হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি ভালো আছি। আমি আজকে আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ভিক্ষুকদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনারা এই গল্প থেকে অনেক কিছু বুঝতে ও জানতে পারবেন। আমার আজকের পোস্টের বিষয় হচ্ছে ভিক্ষুক যখন চোর।
বর্তমান যুগে আপনি কাকে বিশ্বাস করবেন। ভিক্ষুক থেকে শুরু করে বড় পর্যায়ের মানুষ আজ সবাই লোভী হয়ে গেছে। এখনকার সময়ে প্রায় দেখা দেখা যায় যে, ভিক্ষুকের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছ। ঘুম থেকে ওঠার আগেই ভিক্ষুক দরজার সামনে এসে হাজির। এটা কোন ব্যাপার না। ব্যাপার হলো যখন কোন একজন ভিক্ষুক ভিক্ষার বেশে এসে আপনার বাড়ির আসবাবপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। ভিক্ষুকদের দেখলে আমাদের তো সকলেরই মায়া লাগে। যদি কোন ভিক্ষুক আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র চুরি করে নিয়ে যায়। তখন তাদের আর বিশ্বাস করে ভিক্ষা দেওয়া তো দূরের কথা তাদের সম্মান করতেও মনে চায় না। আমাদের বাড়িতে এমনকি আমাদের এলাকায়, আমার আপুর বাড়িতে ও ভিক্ষা করতে এসে চুরি করার অহরহ ঘটনা রয়েছে। সে ঘটনাগুলোর মধ্যে আজকে আমি আপনাদের মাঝে কয়েকটি ঘটনা শেয়ার করবো। চলুন তাহলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
প্রথমে আমি আমার আপুর ঘটনাটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আমার আপুর বাড়ি নবীনগর উড়খুলিয়া গ্রামে। একদিন আমার আপুর ননদ তার কানের স্বর্ণের জিনিস গুলো খুলে অন্য জিনিস পড়তে যাচ্ছিল এমন সময় একজন ভিক্ষুক এসে প্রথমে চাউল ভিক্ষা চাই। আমার আপুর ননদ জিনিসগুলো বিছানার উপর রেখে ভিক্ষুক এর জন্য চাউল আনতে যায়। চাউল দেওয়ার পর মহিলাটি আপুর ননদের কাছে খাওয়ার জন্য কিছু ভাত চাই। আপুর ননদ ভাত আনতে যাই। আর আপুর শাশুড়ির কাছে ভিক্ষুক মহিলা তাদের বাথরুম টা কোথায় সেই কথা বলে বাথরুমে যাই। অনেকক্ষণ পর বাথরুম থেকে মহিলাটি বের হয়। তারপর ভাতগুলো প্যাকেট করে অনেক দ্রুত তাদের বাড়ি থেকে চলে যায়। হঠাৎ করে আপুর ননদ তার জিনিস গুলোর কথা মনে করে খুঁজতে থাকে। কিন্তু কোথাও জিনিস গুলো খুজে পাচ্ছিল না। আপুর শাশুড়ি তৎক্ষণাৎ বলছিল যে, ভিক্ষুক মহিলাটি হইত জিনিসগুলো নিয়ে গিয়েছে। নয়তো এতক্ষণ বাথরুমে কি করছিল। আপুর ননদ কথাটি বিশ্বাস করতে চাইছিল না এমনকি আমার আপু ও না। মহিলাটি প্রায় চার-পাঁচটা বাড়ি পার হয়ে গিয়েছিল। আপুর শাশুড়ি দৌড়ে প্রত্যেক বাড়িতে জিজ্ঞাসা করেছে এখন ভিক্ষুক মহিলাটা কোন দিকে গিয়েছে। এমন করে খুঁজে বের করে মহিলাটিকে জিজ্ঞেস করেছিল উনি কোন কিছু চুরি করেছে কিনা। মহিলাটি এমন ভান ধরেছে এমন কান্নাকাটি করেছে। যে সে নিষ্পাপ কোন কিছু চুরি করিনি। আপুর শাশুড়ি নরম মানুষ হলেও তিনি বলছে যতই বলো না কেন আপনি আমার মেয়ের জিনিস চুরি করেছেন। তখন মহিলাটিকে আপুর জা চেক করে কোন কিছু পায়নি। তারপর আপুর শাশুড়ি আবার ওই মহিলাটির মাজা চেক করতে গিয়ে তার পেটিকোটের নিয়ারের ভেতরে তিন জোড়া জিনিস পায়। একজন আপুর ননদের আর দুই জোড়া কার জানা যায়নি। এমনকি মহিলাটির কাছে দু তিনটে বাটন মোবাইল সেট ও পাওয়া গিয়েছেল।
এই মহিলাটিকে এই গ্রামের সবাই অসহায় ভেবে একটি ঘর থাকার জায়গা করে দিয়েছিল। কিন্তু মহিলাটি যখন চুরি করেছে এবং ধরা পড়েছে তারপরে এই মহিলাটিকে এই গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কথায় আছে না যেমন কর্ম তেমন ফল। যদি চুরি না করতো, তাহলে ওই গ্রামে থাকতেও পারতো মানুষ তাকে সহযোগিতা ও করতো।
আমাদের পাশের বাড়িতে একদিন একটি ভিক্ষুক মহিলা পান ধোয়ার কথা বলে তাদের বাড়িতে ঢুকে। ঢুকার পর পান না ধুয়ে একটি চল্লিশ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়। মহিলাটির সাথে অবশ্য একটি ছোট বাচ্চা ছিল। সবাই সম্ভবত ধারণা করেছে যে, মহিলাটি বাড়িতে ঢোকার পর তার বাচ্চাটির মাধ্যমে মোবাইলটি চুরি করিয়েছে। তারপর এই মহিলাটিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি আর ঐ দিন বাড়িতে ও অন্য কোন মানুষ আসেনি। ভিক্ষুক মহিলাটিকে তৎক্ষণাৎ খুঁজে ও পাওয়া যায়নি। মনে হয় গাড়ি করে কোথাও চলে গিয়েছে।
আমাদের বাড়িতেও বিক্ষুক চুরি করেছে। তবে দামি কোন জিনিস নিয়ে যায়নি। বোরকা চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল। যাই হোক চোরের কোন ধর্ম নেই। সে ভিক্ষুক হোক আর অন্য কেউই হোক। সে সামনে যা কিছু পাই তাই চুরি করে নিয়ে যায়। যাই হোক, আপনারা এমন ভিক্ষুক নামক চোর থেকে সাবধান থাকবেন। বলা যায় না কখন আপনার বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটে যায়। আর কথা বাড়াচ্ছি না। এখানেই শেষ করছি।
বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই, আপনারা সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই কামনা করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিতেছি। সকলকে ধন্যবাদ। আল্লাহাফেজ ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মানুষ নিজ স্বার্থের জন্য সব করতে পারে ৷ কত ভাবেই কত মানুষ , মানুষকে ঠকিয়ে যাচ্ছে তার হিসেব নেই ৷ একজন ভিক্ষুক মহিলা বার্থরুম গিয়ে জিনিস পত্র নিয়ে পালিয়ে যায় ব্যাপারটা কেমন জানি ! এদের জন্য একজন প্রকৃত অসহায় ব্যক্তিও মানুষের বিশ্বাসের যোগ্য হারিয়ে ফেলবে ৷ যাই হোক , সেই মহিলাকে গ্রাম থেকে বের করে দিয়ে ভালোই করেছেন ৷ অনেক ভালো লাগলো গল্পটি , দারুণ লিখেছেন ৷ ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ঠিক বলছেন আপু অনেক ভিক্ষুক মহিলা আছেন যারা আসলেই ভিক্ষা করতে এসে মানুষের জিনিস চুরি করে নিয়ে যায়। এরকম ঘটনা অনেক আছে আমাদের গ্রামেও। তাই এসব ভিক্ষুক দের কে ঘরে ঢোকা থেকে বিরত থাকাই অনেক ভালো। সুযোগ পেলেই যেমন করেছে আপনার আপুর বাড়িতে তেমন করে দিবে। আর এসব মহিলাদেরকে ভিক্ষা না দেওয়াই উচিত। যাদের কাজ করার মত স্বাস্থ্যের দিক থেকে সক্ষম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আমিও ভিক্ষুকদের চুরি করার কথা অনেকবার শুনেছি। তাই তো আমাদের বাড়িতে কোন ভিক্ষুক আসলে আমি বলি যেন ঘরের দরজার ভিতরেও না ঢুকে। উঠানের উপরের দাঁড়িয়ে থাকতে বলি আর আমি আমার শাশুড়ি আম্মুকেও বলে দিই এই কথা। তারপর থেকে তিনি ওদেরকে আর ঘরে ঢুকতে দেয় না। আসলে ভিক্ষুক রূপে চোর আসে তারা। ওই ভিক্ষুকটা তাহলে অনেক কিছুই চুরি করেছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভীষণ ভয়ংকর ও কষ্টকর ঘটনা।কষ্টকর বলছি কারণ এরকম চোর ভিক্ষুকদের কারণে সাধারণ ভিক্ষুকদের প্রতি অন্যায় হয়ে যাবে মানুষের। সত্যি কারের ভালো ভিক্ষুক দের প্রতি একটা সন্দেহ জাগবে।ওই মহিলা ছদ্মবেশী ভিক্ষুক অবশ্যই তাই জন্য এতো গুলো জিনিসপত্র পাওয়া গেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit