পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি।
হ্যালো আমার প্রিয় বাংলা ব্লগবাসি বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায়, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ কৃপায়, ভালো আছি এবং সুস্থ আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে বেশ কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি খাবার সহ ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আমি একদিন আপনাদের সাথে একটি ব্লগ শেয়ার করেছিলাম। যে আমাদের বাসার পাশে একটি মাহফিল হয়েছিল। আমাদের দেশে জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে যারা নিহত ও আহত হয়েছে, তাদের উদ্যেশ্যে করে তাদের জন্য দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। বিশাল বড় একটি মাহফিল ছিল। আমার যদিও যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না তারপরেও হাসবেন্ডের সাথে সন্ধার পরে কিছুক্ষনের জন্য বের হয়েছিলাম। মূলত বাবুর জন্যই যাওয়া, বাসায় একা একা থাকে, তাই একটু ঘুরতে যাওয়া আর কি। তো আমার হাসবেন্ড বাবুকে কোলে নিয়ে সামনে সামনে হেটেছে আর আমি পিছনে থেকে মাঝে মাঝে কিছু ফটোগ্রফি করেছি। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালোই লেগেছে। সেই জন্য আজকে কয়েকটি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আর কয়েকটি ফটোগ্রাফি আমাদের বাড়ি থেকে ক্যাপচার করা।
এখানে প্রথমেই দেখতে পাচ্ছেন একটি কাপ দইয়ের ফটোগ্রাফি। মাহফিলে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে দেখে ফটোগ্রাফি করেছি। এই লোকটা মূল মাহফিল থেকে খানিকটা দুরে বসে এগুলো বিক্রয় করছিল। এখন এই গুলো আসলে দই কিনা সেটা আমার জানা নেই, আমার তো কিছুটা সন্দেহ হয়। বিশ টাকা প্রতি কাপ দই বিক্রয় করছে। আমি তো ভুলেও এগুলো খাওয়ার পক্ষে নেই। আর আপনাদের মতামত জানাবেন।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন একটি পটেটোফ্রাইয়ের ফটোগ্রাফি। এটাও মাহফিলের পাশে ফুটপাত থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। একটি আলু মেশিন দিয়ে কেটে বেসন দিয়ে চুবিয়ে তেল দিয়ে ভেজে ৪০ টাকা বিক্রয় করে। আচ্ছা বলেন যেখানে এক কেজি আলুর দাম ৫৫ টাকা। এক কেজিতে আট থেকে দশটা আলু হবে। আর তারা একটি আলু বিক্রয় করে চল্লিশ টাকা। ২০ টাকা হলেও মনকে বুঝিয়ে খাওয়া যায়। তাই বলে চল্লিশ টাকা....কখনো মেনে নেওয়া যায় না।
আর এটা হলো চিংড়ি ফ্রাই। আমি জানি এটার বিষয়ে আপনারা সবাই জানেন। এটাও মেলা থেকেই ক্যাপচার করেছি। এখানে ছোট বড় দুই ধরনের চিংড়ি ফ্রাই পাওয়া যায়। তিশ টাকা আর পঞ্চাশ টাকা। তবে যে তেলে ফ্রাই করা হয়, সেই তেল কয়দিনের পুরাতন সেটা কেউ জানে না। আর এটা স্বাস্থের জন্য কতটা ক্ষতিকর নিজেরাই বুঝেন। আমরা যায় বলি না কেন মানুষ কিন্তুু জমিয়ে খাচ্ছে।
এটা হলো পেয়ারা ডেকোরেশন। তৈলাক্ত পটেটোফ্রাই আর চিংড়ি ফ্রাই না খেয়ে পেয়ারা খাওয়া ভালো। এটা স্বাস্থের জন্য ভালো। আমার আব্বা আবার তৈলাক্তা জিনিষ তেমন পছন্দ করে না। তিনি ফলফ্রুট খেতে পছন্দ করে। এটা একদিন মেহমান কে দেওয়ার আগে ফটোগ্রাফিটা করেছি। পেয়ারা অবশ্য আমার খুবই প্রিয়।
এটা চাপিলা মাছ ফ্রাই। আমার আব্বা মাছ আবার কিনলে বেশি বেশি কিনে থাকে। মাঝে মাঝে অর্ধেক মাছ কাটা হলেই মাছ ফ্রাই করে বাবাকে দিতে হয়। চাপিলা মাছটা ফ্রাই করে খেতে দারুন লাগে। এটা বাবাকে একদিন ফ্রাই করে দিয়ে ফটোগ্রাফিটা নিয়েছিলাম। এটা দেশি মাছতো সবাই পছন্দ করে।
রক্ত শুন্যতা পুরনে বেদানার ভূমিকা অপরিসীম। এই ফলটা যেমন দামি তেমন উপকারি। এটা আমার খুবই প্রিয় একটি ফ্রুট। এটা বাচ্চারাও খেতে পছন্দ করে। মাঝে মাঝেই এই ফলটা আমাদের বাসায় আনা হয়। আর আমরা খুবই মজা করে খায়। দেশ গ্রামের বিভিন্ন বাড়ির আঙিনাতে এই ফলের গাছটা দেখা যায়। ঐ ফলটাতে আরো বেশি ভিটামিন থাকে।
বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের উপস্থাপনা। কেমন হলো আমার ফটোগ্রাফি গুলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আবার আগামীকাল নতুন কোন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | বিভিন্ন ধরনের কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৭-১০-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
![image.png](
নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামানোর জন্য দোয়া মাহফিলে আয়োজন করেছে ঠিকই কিন্তু সেখানে দেখছি বিভিন্ন খাবারের পয়সা সাজিয়ে বসেছে। যাইহোক খাবারগুলো কিন্তু বেশ লোভনীয় ছিল। বিশেষ করে চিংড়ি ভাজা গুলো দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। তাছাড়া আপনার আজকের সবগুলো ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আজকে আপনি বিভিন্ন ধরনের খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখি অনেক ভালো লাগলো। খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলেই ইচ্ছা করে খাইতে। দই আমি খুব পছন্দ করি। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিভিন্ন ধরনের খাবার এর ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু। খুব সুন্দর ভাবে খাবার গুলো গুলোর ফটোগ্রাফি করেছেন। মজাদার কয়েকটি খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। খাবারে এত সুন্দর সব ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন রকম খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলে যেন মনে পড়ে যায় যে খাবারটা অনেকদিন খাওয়া হয়নি সেটা তৈরি করি অথবা কিনে খায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনি বেশ লোভনীয় সব খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আজ আমিও বিভিন্ন খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। আপনাদের সাথে আজ মিলে গেলো। আপনার ফটোগ্রাফির প্রতিটা খাবার আমার খুব পছন্দের আর দেখেই যেনো খেতে ইচ্ছে করছে। ফটোগ্ৰাফির পাশাপাশি খুব সুন্দর বর্ণনাও দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু এমন লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল জেনে ভালো লাগলো আপু। বিভিন্ন রকমের খাবারের ছবিগুলো দেখে লোভ লেগে গেলো। লোভনীয় সব খাবারের ছবিগুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চিংড়ির ফ্রাই আর চাপিলা মাছের ফ্রাই দেখে আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছি না। বারবার ওই ছবি দুটো দেখছিলাম এবং মুখে বারবার জল চলে আসছিল। আসলে প্রত্যেকটা খাবারের ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে কিন্তু আমার একটা প্রশ্ন আছে আপনারা কেন আমাদের এই খাবারের ফটোগ্রাফি দেখিয়ে লোভ দেখান। দারুন একটা পোস্ট আজ আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলে আমার কাছে অন্যরকম ভালো লাগে। আজকে আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগলো। তবে চাপিলা মাছ ফ্রাই গরম ভাত এবং গরম ডাল দিয়ে খেতে বেশ মজাই লাগে। খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit