসায় বিভিন্ন মেহমান আসতে লাগলো। প্রথমে আমার ফুফু শাশুড়িরা আসতে লাগলো। তারপরে একে একে সবাই এসে হাজির হয়ে গেছে। আজকে সারাদিনও আমি অনেক ব্যস্ত ছিলাম। যার ফলে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে, এখন বসে ব্লগটি লিখলাম। এখন কয়েকদিন খুবই ব্যস্ততার মধ্যে অতিক্রম হবে। যতদিন পর্যন্ত ঢাকা যেতে না পারবো, ততদিন আর ফ্রি হওয়া সম্ভব না। কারণ আপনারা সবাই জানেন বাড়িতে কোন অনুষ্ঠান হলে বিশেষ করে আমাদের মহিলাদের অনেক কাজকর্ম করতে হয়। আমাদের সময় গুলো অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে অতিক্রম হয়। যাইহোক আশা করি দুই একদিনের মধ্যে সব ঝামেলা শেষ হয়ে যাবে।
তো বন্ধুরা অনেক কথা শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে। আশা করি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের সবার কাছেই ভালো লাগবে। আবার আগামীকাল আপনাদের সবার সাথে দেখা হবে, ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | সবাই মিলে ঘরের কাজ করার অনুভূতি ।। |
স্থান | কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৫-১১-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
ঘরের সব কিছু রেডি করার সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ঠিক এমনই অনেক অনুভূতি আমাদের সবার জীবনে কমবেশি রয়েছে। অনেক ভালো লাগলো ব্যতিক্রমধর্মী একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit