পরম করুনাময় অসীম দয়ালু, মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করছি-
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি,আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ছোট ভাইকে কবুতর কিনে দেওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো।
বন্ধুরা অপনারা সবাই জানেন যে জুলাই মাসের শেষের দিকে আমাদের দেশে বড় ধরনের একটি জামেলা হয়েছিল। এমনকি কারফিউ দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছে। ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশের যানবহন বন্ধ ছিল। আমি কোরবানীর ঈদের পরে সিলেট আমার আপুর বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে এক মাস থেকে আমার বড় ভাগনীকে সাথে নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে আটকা পড়েছিলাম। মানে গাড়ি না চলার কারনে ঢাকা আসতে পারছিলাম। আমার হাসবেন্ডও জুলাই মাসের ১৬ তারিখ ব্রাহ্মাণবাড়িয়া গিয়ে আটকে পড়েছিল। মানে আমরা দুইজনই আমাদের বাড়িতে আটকে গেছিলাম। সেই দিন গুলোর কথা মনে হলে আজও কেমন যেন লাগে।
আমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট ভাইয়ের নাম হলো উবাইদুল্লাহ। পশু পাখি পালন করা আমার যেমন শখ ঠিক তেমনি আমার ছোট ভাই উবাইদুল্লাহর সেই শকটা রয়েছে। আমি বিয়ের আগে কোয়েল পাখি পালন করেছি, ময়না পাখি, কবুতর পালন করেছি, খরগোশ পালন করেছি, একুরিয়ামে মাছ পালন করেছি। তবে আমার বিয়ের পরে সব কিছু আমাদের বাড়ি থেকে বিদায় নিয়েছে। তবে কয়েক মাস আগে আমার ছোট ভাই উবাইদুল্লাহ দুইটি কবুতর কিনে এনে পালন করা শুরু করে। আমি বাড়িতে গিয়ে দেখেছি পাখির ডাকে আমাদরে বাড়িটা আবার মুখরিত হয়ে উঠেছে। কবুতর গুলো খুব সুন্দর ভাবেই ডাকে।
দুঃখের বিষয় হলো কয়েকদিন পরে শুধু একটি কবুতরকে উড়তে দেখা যায়। আর একটি কবুতর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। কবুতর গুলো তেমন বড় না। বাচ্ছা থেকে বড় কবুতর হওয়ার পথে। কবুতর পাওয়া যাচ্ছে না, যে পাওয়া যাচ্ছেই না। অনেক খোজাখুঁজি করেও একটি কবুতর পাওয়া যায়নি। যার ফলে দ্বিতীয় কবুতরটি খাঁচার মধ্যে বন্দি করে রাখলো। একটি কবুতর হারিয়ে গেছে না কি কেউ ধরে নিয়ে গিয়ে সেটা সিউর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। এখন একটি কবুতর দেখতে কেমন লাগে...। আর একটি করে কবুতর পালন করাও যায় না। সঙ্গি বিহীন দ্বিতীয় কবুতরটি কেমন ঝিমেয়ে গেছে। যার ফলে আমি নিজে থেকেই সিদ্ধান্ত নিলাম যে, আমার ছোট ভাইকে আমি দুইটি কবুতর কিনে দিবো। একটি কবুতর চলে গেছে তো কি হয়েছে। আবার নতুন করে দুটি কবুতর হলে ভালো হয়।
তো আমি যেইদিন ঢাকা চলে আসবো মানে ২৫শে জুলাই। আমি টাকা দেওয়ার পরে উবাইদুল্লাহ এই দুইটি কবুতরের বাচ্ছা কিনে এনেছে। খাঁচার উপরে যে কবুতর জোড়া দেখা যায়, সেগুলো আমি কিনে দিয়েছি। আর খাঁচার ভিতরের কবুতরটা উবাইদুল্লাহর নিজের টাকায় কেনা। উবাইদুল্লাহ কবুতর গুলো খাঁচার উপরে রাখার পরে আমি দুইটি ফটোগ্রাফি করে চলে এসেছি। এখন ফোন করলে বলে কবুতর গুলো অনেক বড় হয়েছে, ডিম দেয়। উবাইদুল্লাহ আরো কবুতর কিনে এনেছে। আবার যখন বাড়িতে যাবো তখন আপনাদেরক সব গুলো কবুতর দেখাবো।
আসলে বাড়িতে পশু পাখি থাকা ভালো। এই কবতুর গুলো ছাদে, গাছে, উঠোনে ছোটাছুটি করলে দেখতে কত সুন্দর লাগে। শখ করে কেউ খেতে চাউল দেয়, কেউ ধান দেয়। যদিও কবুতর পালন করলে বাড়ি কিছুটা নোংরা হয়। কারন কবুতরের বিষ্টা বিভিন্ন জাগায় পড়ে থাকে। আমি যখন কবুতর পালন করতাম, তখন আমার অনেক কবুতর ছিল। কবতুরের অনেক মাংস খেয়েছি। গ্রামের বাড়িতে মানুষ গরু, ছাগল, কবুতর, হাঁস মুরগি অনেক কিছু পালন করে থাকে। এগুলো পালন করলে লাভও আছে। নিজের পালন করা হাঁস মুরগির মাংসের স্বাদই আলাদা।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | ছোট ভাইকে কবুতর কিনে দেওয়ার অনুভূতি।। |
স্থান | ভাদুঘর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৫-০৭-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব সুন্দর একটি অনুভূতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে প্রকাশ করেছেন। আপনার দারুন অনুভূতি দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে ছোট ভাইয়েরা সব সময় চাই এই সমস্ত শান্তিপ্রিয় পাখিগুলো পোষার। আর আজকে আপনি আপনার ভাইয়ের সেই আশা পূরণ করার জন্য শান্তিপ্রিয় কবুতর পাখি কিনে দিয়েছেন। এমন অনুভূতি দেখে অনেক অনেক ভালো লাগলো আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit