পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছে
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি শীতলক্ষা নদীতে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো।
বন্ধুরা আপনারা সবাই জানেন যে, আমি বর্তমানে আমার হাজবেন্ডের সাথে নারায়ণগঞ্জ শহরে অবস্থান করতেছি। আর নারায়ণগঞ্জ শহর শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত। নারায়ণগঞ্জকে প্রাচ্যের ডান্ডি বলা হয়। নারায়ণগঞ্জ শহর প্রাচীনকাল থেকেই খুবই বিখ্যাত। আর তার বিখ্যাত হওয়ার প্রধান কারণ হলো শীতলক্ষ্যা নদী। এই নদীকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জ মানুষের বসবাস। এই শীতলক্ষা নদীকে ব্যবহার করেই নারায়ণগঞ্জ শহর অনেক উন্নত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহরের অনেক ইতিহাস ঐতিহ্য আপনারা বই পুস্ত সহ অনলাইনের মাধ্যমে জানতেও দেখতে পারবেন। ঢাকার অদূরে অবস্থিত এই শহরটি বর্তমানে আমাদের খুবই পরিচিত।
কিছুদিন আগে আমি ও আমার হাজব্যান্ড দুইজন মিলে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমার হাজব্যান্ড যেহেতু একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে সেজন্য তিনির ছুটি খুব কম। শুক্রবার আসলেই আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই । এমনই একদিন শুক্রবার বিকাল বেলা একটি অটোতে চড়ে আমরা শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে যাই। সম্ভবত এই জায়গাটার নাম হলো হাজীগঞ্জ ফেরিঘাট। আমি এই প্রথম এখানে গিয়েছিলাম। নদীর চারপাশে অনেক বড় বড় বিল্ডিং, বিভিন্ন ধরনের কলকারখানা রয়েছে। নদীর উপর দিয়ে প্রতিমুহূর্তে বড় বড় ফেরি এবং ট্রলার যাতায়াত করতেছে।
আমরা যে জায়গাতে গিয়েছি সেখানে আমরা গিয়ে দেখি প্রচুর মানুষের সমাগম। আমাদের মত সবাই তাদের আপনজনদেরকে নিয়ে, ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে এখানে কিছুটা সময় কাটাতে এসেছে। শীতলক্ষ্যা নদীর পানি তখন খুবই পরিষ্কার ছিল। শুনেছি গ্রীষ্মকালে নাকি শীতলক্ষ্যার পানি আর বুড়িগঙ্গার পানি একরকম কালো কচকচে হয়ে যায়। তখন এই পানি থেকে কিছুটা দুর্গন্ধ বের হয়। তবে আমরা যখন সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন নদীর পানি খুবই পরিষ্কার ছিল। পানিতে কোন ধরনের গন্ধ ছিল না।
নদীর পাড়ে মানুষের হাঁটার ব্যবস্থা করা আছে। কিছু জায়গায় মানুষ বসে আড্ডা দিতেছে, গল্প করতেছে। আবার কিছু জায়গায় দেখলাম বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রয় করতেছে। ফুচকা, চটপটি, বার্গার, ভেলপুরি, ঝালমুড়ি সহ বিভিন্ন খাবার দেখতে পেলাম। তারপরে শীত তাপ নিয়ন্ত্রিত রেস্টুরেন্ট রয়েছে। সব মিলিয়ে জায়গাটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
জায়গাটার আকার হয়তো কিছুটা ছোট, তবে মানুষ জায়গাটাকে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে তুলেছে। এখান দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। ফেরি টলার নৌকা তিন ভাবে মানুষ নদী পারাপার হয়ে থাকে। নদীর অপর পাশের উপজেলার নাম হল বন্দর। বন্দর উপজেলার মানুষ প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জ শহরে আসা-যাওয়া করে। ব্যবসা-বাণিজ্য মার্কেট চাকরি-বাকরি বিভিন্ন কারণে মানুষ নদীর এপার থেকে ওপারে যায়।
আমি শুনেছি নদীর ওপারে অনেকদিন পর একটি ব্রিজ হয়েছে। সেটাও আবার অনেক দক্ষিনে। আমরা অবশ্য ব্রিজটি দেখতে পারি নাই। কারণ আমাদের হাতে এত সময় ছিল না। আমরা সন্ধ্যার পরে সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় কাটানোর পরেই সন্ধ্যা নেমে আসে। যার ফলে আমরা দূরে কোথাও যেতে পারি নাই। আমরা যতক্ষণ ছিলাম ততক্ষণ প্রচুর মানুষ ছিল। আর দুইটি ফেরি যাতায়াত করেছে। সব মিলিয়ে সেই জায়গাটাতে ঘুরে আমার কাছে ভালই লেগেছে।
আমরা সেখান থেকে ফিরে এসে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। তারপর রেস্টুরেন্টে হালকা খাওয়া-দাওয়া করে সন্ধ্যার পরে বাসার দিকে রওয়ানা দিয়েছিলাম। বৃষ্টি বাদলের কারনে রাস্তা কিছুটা নষ্ট হয়ে গেছে। সেখানে আসতে এবং যেতে ভালোই ঝাকি খেয়েছি। তবে নদী ও নদীর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আমাদের বাড়ির পাশেও রয়েছে এরকম একটি বিখ্যাত নদী। যার নাম হলো তিতাস। সুতরাং নদীর ব্যাপারে অনেক আগে থেকেই আমার আগ্রহ। এই প্রথম শীতলক্ষা নদী পরিদর্শন করে আমার কাছে মোটামুটি ভালই লেগেছে।
যাইহোক বন্ধুরা লিখতে লিখতে অনেক কিছু লিখে ফেলেছি। মনের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি। আজকে এখান থেকেই বিদায় নিলাম, আবার আগামীকাল নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো, ইনশাআল্লাহ। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | শীতলক্ষা নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি ।। |
স্থান | নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৩-০৯-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
এই নদীর পাড়টি বেশ সুন্দর এবং সাজানো। বেড়াতে যাওয়ার জন্য আদর্শ এই জায়গা। আপনারা দুজনে এখানে যে সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন তা বুঝতেই পারছি। ভীষণ সুন্দর করে পোস্ট সাজিয়ে আপনার মনের ভালোলাগা আমাদের মধ্যে শেয়ার করলেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনারা। ছুটির দিন হওয়ার কারণে অনেক মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে। জায়গাটা বেশ সুন্দর। তবে নিরিবিলি হলে আরো চমৎকারভাবে সময়গুলো কাটানো যায়। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাদের কাটানো মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit