বাড়ির ছাদে ভাইবোনদের নিয়ে চিকেন বারবিকিউ খাওয়ার অনুভূতি।।

in hive-129948 •  last month 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি

photo_2024-11-11_16-53-30.jpg

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে বাড়ির ছাদে আমার ভাইবোনদের নিয়ে চিকেন বারবিকিউ খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো।

পৃথিবীতে কত ধরনের খাবার আছে সেটা কেউ শিওর করে বলতে পারবে না। মানুষ এক জিনিস বিভিন্নভাবে খেয়ে থাকে। মাছ যেমন মানুষ তরকারি রান্না করে খাই, ঠিক তেমনি ভাবে আবার ফ্রাই করেও খেয়ে থাকে। শাকসবজি রান্না করে খাই, আবার অনেক সময় কাঁচা ও খায়। তেমনি ভাবে মুরগির মাংস মানুষ বিভিন্নভাবে রেসিপি করে খেয়ে থাকে। কিছুদিন আগে আমি আমাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আমাদের সব ভাই-বোন মিলে চিকেন বারবিকিউ করে খেয়েছিলাম।

মূলত আমার ছোট বোনের বিয়ের বিষয়ে কথা বলার জন্য আমার বড় ভাই আমাদের সবাইকে আমাদের বাড়িতে ডেকেছিলেন। তো আমি ঢাকা থেকে গিয়েছিলাম, আর আমার বড় আপু সিলেট থেকে এসেছিল। আমরা দুজনই দূর থেকে গিয়েছিলাম। বাকিরা সবাই আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভিতরেই ছিল। যেহেতু অনেকদিন পরে আমরা সব ভাই বোন একসাথে হতে যাচ্ছি সেজন্য বড় ভাইয়া আমাদের সবার জন্য ছাদের উপরে চিকেন বারবিকিউ খাওয়ার আয়োজন করলেন। যেহেতু কোনো অনুষ্ঠান ছাড়া সব ভাইবোন একসাথে হয় না, সেজন্য ভাইয়া স্মৃতিটা ধরে রাখার জন্য এই আয়োজন করলেন।

আমি আমার মায়ের সাথে ঢাকা থেকে গিয়েছিলাম। আর বড় আপু সিলেট থেকে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে রাতের বেলা এসেছিল। যেহেতু আমাদের দুইজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌছাতে দেরি হচ্ছিল, সেজন্য আমার বড় ভাই বাজার থেকে চিকেন এনে, সবকিছু কাটাকাটি করে রেডি করে বারবিকিউ বানানোর কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন। মাঝে মাঝে আমার ভাই এবং আমার বাবা এই দুইজন মিলে আমাদের সবাইকে বিভিন্ন রেসিপি করে খাইয়ে থাকে। যেদিন ভাইয়া কোন রেসিপি করে, সেদিন আমার আম্মু এবং বোনদেরকে কোন কাজ করতে দেয় না। তখন তিনি ছোট ভাই সব কাজ করে থাকেন। শুধুমাত্র মসলা দেওয়ার সময় আমাদের কোন বোনকে জিজ্ঞেস করেন।

photo_2024-11-11_16-53-30 (2).jpg

তো ঐদিন আমি আর বড় আপু বাড়িতে যেতে যেতে প্রায় দশটা বেজে গেছিলাম। আমার আগে বড় আপু চলে গেছিল। আমি বাড়িতে পৌঁছে দেখি ছাদের উপরে বারবিকিউ খাওয়ার বিশাল বড় আয়োজন চলতেছে। আমি বাড়িতে গিয়ে বোরকা ও খুলতে পারিনি, ভাইয়া আমাকে ডেকে ছাদের উপরে নিয়ে গেলেন। তারপর আমি গিয়ে দেখি চিকেন বারবিকিউ প্রায় হয়ে গেছে, আর আমার ছোট ভাই নান রুটি আনতে গিয়েছিল। আমি ছাদের উপরে গিয়ে কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিলাম। তারপরে নিচে এসে কাপড় চেঞ্জ করে ফ্রেশ হয়ে একটু রেস্ট নিলাম। কারণ আমি অনেকটা পথ জার্নি করে গিয়েছিলাম, তাছাড়া জার্নি করলে আমি প্রচুর বমি করি। আর বমি করার কারণে শরীর খুবই দুর্বল হয়ে যায়।

আমি ফ্রেশ হয়ে হালকা নাস্তা করে খাটের উপরে শুয়ে হঠাৎ করে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। অপরদিকে আমাকে ঘুমের মধ্যে রেখেই সবাই বারবিকিউ খাওয়া শুরু করে দিলো। আমাকে অবশ্য খাওয়ার সময় ডেকেছিল, কিন্তু আমার শরীর এতই ক্লান্ত ছিল যে সবার সাথে পার্টি করে খাওয়ার মুড ছিলনা। অবশ্য আমি ঘুম ঘুম চোখে অল্প একটু নান রুটি আর অল্প একটু বারবিকিউ খেয়েছিলাম। কিন্তু তখন ফটোগ্রাফি করার মত অবস্থা ছিল না। যায়হোক ঐদিন মোটামুটি সবাই আনন্দ করেছিল। খাওয়াটা বড় কথা নয়, সবাই মিলে আনন্দ করেছে এটাই মূল বিষয়। এই স্মৃতিগুলো কখনো ভুলা যাবে না।

photo_2024-11-11_16-53-30 (3).jpg

তো বন্ধুরা কেমন হলো আমার আজকের ব্লগ। অবশ্যই আপনাদের থেকে কমেন্ট এর মাধ্যমে মতামত আশা করি। আশা করি ব্লগটি আপনাদের সবার কাছেই ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিলাম, সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন।

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।

ফটোগ্রাফির বিবরণ:

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSj1ATxRsaEvyH89EyziiK3D1ksn1tTDvDwLCveqrhctVcDnDqtNbsqFMtuqD1RetzrgjG.png

ডিভাইসমোবাইল
মডেলরেডমি নোট-৮
শিরোনামবাড়ির ছাদে ভাইবোনদের নিয়ে চিকেন বারবিকিউ খাওয়ার অনুভূতি।।
স্থানভাদুঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা,বাংলাদেশ।
কমিউনিটিআমার বাংলা ব্লগ
ফটোগ্রাফার@titash

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSfQKFP87GjNCaLdCLKkYFWdxRmYuKurkfDpnYWoUUypXiwgziwKKNP24nNC65i32Am8Fp.png

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

আমার পরিচিতি

আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9uuNWjCEgJj5LnknUa3pWA9yop6dT9GDfEUZtz2oDgA9ocMHrCEtkFpngXowo13q8Mn1YvzEMh5bSRg1SNaKSZwbsLwb3YA.png

mCz6aUXpYgcE9hndDxJeFHNCvijWNENnxm5KqcEUM3o1siCoMX3by8iWdE4qYzWA7pZHzh4KthdoHPj2eEciPaXhHTdxhx5dKApkU8hxE3mUrybeUbtQCvbs4JC247APSjksrR6prneL2GBtrunMiz4r5CiYySVGKj1e3nT19qBCX5ekz5F.png

5QqP4NVdsPNcDeePyfoZLTLv8efTACU5P6GADTBgMgfXR7uJx5fN91AE46tFfFA7GwMq22wjUwwY5XDyUBMksyZSJGUEyK1Re6UWVZ1PqVR2ntgu73qAW8iDh6yPt8YVsiJ7enc87gmY874JVVHPQo6hSZvUs47FymTjqs43bSUF1Wvtd8T.jpg

4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzL1as2zt5nA5iP9iEBmXtJKZZD3SHGtdFKZ13Up5EmSAxpDYtwYvvxyhsR48F5wdZ6ZhgEKtW9w1csKVawJHrqc3fgSkcpz8WsTY1MvhswZsey8zNe3vkwTdKjCivA3Z6dpaPre.png

image.png

![image.png](

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

পরিবারের সবাই মিলে রাতের বেলায় এরকম বারবিকিউ পার্টি করার মজাটাই আলাদা। আপনারা ছাদের ওপর দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং বারবিকিউ তৈরি করেছেন। এই ধরনের স্মৃতিগুলো আসলেই ভুলে যাওয়ার মত না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনাদের কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।

জ্বী আপু এই স্মৃতিগুলো ভুলার মতো নয়। এইরকম পার্টির আয়োজন করা হলে, এদিন গুলোর কথা সাড়া জীবন গল্পময় স্মৃতি হয়ে থাকে। আপনাকপ ও ধন্যবাদ আপু।

আমরাও আগে ভাই বোনেরা মিলে এমন সুন্দর পার্টি করতাম। এখন সবাই এত ব্যস্ত হয়ে গেছে যে আমাদের আর এক জায়গায় হবার সময়ই হয় না। আপনার ব্লগটি পড়তে পড়তে খুব নস্টালজিক হয়ে পড়ছিলাম। ছবিগুলো দেখে ভাবছিলাম এমন সন্ধ্যে আমাদেরও তো ছিল। বেশ ভালো লাগলো পড়তে আপনার লেখা।

হ্যাঁ আপু ভাই বোনেরা মিলে এরকম পার্টির আয়োজন হয়তো আমিও আর কোনদিন নাও পেতে পারি। কারণ বৈবাহিক জীবনে আসার পরে সবাই ব্যস্ত হয়ে যায়। তাছাড়া আমিও অনেক পার্টি মিস করি বিয়ের পর থেকে।এগুলো সবই স্মৃতি হয়ে গেল আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।