পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি।
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ, অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের সুখের অনুভূতি নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করবো। আশা করি আমার আজকের পোস্টটি পড়ে আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
আমাদের জীবনের সময় খুবই অল্প। এই অল্প সময়ে আমাদের অনেক কিছুর সম্মুখীন হতে হয়। আমরা যেমন দুঃখের সাথে লড়াই করি, তেমনি সুখও আমাদের মাঝে হাতছানি দিয়ে যায়। তবে আমরা চাইলে সেই দুঃখটাকে সুখ হিসাবে উপভোগ করতে পারি। আমরা যদি অল্পতে সন্তুষ্ট থাকি তাহলে আমাদের মধ্যে দুঃখ বলতে কিছু থাকবে না। তেমনি আমি আমার জীবনটাকে সেভাবেই সাজিয়ে নিয়েছি। আমি দুঃখটাকে আপন করে নিয়েছি। তাই সুখ এমনি এমনি আমার কাছে চলে আসে।
আমাদের এই ছোট সময়ের জীবনে শৈশব, কৈশোর, যৌবন পাড়ি দিয়ে একটা সময় সংসার জীবনে পা রাখতে হয়। সেই সংসারটা সুখী হওয়ার মূল মন্ত্র স্বামী স্ত্রী দুজনের উপরই থাকে। তবে এর ক্ষেত্রে বেশি অংশ নারীদের সেই মূল মন্ত্রটা জানা থাকা দরকার। আমরা নারীরা চাইলে একটা সংসারকে জাহান্নামে অর্থাৎ নরকে পরিণত করতে পারি। আবার আমরাই চাইলে একটা সংসার কে জান্নাত অর্থাৎ স্বর্গে পরিণত করতে পারি। আমাদের মনে রাখতে হবে একটি পুরুষ কখনোই নারীর মতন নরম স্বভাবের হবে না। তারা একটু রাগি প্রকৃতির হবেই। তাদের মাথা একটু গরম থাকবেই। তাই প্রত্যেক নারীরই উচিত তার স্বামীর সাথে নম্রভাবে সুন্দরভাবে কথা বলা। স্বামী যখন রাগান্বিত থাকবে তখন চুপ করে তার সবগুলো কথা শোনা নারীদের কর্তব্য। কেননা একজন স্বামী তার ওয়াইফ থেকে এগুলি আশা করে। স্বামী যখন দেখবে তাকে আপনি সম্মান করছেন ভালবাসছেন। তার প্রত্যেকটা জিনিস এই আপনি গুরুত্ব দিচ্ছেন সেও আপনাকে গুরুত্ব দিবে। ভালো লাগা মন্দ লাগার সে খেয়াল রাখবে। তার দেওয়া প্রত্যেকটা উপহার হাসিমুখে গ্রহণ করা। দেখবেন সে খুশি হয়ে আপনার জন্য অনেক কিছু করবে।
আমার বৈবাহিক জীবনের তিন বছর চলতেছে। অথচ এই তিন বছরে আমার হাজবেন্ডের সাথে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে রাগারাগি হলেও। এই বিষয়গুলো দুই মিনিট বা তিন মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়নি। আর তাছাড়া এই বিষয়গুলো রোমান্টিক ঝগড়া। হাসতে হাসতে কিছুটা সময় রাগারাগি করি। ছেলেদের সাথে কখনোই মেয়েরা যুক্তিতে পারে না। তেমন আমিও আমার হাজবেন্ডের সাথে কখনোই যুক্তি দিয়ে জিততে পারিনা। তাই মাঝে মাঝে একটু একটু রাগ করি। সেই রাগগুলো বেশিক্ষণ স্থায়িত্ব করিনা। কেননা একটু রাগকে বেশি সময় ঠাই দিলে এখানে শয়তানে এসে আপনার সংসারে আগুন লাগিয়ে দিবে। প্রিয় মানুষের সাথে যতই ঝামেলা বা যতই ঝগড়া হয় না কেনো। কখনো ঝগড়াটাকে বড় পরিসরে নেওয়া আমাদের উচিত নয়।
Time-9.00 pm Date-24-11-2024
Location- Narayangonj
গত পরশুদিন আমি আমার হাজবেন্ডের সাথে রাগ করে তিনির সাথে সকালের নাস্তা করিনি। দুপুরের খাবারও খাইনি তিনিও আমাকে ফেলে একা একা খেয়ে নিয়েছেন। আবার আমাকে বলেছেন তুমি খেয়ে নিও তিনির কথা মতো আমিও একা একাই খেয়ে নিয়েছি। তিনির সাথে আমি সরাসরি একদিন কথা না বলে শুধু এসএমএস করেছিলাম। তিনি আমার রাগ ভাঙ্গানোর কোন চেষ্টাও করেনি। তাই আমি মনে মনে আরো রাগান্বিত ছিলাম ও কষ্ট পেয়েছিলাম। তবে সন্ধ্যা বেলায় তিনি অফিস থেকে আসার সময় আমার জন্য সুন্দর একটি গোলাপ ও রজনীগন্ধার ফুলের মালা, কিছু চকলেট ও খেজুর নিয়ে এসেছেন। এগুলো পেয়ে আমার মন এমনিতেই খুশি হয়ে গেছে। আর আমার রাগ অভিমানও চলে গেছে।
আসলে রাগকে মনের ভিতর বেশিক্ষন রাখতে নেই। সংসারে রাগ অভিমান হবে এটাই স্বাভাবিক । তবে সেটা যত তারাতরি পানি হয়ে যাবে ততই ভালো। আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো দুই জনের তৃতীয় পক্ষকে না টানাই ভালো। তৃতীয় পক্ষ আসলে বিপরীত হতে পারে। তাই সবাই রাগ অভিমানকে কখনো স্থায়ী হতে দিবেন না।
বন্ধুরা আজ আর কথা বাড়াচ্ছি না। কেমন হলো আমার আজকের ব্লগটি, কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আর আমাদের সকলের জন্য দোয়া করবেন। আমরা সবাই যেন যার যার অবস্থান থেকে রবের শুকরিয়া আদায় করতে পারি। সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। এই কামনা করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
![image.png](
এভাবে আজীবন কাল ভালো থাকুন। জীবনে সত্যিই রাগ এবং অভিমানকে যদি অতিরিক্ত জায়গা দেয়া হয় তবে জীবন কখন ফুরিয়ে যাবে আর আমরা বাঁচতে পারব না বা সুখ উপলব্ধি করতে পারব না তা জানতেই পারব না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@tipu curate
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted 👌 (Mana: 1/7) Get profit votes with @tipU :)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
plz complete your puss promotion.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আপু রাগ-অভিমান মানুষকে বেশি ক্ষতি করে। তাই রাগ অভিমান বেশিক্ষণ ধরে রাখা ঠিক না। তবে এটি আপনি ঠিক বলেছেন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যে রাগ অভিমান হয় সেগুলো দুই তিন মিনিটের বেশি মনে রাখা দরকার নেই। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে আপনি রাগ করেছেন এই কারণে সন্ধ্যার সময় আপনার হাসবেন্ড আপনার জন্য ফুল এবং অন্যান্য জিনিস নিয়ে আসলো। এতে করে আপনার রাগ সব চলে গেল এবং অনেক খুশি হয়েছেন। তাই আমি মনে করি হাসিমুখে থাকলে নিজের জন্য ভালো অন্যের জন্য ভালো। সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit