পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি।
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে সুন্দর একটি আকাশ দেখার অনুভূতি শেয়ার করবো।
বন্ধুরা আপনারা সবাই জানেন যে,বর্তমানে আমি ব্রহ্মণবাড়িয়াতে আছি। আমাদের বাসা যেহেতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে, সে জন্য শহরকে কেন্দ্র করেই আমাদের সব কিছু। বাজার সদাই, কেনা বেচা, স্কুল কলেজ, ডাক্তার সব কিছু আমাদের শহরেই করতে হয়। আর মূল কথা হলো শহরে অমাাদের দোকান আছে। বাবা আর বড় ভাই আমাদের ব্যবসা চালায়। আর আমার ছোট ভাই ও শহরের একটি দোকানে টেইলার্সের কারিগর হিসাবে কাজ করে। নানার বাড়ি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেইন শহরে। সে জন্য ছোট থেকেই আমাদের শহরে বড় হওয়া। এই শহরটা আমাদের খুবই পরিচিত। শহরের আনাচে কানাচে আমাদের অনেক স্মৃতি রয়েছে। অনেক দিন পরে ঢাকা থেকে যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে যায়, চিরচেনা শহরটা দেখলেই কেমন যেন হৃদয়টা মোচর দিয়ে উঠে। শহরের রাস্তা ঘাট, দোকান পাট, স্টেশন সবকিছুর প্রতি আমার মায়া জন্মে গেছে।
আপনারা সবাই জানেন যে, গত কয়েক দিন যাবৎ বাংলাদেশের আবহওয়া খুবই খারাপ গেছে। টানা দুইতিন দিন বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও বৃষ্টিতে বাড়ি ঘর দোকান পাট তলিয়ে গেছে। কক্সবাজার সহ দক্ষিন বঙ্গের দিকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কয়েকদিন আমরাও ঘর থেকে বের হয়নি। প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। এখন নিন্মচাপ কেটে গেছে, যার ফলে বৃষ্টিও থেমে গেছে। গত কাল হালকা হালকা রোদ উঠেছিল। কিন্তুু আজকে প্রচুর রোদ উঠেছে। আকাশ আবার নতুন করে হেঁসেছে। আজকে আকাশের দিকে তাকালে হৃদয়টা ভরে যায়। কত সুন্দর আকাশ। কত সুন্দর সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি। যত দেখি ততই মুগ্ধ হয়।
আজকে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠার আগেই আমার চার নাম্বার আপু আমার মোবাইলে ফোন দেয়। মোবাইলের রিংটনের আওয়াজ শুনে আমার ঘুম ভাঙ্গে। চোখ বন্ধ করেই, হাত দিয়ে মোবাইলাটা খুজে রিসিভ করলাম। আপু বললো কিছুদিন আগে আমাদের বাড়িতে গিয়ে কিছু নতুন ড্রেস টেইলার্সের কাছে বানাতে দিয়েছিল। কিন্তুু ড্রেস বানানোর আগেই আপু জরুরী ভিত্তিতে শ্বশুর বাড়িতে চলে গেছে। এখন টেইর্লাস নাকি আপুকে ফোন দিয়ে বলেছে, ড্রেস গুলো বানানো হয়ে গেছে। সে গুলো নিয়ে যেতে। আপু তো শ্বশুর বাড়িতে চলে গেছে, এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জামিয়া ইউনুছিয়া বড় মাদ্রাসায় আপুর দেবর পড়াশোনা করে। সে আজকে বাড়িতে যাবে। আমি যেন সকাল বেলা তার মাদ্রাসার কাছে এসে ড্রেস গুলো দিয়ে যায়। অথবা আমাদের দোকানে বাবার কাছে গিয়ে দিয়ে আসলেও হবে।
রাতে যদি বলতো তাহলে বাবা অথবা ভাইয়ের কাছে ড্রেস গুলো দিতে পারতাম। কিন্তুু আব্বু আর ভাইতো সকাল বেলায় দোকানে চলে যায়। তাই বাধ্য হয়ে আমাকেই যেতে হলো। কারন আমার ছোট যারা আছে, সবার স্কুল মাদ্রাসা আছে। বড় আপু বললো ড্রেস গুলো না নিয়ে গেলে রাগ করবে। সেই জন্য আজকে দশটার পরে আমি নিজেই একটা রিকশা নিয়ে মেইন শহরের দিকে গেলাম। আজকে প্রচন্ড রোদ উঠেছে। ফ্লাইওভারে উঠেই রোদের তীব্রতা অনুভব করলাম। তারপর আকাশের দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কত সুন্দর আকাশ।
আজকে আকাশ তার সব অভিমান ভুলে হাঁসি দিচ্ছে। নীল আকাশের মাঝে সাদা সাদা মেঘ দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আকাশের রোদের কারনে আকাশে দিকে তাকানো যাচ্ছে না। আমি রিকশা থেকে নেমে একটি দোকানের ছায়াতে গিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো করলাম। রোদ উঠেছে, আকাশ হাঁসতেছে আবার অন্যদিকে মানুষ কর্ম ব্যস্ততায় বের হয়ে গেছে। সকাল হলেই মানুসের আনাগুনায় মুখরিত হয়ে উঠে চির চেনা সেই শহর। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আকাশ আর ঢাকার আকাশে অনেক পার্থক্য রয়েছে। যেহেতো ব্রাহ্মানবাড়িয়াতে পরিবেশ দূষন করার মত তেমন কোন মেইল ফেক্টরী নেই। রাস্তায় তেমন ধূলাবালিও নেই। তাই আকাশও অনেকটা পরিষ্কার। আর ঢাকার মানুষ নিজেরাই ধীরে ধীরে ঢাকাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম দিকেই ঢাকার নাম থাকে। সেটা আমাদের জন্য খুবই লজ্জার ব্যাপার।
আমি যদি ব্রাহ্মণবাড়িয়া না আসতাম। তাহলে হয়তো এত সন্দর আকাশ দেখার স্বাক্ষী হতে পারতাম না। আজকে আকাশের সাথে আমিও হাঁসি। আকাশ বাতাস ভালো থাকলেই ভালো থাকবো আমরা। পরিবেশ সুন্দর থাকলেই আমরা সুস্থ থাকবো। তাই আকাশ, বাতাস, পরিবেশ সব কিছু আমাদের জীবনে জড়িয়ে আছে। আমি চাই সবসময় যেন আকাশ এমন ভাবেই হাঁসে। আকাশের হৃদয়ের সমস্ত দুঃখ বৃষ্টি হয়ে জড়ে গেছে। তাই আকাশ এমন ভাবে হাঁসতেছে।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | আজকের আকাশটা অনেক সুন্দর। |
স্থান | টিএ রোড, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১৭-০৯-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
আপু আপনার বড় আপুর ড্রেস নিয়ে যাওয়া উদ্দেশ্যে সকাল সকাল বাইরে বের হয়ে কিন্তু ভালোই হয়েছে। এত সুন্দর একটি আকাশ আপনিও দেখতে পারলেন আর আমাদের সাথেও শেয়ার করলেন। সত্যি আকাশটা অনেক সুন্দর দেখতে। মাঝে মাঝে এত ভালো লাগে নীল আকাশের মাঝে সাদা মেঘ গুলো দেখতে। আজকের এত সুন্দর একটি আকাশ আমাদের সাথে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার ছবি গুলোর মাধ্যমে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার কিছু চিত্র দেখার সৌভাগ্য হলো আমাদের। ধন্যবাদ এ জন্য আপনাকে। নিজের বেড়ে ওঠার জায়গাকে আসলে সবারই ভাল লাগে অসম্ভব।
যাহোক। ইলেকট্রনিক তার, ডিসের তার, ইন্টারনেটের তারের জড়াজড়ির চিত্র সব শহরেই একই রকম মনে হয় 😎।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি ঠিক বলছেন অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় তলিয়ে গেছে। কিন্তু এখন তো রোদ উঠেছে আকাশটা খুবই সুন্দর। আপনি খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করলেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit