হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি,আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আনন্দের সাথে শিক্ষনীয় একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করবো।
আমি তো তেমন নাটক দেখার সুযোগ পায় না। তবে গতকাল সন্ধার পরে বাবু ঘুমিয়ে যাওয়ার পরে হঠাৎ মন চাইলো একটি নাটক দেখি। ইউটিবে প্রবেশ করেই সামনে এই নাটকটি দেখতে পেলাম। মোশাররফ করিমের একটি নাটক একটু দেখেছিলাম। তবে সেই নাটকটি আমার কাছে তেমন ভালো লাগে নাই। যার ফলে এই নাটকটি দেখলাম। নাটকটি যেমন হাঁসির তেমনি আবার শিক্ষনীয় একটি নাটক। এই নাটকে অনেক গুলো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাসেজ দিয়েছে। মনযোগ সহকারে দেখলে নাটকটিতে অনেক তথ্য জানার আছে।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
- নাটকের নাম- শ্বশুর বাড়ির আপ্যায়ন।
- পরিচালের নাম- মহিন খান
- অভিনয় করেছেন-নিলয় আলমগীর, জান্নাতুল সুমাইয়া হিম, ফখরুল বাশের মাসুম, শফিক খান দিলু, শেলী আহসান, - জারিন খান রত্না, সেলজুক তারিক, মেমু সারিয়া, রিমুনান্দোখ, ক্ষিদ্র, ক্ষেত খান সহ আরো অনেকে।
- সময়- ৪২ মিনিটি
- মুক্তির তারিখ- ১৬ জুন ২০২৪
- ভাষা- বাংলা
- দেশ- বাংলাদেশ
- ধরন- পরিবারিক গল্প
সংক্ষিপ্ত রিভিউ-
“শ্বশুর বাড়ির আপ্যায়ন” নাটকটি খুবই সুন্দর। যারা দেখেন নাই, তারাতারি দেখে ফেলবেন। নাটকটি মুক্তি পেয়েছে মাত্র দুই মাস হয়েছে। এর মধ্যেই বারো মিলিয়ন ভিউ হয়েছে। তাছাড়া নাটকটিতে যারা অভিনয় করেছে তারা খুবই বিখ্যাত ও পরিচিত নাটক অভিনেতা। তারা দুইজন জুটি বেঁধে প্রচুর নাটক করেছে। যার ফলে তাদের নাটক দর্শকরা ভিউ করে বেশি। নাটকটি শুরু হয়ে নীলয় আর হিমের মাধ্যমে। নীলয় বিয়ের পরে শ্বশুর বাড়িতে বউকে নিয়ে বেড়াতে আসে। জামাইয়ের জন্য শ্বশুর বাড়ির মানুষ বিরাট আয়োজন করে অপেক্ষা করতে থাকে। তারা যখন বাড়িতে প্রবেশ করে তখনই নীলয়কে শ্বশুর শ্বাশুড়ি মিষ্ট ও শরবত দিয়ে আর শালিকা ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেয়। শ্বশুর বাড়ির এই আপ্যায়ন দেখে নীলয় মহা খুশি হয়।
তারপর রাতের বেলা শ্বশুর বাড়িতে নীলয়ের জন্য খাসির মাথা ভুনা, গরু, মুরগি সহ বিভিন্ন ধরনের খাবারের আইটেম করে। যা দেখে নীলয় অবাক হয়ে যায়। সে চিন্তা করে বাড়িতে সারাজীবন ডাল আর আলুর ভর্তা খেয়েছি। আর শ্বশুর বাড়িতে কত ধরনের খাবার। শুধু তাই নয় শ্বশুর তাকে হাতে খেতে দেয় না, বরং অন্যের হাতে খাবার খাইয়ে দেয়। আর জামাই ও মেয়ের জন্য স্পেশাল খাট ও ফুল দিয়ে রুম সাজিয়ে দেয়। যদি কারেন্ট চলে যায় তাহলে দুইজনকে হাতের মাধ্যমে বাতাস করার জন্য রাখা হয়েছে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠার পরে জামাই শ্বশুরকে সালাম করে পঞ্চাশ টাকা ও পাঞ্জাবী ও পায়জামা পেয়েছে, শ্বাশুড়িকে সালাম করে স্বর্ণের চেইন ও শার্ট পেন্ট পেয়েছে, শালী তাকে হাতের ঘড়ি উপহার দিয়েছে। এগুলো পেয়ে নীলয়ের বেহুশ হয়ে যাওয়ার অবস্থা।
শ্বশুর বাড়ির এত মজার মজার খাবার, গিফট আর আপ্যায়ন পেয়ে সে শ্বশুর বাড়িতে স্থায়ী ভাবে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। বউ ও তার সাথে থাকার জন্য রাজি হয়ে গেলো। তখন নীলয় তার বাবার বাড়িতে গিয়ে তার জন্মদাতা পিতা মাতা ও বড় ভাই ভাবীকে যা ইচ্ছা বলে সেখান থেকে একেবারে বিদায় নিয়ে চলে এসেছে। সে তার মা-বাবাকে বিভিন্ন কথার মাধ্যমে অপমান করে শ্বশুর বাড়ীতে একেবারে চলে আসে। এক মাস যাওয়ার পরেই বাস্তবতা বুঝতে পারে। শ্বশুর বিরক্ত হয়ে মজার মজার খাবার বন্ধ করে দেয়। জামাইয়ের সাথে সবাই খারাপ ব্যবহার আর বিরক্তি নিয়ে কথা বলে। তখন সে বুঝতে পারে কিছু একটা ঘটেছে। তখন বাবার বাড়ির কথা খুব মনে পরে। পরে বাবার বাড়িতে গিয়েও সেখানে ঠাই পায় না।
তখন শ্বশুর বাড়িতে আবার আসে। তখন শ্বশুর তাকে বলে আমি তোমাদেরকে আর রাখতে পারবো না। তোমরা যেখানে খুশি চলে যাও। আমি ছোটখাটো একটা ব্যবসা করি, সেটা দিয়ে প্রতিদিন তোমাদের মজার মজার খাবার খাওয়াতে পারবো না। তখন নীলয় বলে আমাদের একটু থাকার জায়গা দেন, আমি নিজে কাজ করে খাবো। থাকা খাওয়ার বিনিময়ে আমি যে কোন কাজ করতে পারবো। তখন শ্বশুর তাকে দিয়ে গরুর কাজ সহ জমিজমার সব কাজ করায়। তখন সে বাবার বাড়ি আর শ্বশুর বাড়ির প্রাথক্য বুঝতে পারে।
নাটকের শিক্ষা-
শ্বশুর বাড়িতে যতই আপ্যায়ন করুক, সেটা সাময়িকের জন্য। স্থায়ী ভাবে শ্বশুর বাড়িতে কেউ থাকতে গেলে অপমানিত হতে হয়। বাবা মা যতই গরীব হোক, বাবার বাড়ি যতই পুরাতন হোক এখানে থাকলে কেউ কিছু বলতে পারবে না। নির্ধারিত সময়ের পরে শ্বশুর বাড়ির থাকলে সবাই বিরক্ত হয়। তাই বাবার বাড়ির গুরুত্ব অনেক। সেটা সবাইকে বুঝতে হবে।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। এই নাটক আমিও দেখেছি আর খুবই শিক্ষনীয় একটি নাটক। নিজের বাড়ির মত শান্তি আর কোথাও নেই। শ্বশুর বাড়ি হঠাৎ হঠাৎ গেলে মজা বেশি কিন্তু যখন জামাই একটানা এক সপ্তাহ থাকে তখনই সবাই বিরক্ত হয়ে যায়। নিলয় আর হিমির জুটি খুব ভালো লাগে তাছাড়া তাদের অভিনয় ও খুব সুন্দর হয়। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জ্বি আপু এই নাটকটি অনেক শিক্ষনীয়। আপনাকেও ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit