পরম করুনাময় অসীম দয়ালু, মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করছি-
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি,আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমাদের বাবুকে টিকা দেওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো।
আপনারা সবাই জানেন যে, বাচ্ছা জন্মগ্রহন করার পরে তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে তাদের শরীরে বেশ কয়েকটি টিকা দিতে হয়। সেই সাথে পলিও ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। আমাদের বাবুকে এর আগে দুইটি টিকা দেওয়া হয়েছে। আজকে তৃতীয় টিকা দেওয়া হলো। আপনারা সবাই জানেন যে, নবজাতকদের সাধারনত পাঁচ বারে ছয়টি টিকা দেওয়া হয়। সেই টিকা গুলোর নাম হলো- বিসিজি, পেন্টা, ওপিভি, পিসিভি, আইপিভি, এমআর। আমরা যখন ছোট তখন আমাদেরকেও এই টিকা গুলো দেওয়া হয়েছে। হাতে এখনো সেই টিকার দাগ রয়েছে। গ্রামে টিকা বা পলিও ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য স্বাস্থ অফিসের লোকেরা বাড়ি বাড়ি যেতো। অথবা মসজিদের মাইকে এলান করে দিতো। তখন দেখতাম মহিলারা তাদের বাচ্ছাদেরকে পলিও বা টিকা দিতে নিয়ে যেতেন।
আমি যেহেতো নারায়নগঞ্জ শহরে থাকি, তাই এখানে মাইকিং করা হয় না। যার যার নিজ দায়িত্বে স্বাস্থ অফিষে গিয়ে টিকা গুলো দিতে হয়। আমাদের বাসা থেকে উপজেলা স্বাস্থ অফিস বেশি দুরে নয়, হেটে যেতে পাঁচ মিনিটের মত সময় লাগে। আমি মূলত গিয়েছিলাম ১২ঃ৪৫ মিনিটে। তখন টিকা দেওয়া প্রায় শেষের পথে। কারন এর আগে দুইবার যখন গিয়েছিলাম তখন কিছুটা সিরিয়াল ছিল। সেই জন্য আজকে বাসা থেকে কিছুটা দেরি করে বের হয়েছি, যেন সিরিয়াল ধরতে না হয়। ঐদিকে আবার আমার হাসবেন্ডকে ফোন করে বলে রেখেছিলাম। তিনিও অফিস থেকে এসে স্বাস্থ অফিসের সামনে দাড়িয়ে ছিলেন। তিনির অফিস থেকেও বেশি দুরে নয়, দুই তিনি মিনিট সময় লাগে আসতে।
আমি রিকশার জন্যা দাড়িয়ে না থেকে হাটতে হাটতে স্বাস্থ অফিসেই চলে গিয়েছিলাম। কারন দুপুর টাইম তো সেজন্য রিকশা পেলাম না। আর প্রচুর রোদ ছিল। স্বাস্থ অফিসে গিয়ে দেখি টিকা দেওয়ার মত কোন বাচ্ছা নেই। সেই জন্য স্বাস্থ অফিসের লোকজন বাসায় যাওয়ার জন্য সব কিছু গুছাচ্ছে। আমাদেরকে দেখে তারা বললেন তারাতারি আসেন। আমরা এখনই বের হয়ে যাবো। আমি গিয়ে চেয়ারে বসতে বসতেই একজন কর্মী এসে বাবুর দুই পায়ে দুইটি ও হাতে একটি টিকা দিয়ে দিলেন। টিকা দেওয়ার সাথে সাথে বাবু চিৎকার দিয়ে উঠেলেন। শুধু আমাদের বাবু নয়, যে কোন বাচ্ছাকে টিকা দিলেই চিৎকার করে উঠে। কত বড় সুঁই ব্যাথা তো লাগবেই। নিজের শরীরে সুঁই দিতেই কত ব্যাথা পায়। আর বাচ্ছাদের তো আরে বেশি ব্যাথা লাগে।
আমাদের টিকে দেওয়া শেষ হলে বাবুর কার্ড নিয়ে আরেকজন মেডাম সব কিছু লিখে দিলেন। আবার আমাদের চতুর্থ টিকা দেওয়ার জন্য সামনের মাসে যেতে বলেছেন। আজকে টিকা দিতে গিয়ে কোন সিরিয়াল না পেয়ে খুবই খুশি হয়েছি। কোন জামেলা হয়নি। গিয়েই বাবুকে টিকা দিয়ে ফেলেছি। পাঁচ মিনিটের মধ্যে কাজ শেষ। তারপর আমার হাসবেন্ড বাবুকে কোলে নিলেন, আমি কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম।
নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার হেড অফিসের এরিয়াটা অনেক বড়। এখানে অনেক গুলো অফিস রয়েছে। সব গুলো অফিসেই কার্যক্রম চলতেছে। সরকার পরিবর্তন হলেও সেবার পরিবর্তন হয়নি। যারা যে কাজে উপজেলাতে আসতেছে, সবাই সেবা পাচ্ছে। তবে কয়েকটি অফিস বন্ধ আছে। হয়তো শনিবার হওয়ার কারনে কয়েকটি অফিসের কার্যক্রম বন্ধ আছে। যায়হোক আমরা বেশিক্ষণ দেরি করি নাই। কারন বাহিরে রোদের পাশাপাশি প্রচুর গরম ছিল।
বাবুকে প্রথম টিকা দেওয়ার পরে জ্বর এসেছিল। তবে দ্বিতীয় টিকা দেওয়ার পরে জ্বর আসে নাই। আজকে তৃতীয় টিকা দিলাম, জানিনা জ্বর আসে কি না। তবে এটা জানি যে তিনচার দিন অনেক কান্নাকাটি করবে। কারন তিন হাত পায়ে টিকা দেওয়া। ঔসব জায়গাতে হাত লাগলেই ব্যাথা পাবে আর কান্নাও করে দিবে। কয়েকদিন আমার অনেক কষ্ট হবে জানি। যায়হোক তারপরেও বাবুর তৃতীয় টিকা দিয়ে ফেলেছি, কিছুটা টেনশন মুক্ত হলাম।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | বাবুকে টিকা দেওয়ার অনুভূতি।। ।। |
স্থান | সদর উপজেলা স্বাস্থ অফিস, নারায়নগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ৩১-০৮-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কিছুদিন আগে আমার বাবুটারও তিনটা টিকা দেওয়া হয়েছে। সময় মত বাচ্চাদের টিকা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন। তবে আপু সরকারের সাথে এই সমস্ত কার্যক্রমের কোন সম্পর্ক নেই যার জন্য টিকার কার্যক্রম এখনো অব্যাহত রয়েছে শুধুমাত্র শনিবারে বিভিন্ন অফিস ছুটি থাকে তাই অনেক কাজ বন্ধ থাকে। যাইহোক বেশ সুন্দর বর্ণনা করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি বাচ্চাদের টিকা দিয়ে বাসায় এসে সাথে সাথে নাপা সিরাপ খাইয়ে দিতাম। এতে তাদের কষ্ট অনেকটাই কম হতো। তা না হলে এতগুলো টিকা একসঙ্গে দেয়াতে খুব কষ্ট পেত। তাহলে এইবার দেখছি সিরিয়াল ছাড়াই ভালোমতো টিকা দিতে পেরেছেন। আশা করি বাচ্চারা কষ্ট কম পেয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit