হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আমার স্টিমিট আইডি হচ্ছে @titash আমার নাম হচ্ছে নীলা আক্তার। আর আমি হচ্ছি মিসেস জনিপ্রিন্স। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের মাঝে আমার দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী নিয়ে ব্লগ লিখতে চলেছি। আমাদের জীবনটা খুবই অল্প সময়ের। তার মধ্যে কত আনন্দ বেদনা আমাদের মাঝে রয়ে যায়। মনে হচ্ছে যেন সেই দিন বিয়ে হলো আর এর মধ্যে দুটি বছর পূর্ণ হয়ে গেল। চলুন আজকে আমি আমার বিবাহিত জীবনের দুটি বছরের কিছু কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
দুই হাজার বাইশ সালের মে মাসের ছয় তারিখে আমি আমার জীবনের নতুন একটি অধ্যায়ের পা রাখি। এ অধ্যায়ে যারা যারা পা রাখেন। তাদের শিক্ষকের অভাব হয় না। তবে অধ্যায়টিও শেষ হয় না। আমার বিবাহিত জীবনে বেদনার চেয়ে আল্লাহর রহমতে আনন্দই বেশি। আমি আমার পরিবারের একটি আদরের সন্তান। আমাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হলেও আমি ছিলাম সবার আদরের। আমি ছোটবেলা থেকে যা চাইতাম তাই সব সময় পেতাম। পরিবার পরিজন ছেড়ে, দুটি বছর অন্য একটি সংসারে কাটিয়ে নিয়েছি ভাবতেই অবাক লাগছে। এই দুইটি বছর যে আমার জীবন থেকে চলে গেছে তা আর ফিরে আসবেনা। আমি আমার পরিবারের চেয়ে আমার শ্বশুর বাড়ির পরিবারকে বেশি আপন বলে মনে করি। আমি আমার নিজের বাবার বাড়িতে এখন কম বেড়াতে যাই। অথচ বিয়ের আগে কখনো একরাত কোন মেহমানদের বাসায় বেড়াইনি। কারণ আমি আমার পরিবার ছাড়া কোথাও থাকতে পারেনি। এমনকি আমার পরিবারও আমাকে ছাড়া থাকতে পারে না। আর সেই আমি এখন বাবার বাড়িতে কম যায়। বাবার বাড়িতে যদিও যাই স্বামীর জন্য অনেক টেনশন হয় আমার।
আমার হাজব্যান্ড একজন ভালো মানুষ। উনার সাথে আমি বিগত দুটি বছরে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। তিনি একজন জ্ঞানী মানুষ। আমি এমন একটি মানুষ পেয়ে অনেক ধন্য। তিনি আমাকে অনেক সাহস ও ভরসা দেয়। আমি বর্তমানে অনার্স সেকেন্ড ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছি। কিছুদিন পর থার্ড ইয়ারে উত্তীর্ণ হবো। তার মধ্যে আমার একটি সাড়ে তিন মাসের ছোট একটি মেয়ে আছে। আমার হাজব্যান্ড চাকরি করার সুবাদে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় থাকি। ছোট একটি মেয়ে লালন পলান, লেখাপড়া, পাশাপাশি সংসার চালানো অনেক কঠিন কাজ। তবে আমার সকল কাজই সহজ হয়ে যায় আমার স্বামীর জন্য। তিনি আমাকে সকল কাজে সহযোগিতা করেন।
আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী খুবই সিম্পল ভাবে পালন করা হয়েছে। এটি ছিল আমার হাজবেন্ডের একটি অবাক করা সারপ্রাইজ। আমার হাজব্যান্ড আমাকে না জানিয়ে সুন্দর একটি কেক অর্ডার করেছিলেন। সেই কেক টা আবার ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিয়েছিলেন। যাতে করে আমি ফ্রিজ খুলে কেকটা দেখে অবাক হয়ে যায়। ঠিক তেমনি আমি অনেক অবাক হয়েছিলাম। ফ্রিজ খুলে যখন কেকটি দেখেছি। আমার দুচোখ দিয়ে পানি চলে এসেছিল। আমার হাজব্যান্ড আমাকে এতটা ভালবাসে যে, অনেক সময় আমাকে অনেক সারপ্রাইজ দেন। আমাকে অনেক গিফট দেন। আমাকে অনেক জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যায়। আমাকে অনেক হাসিখুশি রাখেন। আমি মনে করি আমার পরিবারের মানুষগুলো যেমন আমাকে ভালোবাসতো ঠিক তেমনি আমার স্বামী ও আমাকে অনেক ভালোবাসে। তবে পরিবারের ভালোবাসার চেয়ে স্বামীর ভালোবাসাটা অনেক বড়। যার জন্য আমি আমার পরিবারের কথা মনে পড়লেও তাদের কাছ থেকে বেশি গুরুত্ব দেয় আমার স্বামীকে। কারণ আমিও তিনাকে অনেক পছন্দ করি ও ভালোবাসি।
আমার স্বামী শুধু যে একটি কেক দিয়ে আমাকে সারপ্রাইজ দিয়েছিল তা কিন্তু নয়। তিনি আমাকে আমার পছন্দের চকলেট এনে দিয়েছেন। আমি আবার চকলেট প্রেমি। তাই আমার স্বামী আমাকে প্রায়ই চকলেট কিনে এনে দেন। এখানে এই দুইটা চকলেট দেখতে অনেক ছোট কিন্তু চকলেট গুলোর দাম ৩৫০ টাকা। তিনি আমাকে তার সামর্থ্য অনুযায়ী অনেক ভালো রেখেছেন। চকলেটের পাশাপাশি আমাকে একটি প্যারিস টাওয়ার ও উপহার দেন। আর একটি রিং উপহার দেন। সেই রিংটি আপনাদের মাঝে ফটোগ্রাফি করে পাঠায়নি এটি আমার হাতে পড়ে রেখেছি।
টাকা পয়সাওয়ালা দেখে বিয়ে করিনি। বিয়ে করেছি শিক্ষিত ও ধার্মিক একজন মানুষকে। জিনি আমায় সর্বোৎকৃষ্ট ভাবে রাখার চেষ্টা করছেন। আজ পর্যন্ত তার সাথে আমার কনো ঝগড়া হয়নি। আশা করি মৃত্যু পর্যন্ত হবেনা,ইনশাআল্লাহ। আমি রাগ করলে তিনি রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করে। সত্যি আমি ভাগ্যবতি এমন একটি জিবন সাথী পেয়ে। আমি আল্লাহ তালার কাছে লাখকুটি শুকরিয়া আদায় করি। আল্লাহ যে আমার ভাগ্যে এমন একজন স্বামী লিখে রেখেছিলেন। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন আমরা যেনো এইভাবে সারাটা জিবন পার করে দিতে পারি।
এ পর্যন্ত বন্ধুরা। সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। আর আমার পোস্ট কেমন হয়েছে জানাবেন। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। সবার জন্য শুভকামনা রইল।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম । দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী ।। | |
স্থান | ঢাকা নারায়ণগঞ্জ। । |
তারিখ | ৬/০৫/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit