পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি।
হ্যালো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ বাসি বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায়, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ কৃপায়, ভালো আছি এবং সুস্থ আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে প্রচন্ড গরমের পরে স্বস্তির বৃষ্টি দেখার অনুভূতি শেয়ার করবো।
বন্ধুরা আপনারা জানেন গত কয়েক সাপ্তাহ ধরে আমাদের দেশে কি পরিমান গরম পড়েছে। গরমের কারন মানুষের জীবন যায় যায় অবস্থা। সব থেকে বড় সমস্যা ছিল গরমে মানুষের স্কিনে প্রবলেম হয়ে যাচ্ছিলো। বাচ্চা বড় সবার স্কিনে ফক্সের মত ফসকা পড়ে যাচ্ছিলো। আর লোডশেডিং এ মানুষের জীবন আরো অতিষ্ঠ করে তুলছিলো। এমতস্থায় সবাই বৃষ্টির আশায় আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিল। আর সৃষ্টিকর্তার কাছে বৃষ্টির প্রার্থনা করতেছিল। মূল কথা সবাই গরম থেকে মুক্তি চাচ্চিলো।
গতকাল সন্ধার সময় আমি আরো কয়েকজন গরমের কারনে ছাদে বসে ছিলাম। এমন সময় হঠাৎ শরীরে ঠান্ডা একটি বাতাসের অনভূব করলাম। আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি হালকা বৃষ্টির ভাব বুঝা যায়। তখন মনের অজান্তেই সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া আদায় করলাম। সন্ধার পর থেকে আকাশে বিদ্যুৎ চমকাতে দেখলাম। সেই সাথে হালকা বাতাসও ছিল। বৃষ্টির জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিন্তুু বৃষ্টি হচ্ছে না। রাত যখন নয়টা বাজে তখন হালকা বাতাসে গরম কিছুটা কমে গেলো। খাওয়ার পরে প্রচুর ঘুম পাচ্ছিলো। গত এক সাপ্তাহে গরমের কারনে ঠিক ভাবে ঘুমাতে পারছিলাম। না। হালকা ঠান্ডা থাকায় দশটার দিকে ঘুমিয়ে গেলাম।
রাত প্রায় বারোটা বাজে, হালকা শীত অনুভব করলাম। হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙ্গে গেলো। তখন বুঝতে পারলাম বৃষ্টি হচ্ছে মনে হয়। আমাদের বেল্ডিং তো তাই বৃষ্টি হচ্ছে কি না ঠিক ভাবে বুঝা যায় না। বারান্দায় গিয়ে দেখি প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। তখন ঠান্ডা লাগার কারন বুঝতে পারলাম। সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায় করে বিছানায় আবার শুয়ে পড়লাম। এই এক ঘুমে একেবারে সকাল হয়ে গেছে। রাতের বেলা ঠান্ডা থাকার কারনে বাবুও তেমন জালাতন করে নাই। সুন্দর ভাবেই ঘুমিয়েছে। অনেক দিন পরে স্বস্তির বৃষ্টি পেয়ে আরামে একটি ঘুম দিলাম।
সকাল আটটার দিকে বাবুকে নিয়ে ছাদে গেলাম। তখনও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়তেছিল। মোবাইলটা বের কয়ে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলমা। গাছে, ছাদে তখনও বৃষ্টির পানি লেগে ছিল। বৃষ্টি পেয়ে গাছ গুলোও যেন নতুন জীবন পেয়েছে। আমার শ্বাশুড়ি মা ছাদের মধ্যে চালকুমড়ো গাছ লাগিয়েছে। গাছ গুলোতে ফুল সহ অনেক চালকুমড়ো ধরেছে। আমার শ্বাশুড়ি আবার গাছের প্রতি, প্রকৃতির প্রতি অনেক টার রয়েছে। সারা বাড়িতেই এখানে সেখানে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগিয়ে রেখেছে। বাড়িতে গাছ থাকলে পরিবেশটা অনেক সুন্দর হয়ে যায়।
আমার শ্বশুর বাড়িটা গ্রামের মাঝখানে পড়েছে। চতুর পাশে গাছ গাছালি ও পুকুর রয়েছে। এত গাছ থাকা সত্বেও এত গরম লাগে কেন বুঝি না। শীতের সময় আবার গাছপালার জন্য প্রচুর শীত লাগে। শীতের সময় গাছপালার জন্য বাড়িতে রোদ আসে না। অথচ গরমের সময় রোদের কারনে বাসায় থাকা যায় না। যায়হোক সব কিছুই সৃষ্টিকর্তার খেলা। সকালে ঘুম থেকে উঠে আকাশটা মেঘলা মেঘলা দেখে খুবই ভালো লাগছে। আমি চাই এভাবেই যেন কয়েকদিন বৃষ্টিপাত হয়। কারন এত বৃষ্টির পরেও যখন রোদ উঠে তখন প্রচুর গরম লাগে। যদি এভাবে কিছুদিন থাকে তাহলে হয়তো নিচের মাটি গুলো ঠান্ডা হবে। গরমটাও কমে যাবে।
যায়হোক বন্ধুরা আজকে সকালে আকাশে বৃষ্টি দেখে অনেক খুশি হয়েছি। সেই খুশির অনুভূতিটা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি ব্লগটি সবার কাছেই ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আবার নতুন দিনে নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন, সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন। আমিও সবার জন্য দোয়া করি।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | স্বস্তির বৃষ্টি যেন দীর্ঘায়িত হয়।। |
স্থান | সৈয়দাবাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৫-০৯-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
বেশ কয়েকদিন অনেক গরম ছিল। গরমের পর দুইদিন থেকে একটু শীতলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বৃষ্টির কারণে প্রকৃতি অনেকটা শীতল হয়েছে। আপু আপনার লেখাগুলো চমৎকার ছিল। অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের এখানেও বৃষ্টি হচ্ছে আপু। কাল সকালে বৃষ্টি হয়ে থেমে গেছিল। কিন্তু আজ সকালে শুরু হয়েছে আর শেষ হয়নি এখন পর্যন্ত অর্থাৎ সন্ধ্যা হয়ে গেছে এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হচ্ছে। যে সময় বৃষ্টির প্রয়োজন মনে করতাম তখন হয়নি কিন্তু এখন হচ্ছে তারপরেও যেখানে প্রয়োজন সেখানে হলেই ভালো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অস্থিরতায় সময় কাটতে কাটতে যখন একটু বৃষ্টির দেখা পেয়েছি তখন সত্যিই ভালো লেগেছে আপু। এই গরমের মধ্যে আপনি তো দেখছি বেশ ভালো জার্নি করেছেন। আর অনেক চাপের মধ্যেই ছিলেন। এই বৃষ্টি যেন আরো কিছুদিন থাকে এই প্রত্যাশাই করি আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit