পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি-
হ্যালো আমার প্রিয় বাংলা ব্লগবাসি বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহতালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভাল আছি,আলহামদুলিল্লাহ। আমি আজকে আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আমার বড় আপুর সাথে আমার বাবুর জন্য এক জোড়া জুতা কিনতে কুলাউড়া শপিং কমপ্লেক্স এ যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো।
এইতো কিছুদিন আগের কথা। আমি সিলেট মৌলভীবাজারে আপুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। আপুর বাসাটা পড়েছে কুলাউড়া উপজেলাতে। আমরা সব সময় ট্রেনে আসা যাওয়া করি। যদি কোন সময় ট্রেন না পাই তখন আমরা বাসে আসা-যাওয়া করে থাকি। তবে আমরা যখন টার্গেট করি ট্রেনে আসা যাওয়া করবো,তখন কোনদিন মিস হয়নি। তাছাড়া ট্রেনের মধ্যে আমার আপুর পরিচিত লোক আছে। যার কারণে আমরা ট্রেনের যেকোনো তথ্য খুব সহজেই পেয়ে থাকি।
যেদিন আপুর বাড়ি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে চলে আসবো, সেদিন হঠাৎ করে আমার বড় আপু বললো আমার মেয়েকে তিনি একজোড়া জুতা কিনে দিবেন। আমার বড় আপু আমার সাথে ট্রেন স্টেশনে এসেছিল। তখন আমরা ট্রেন আসতে আসতে স্টেশনের পাশেই কুলাউড়া শপিং কমপ্লেক্সে গিয়েছিলাম। সেখানে বিশাল বড় একটি জুতার শোরুম রয়েছে। ছোট-বড় মহিলা পুরুষ সব ধরনের মানুষের জুতাই এখানে বিক্রি করা হয়।
তো আমরা খুব তাড়াহুড়া করেই জুতা কিনতে গেলাম। কিন্তু আমার মেয়ের পা এত ছোট ছিল যে কোন ধরনের জুতাই তার পায়ে লাগছিল না। আমি বারবার আপুকে বলতেছিলাম এখন বাবুর পায়ে জুতা লাগবে না। শুধু শুধু জুতা কিনে বাড়িতে যেতে যেতেই ট্রেনে কোথাও পড়ে যাবে। তারপরেও আপু খুব শখ করেছে আমার বাবুকে একজন জুতা কিনে দিবে। তাছাড়া অন্যদিকে আবার ট্রেনে আসার সময় হয়ে গিয়েছিল।
ট্রেন স্টেশনে গেলে আমার ভিতরটা একটু কেমন যেন করে। কারণ কখন ট্রেন এসে আবার চলে যায়। অথচ আমরা কিন্তু ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করে স্টেশনে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে কাটিয়ে দেয়। যায়হোক আপু ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন মডেলের জুতা দেখতে লাগলেন। কিন্তু বাবুর পায়ের জুতা কোনভাবেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। দুয়েক জোড়া জুতা যদিও বাবুর পায়ে লাগছিল, তবে সেগুলোর দাম করতে গিয়ে দেড় হাজার দুই হাজার টাকা দাম চাচ্ছিল। শুনেছি সিলেটে নাকি সব জিনিসের দাম একটু বেশি হয়। কিন্তু তাই বলে এত বেশি সেটা জানতাম না। যদিও জুতা গুলি অনেক সুন্দর ছিল, তাই বলে এত দাম কিছুতেই হতে পারে না।
অবশেষে অনেক খোঁজাখুঁজি করে একজোড়া জুতা পাওয়া গেল। সেগুলোর আবার বেল্ট নেই। লোফার এর সিস্টেমের জুতা। ছোট ছোট দুটি জুতার দাম তারা ১২০০ টাকা চাচ্ছিল। অবশেষে অনেক বার্গেটিং করে সাতশ টাকায় ফিক্সড হলো। জুতাগুলো পরিয়ে যদি আপুর বাসায় থাকতে পারতাম তাহলে আপু অনেক খুশি হতাম। আমরা জুতাগুলো নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি আবার রেলস্টেশনে চলে আসলাম। কারণ আমরা আসতে আসতে অলরেডি স্টেশনে ট্রেন চলে এসেছিল। তারপর খুব তাড়াহুড়া করে আমরা ট্রেনে প্রবেশ করলাম। ট্রেনে আমি বাবুকে জুতা গুলো পরিয়েছিলাম ঠিকই, কিন্তু আমি খুব সতর্ক ছিলাম যেন বাবুর পা থেকে জুতাগুলো পড়ে না যাই। জুতা গুলো অনেক সুন্দর ছিল, উপরে ব্লু কালারের মধ্যে ছোট ছোট স্টার দেওয়া। জুতাগুলো আমাদের সবারই পছন্দ হয়েছিল। আমার বড় আপু যদি কাউকে কোনদিন কোন প্রমিস করে থাকে, তাহলে সেটা তিনি লাখ টাকা হলেও পূরণ করে থাকেন। আপুর শখ হয়েছে আমার মেয়েকে জুতা কিনে দিবে, যেকোনো মূল্যে তিনি বাবুকে জুতা কিনেই দিলেন। জুতা কিনতে গিয়ে আরেকটু দেরি হলে আবার ফিরে আপুর বাসায় যেতে হতো। যাই হোক আপুর ইচ্ছাটা পূর্ণ হয়েছে, আমার মেয়ে ও এক জোড়া জুতা পেয়েছে।
তো বন্ধুরা এ হলো আমার আজকের ব্লগ। কেমন হলো অবশ্যই জানাবেন। আবার আপনাদের সাথে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | আমার বড় আপুর সাথে আমার বাবুর জন্য এক জোড়া জুতা কিনতে কুলাউড়া শপিং কমপ্লেক্স এ যাওয়ার অনুভূতি।। ।। |
স্থান | কুলাউড়া, সিলেট, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৩-০৭-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
বাচ্চাদের জন্য অনেক কিছু কিনতে হয় আপু। যেহেতু বাচ্চাদের শরীরগুলো বাড়তি হঠাৎ করে জিনিসগুলো ছোট হয়ে যেতে থাকে। তাই প্রয়োজনে অনেক কিছুর জন্য বের হতে হয়। আপনি আপনার বড় আপুর সাথে বের হলেন জুতা কেনার জন্য। অনেক ভালো লাগলো আপনার খুব সুন্দর অনুভূতি পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মাঝেমধ্যে এভাবে বাহিরে যেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে কেনাকাটা করতে একটু বেশি পছন্দ করি। আপনি আপনার বড় আপুর সাথে বাবুর জন্য জুতা কিনতে গিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। ছোট বাচ্চাদের জুতা এমনিতেই অনেক সুন্দর এবং কিউট হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাচ্চাদের জন্য কোন কিছু কিনতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপু আপনি আপনার বাচ্চার জন্য জুতো কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে ছোট বাচ্চাদের জিনিসগুলো কিনতেও খুবই ভালো লাগে। আর অনেক সাবধানতার সাথে কিনতে হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit