পরম করুনাময় অসীম দয়ালু, মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করছি-
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি,আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আপুর পক্ষ থেকে গিফট পাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো।
আমি প্রায় সময় ব্লগের মাধ্যমে আমার ফেমিলির বিষয়ে আপনাদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শেয়ার করেছি। আমার বড় যে আপু তিনিকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে বাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার জালশুখা গ্রামে। আপুর হাসবেন্ড মানে আমাদের দুলাভাই সৌদিআরব প্রবাসী। তিনি বিয়ের আগে থেকেই সৌদিআরবে থাকেন। তিনি করোনার আগে বাংলাদেশে এসে বিয়ে করে ছয়মাস থেকে আবার চলে গেছেন। তিনি সৌদিআরবের একটি তেল কোম্পানিতে জব করেন। যার ফলে তেমন ছুটি পায় না। কোম্পানির পক্ষ থেকে দেওয়া বাসার মধ্যেই থাকেন। তবে খাওয়া দাওয়া নিজের খরচে করতে হয়।
ঐ কোম্পানিতে প্রবাসী যারা বিয়ে করেছে তাদেরকে একটি সুযোগ দেয়। আর সেটা হলো যদি কর্মীরা স্ব স্ব দেশ থেকে তাদের ফেমিলিকে সৌদিআরবে নিয়ে যেতে পারে, তাহলে কোম্পানি তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিবে। মানে ফেমিলিকে একটি ফ্লাট দিয়ে দেয়। তবে একটি ফেমিলি সর্বচ্চ এক বছর থাকতে পারবে। পরের বছর আবার অন্য কোন একজনকে সুযোগ দিতে হবে। এভাবে সবাই তাদের ফেমিলিকে সৌদিআরবে নিতে পারে। এমন ভাবে আমার দুলাভাইয়ের সুযোগ আসে। তিনিও আপুকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অবশেষে আপু ও আমার দেড় বছর বয়সের ভাগনী সৌদিআরবে চলে যায়।
কিন্তুু দুঃখের বিষয় হলো সৌদি আরবের আবহাওয়া আপু সহ্য করত পারে নাই। সেখানে আবহাওয়াতে যাওয়ার এক সাপ্তাহ পরেই আপু অসুস্থ হয়ে যায়। তারপর সেখানে হাসতালে ভর্তি থেকে সুস্থ হলেও সেটা স্থায়ী হয়নি। হাসপাতাল থেকে আসার কয়েকদিন পরে আবার অসুস্থ হয়ে যায়। এভাবে কয়েক দিন ভালো থাকলে আবার অসুস্থ হয়ে যায়। আপুর এই অবস্থা দেখে আপু নিজেই দুলাভাইকে জানায় যে, তিনি বেশিদিন সৌদিআরবে থাকতে পারবে না। আর অসুস্থ হয়ে গেলে আপুর মেয়েও জালাতন করে। সব মিলিয়ে আপুর ঐ জাগায় থাকাটা এক প্রকায় অসম্ভব হয়ে দাড়ায়।
একবছরের ভিসা নিয়ে গেলেও মাত্র দুই মাস থেকেই আপু বাংলাদেশে চলে আসার জন্য অস্থির হয়ে গেলো। অবশেষে আপু দেশে আসার জন্য প্রস্তুুতি নিতে লাগলেন। এদিকে আপু অসুস্থ থাকার কারনে বের হয়ে কোথাও যেতেও পারছে না। ভিসা টিকেট সব কিছু দুলা ভাই ব্যবস্থা করেছে। আর দুলাভাইয়ের মাধ্যমেই আমাদের সবার জন্য টুকিটাকি কিছু গিফট কিনে আনলেন। আপু বাংলাদেশে এসে আমাকেরকে বলে যে আর যদি এক সাপ্তাহ সেখানে থাকতো, তাহল তার লাশ বাংলাদেশে আনতে হতো। এর দ্বারা বুঝতে পেরেছি আপু কতটা অসুস্থ ছিলেন।
বাংলাদেশের এসে আপু আমাদের ভাই বোন ভাগিনা ভাগনি সবাইকে টুকিটাকি কিছু গিফট দিলেন। আমাদের ফেমিলিতে যেমন মানুষের সংখ্যা বেশি, তেমনি ভাগিনা ভাগনিও বেশি। আবার আপুর শ্বশুর বাড়িতেও অনেক জন সংখ্যা রয়েছে। সবার জন্যই কিছু না কিছু এনেছেন। আমাকে আপু একটি কম্বল, ঘড়ি, বেসলাইন আর আমার বাবুর জন্য কিছু কসমেটিক্স দিলেন। আপু অসুস্থতার কারনে মার্কেটে যেতে পারে নাই। দুলাইয়ের মাধ্যমে এই গুলো কিনিছিলেন। সবার স্কিন সব দেশের আবওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে পারে না। যেমনটা আপুর ক্ষেত্রে হয়েছে।
এছাড়াও আপু আমাদের সবার জন্য চকলেট এনেছেন। আমাকে আপু এক্সট্রা করে এক বক্স চকলেট দিয়েছিল। আসলে ছোট থেকেই আমাকে সবাই একটু বেশি আদর করতো। বাবা-মা ভাই বোন সবাই আমাকে আদর করতো। আজকে আমি ঢাকাতে একা একা থাকি, সবার আদরকে খুবই মিস করি। আজকে পোষ্ট লেখার সময়ও আপুকে খুবই মনে পড়েছে। যায়হোক আপুর জন্য সবসময় দোয়া করি। যেন আপু সুখে ও শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারে। আপুর ভালোবাসা কখনো ভুলতে পারবো না।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | আপুর পক্ষ থেকে গিফট পাওয়ার অনুভূতি।। |
স্থান | ভাদুঘর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১৯-০৬-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিকই বলেছেন আপু সব দেশের আবহাওয়া এক নয় আর সবাই এটা সহ্য করতে পারে না । আপনার আপু এক বছরের জন্য সৌদি আরবে গেলেও সেখানে মাত্র দুই মাস থেকে অসুস্থ হয়ে যায় আর তারপরে বাড়িতে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেই। বাড়িতে আসার সময় তার শ্বশুরবাড়ি সহ বাবার বাড়ি সবার জন্য টুকিটাকি অনেক জিনিসপত্র এনেছে। তবে আপনার আপু অসুস্থ থাকার কারণে সবই আপনার দুলাভাই কিনেছে । অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস আপনাকে উপহার দিয়েছে আপু জেনে ভালো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
উপহার পেতে আমাদের সবারই অনেক ভালো লাগে। আপনি আপনার আপুর পক্ষ থেকে দারুন উপহার পেয়েছেন দেখে সত্যিই ভালো লাগলো আপু। উপহার পেলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে সৌদি আরবের ওয়েদার এবং বাংলাদেশের ওয়েদার এর মধ্যে অনেক পার্থক্য। এজন্য হয়তো আপনার আপু সেখানে বেশিদিন থাকতে পারেনি। তাছাড়া সৌদি আরবে যে পরিমাণ গরম তাতে করে অসুস্থ হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে আপনার আপু অসুস্থ থাকার পরেও আপনাদের কথা চিন্তা করে এত পরিমাণ গিফট এনেছে, এটা তো খুবই ভালো কথা। যাই হোক, গিফট গুলো কিন্তু আমার নিজেরও অনেক পছন্দ হলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
🌟 Beautiful artwork! 😊
I love how vibrant and colorful these images are! 🎨 It's like stepping into a world of wonder and magic. Can you tell us more about the inspiration behind this piece? Are there any hidden meanings or stories behind each image?
Also, I have to ask... what's the story behind the Steem community's growth and success? How can we contribute to it? Let's discuss! 🤗
And don't forget to cast your vote for our amazing witness @xpilar.witness by visiting https://steemitwallet.com/~witnesses. Your support means the world to us, and together we can make a difference in this wonderful community! 💖
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit