কয়েকটি ট্রেডিশনাল ফটোগ্রাফি :-

in hive-129948 •  4 months ago 

হ্যাল্লো বন্ধুরা

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। ইতিমধ্যে টাইটেল দেখেই বুঝতে পারছেন আজ আমার করা কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। যদিও আমি খুব একটা দক্ষ না ফটোগ্রাফি তে। তবে চেষ্টা করছি নিজেকে উন্নত করার। আজকের ফটোগ্রাফি পোষ্ট এ আপনাদের সামনে আমাদের ঐতিহ্য এর সাথে মিশে আছে, এমন কিছু জিনিস নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের সবগুলো ছবিই আড়ং এর শো রুম থেকে তোলা। আড়ং বরাবর ই এমন বিষয় গুলো নিয়ে কাজ করে থাকে। আশা করছি আপনারা আপনাদের মূল্যবান মতামত শেয়ার করবেন। তো চলুন মূল পোস্টে চলে যাই---


১ম ছবি:
সর্ব প্রথম ছবি টি তে আমরা চমৎকার কিছু বাহারি রঙ এর মাটির জিনিস দেখতে পাচ্ছি। এমন দারুণ দারুণ রং-বাহারি জিনিস গুলো কিন্তু মাটির তৈরি টব। আড়ং এ এমন দারুণ রুচি সম্পন্ন মাটির টব দেখে যেন অবাক না হয়ে পারি না আমি।


ফোকাল ল্যান্থঃ 4.71 mm, ISO 250
নন- এডিটেড


২য় ছবি:
এই ছবিটাতে দেখা যাচ্ছে মাটির তৈরি বিভিন্ন রকমের ছোট ছোট পুতুল। বিভিন্ন রঙের, বিভিন্ন আকৃতির হাতি, পেঁচা, ঘোড়া ইত্যাদি। মাটির তৈরি এমন পুতুলগুলো কিন্তু আমাদের ঐতিহ্যের সাথে মশে আছে সেই প্রাচীন সময় থেকেই। আর দেখতেও ভীষণ কিউট!



ফোকাল ল্যান্থঃ 4.71 mm, ISO 100
নন- এডিটেড


৩য় ছবি:
নিচের ছবিটিতে মাটির তৈরি রাম্মা ঘরের ব্যবহৃত নানা তৈজসপত্র সাজানো রয়েছে। এর মাঝে নানা আকৃতির প্লেট, হাড়ি দেখা যাচ্ছে। মাটির তৈরি এসব তৈজসপত্র এর কিন্তু আলাদা আবেদন আছে মেয়েদের কাছে! একথায় সকলেই একমত হবেন।


ফোকাল ল্যান্থঃ 1/471; ISO 320
নন- এডিটেড


৪র্থ ছবি:
নিচের ছবিতে নানা ধরনের, নানা থিমে কাপড় দিয়ে তৈরি করা পুতুল এর সমাহার দেখা যাচ্ছে। এই পুতুলগুলোও সামনা সামনি নেশ দারুণ লাগছিলো দেখতে।


ফোকাল ল্যান্থঃ 1/47;, ISO 200
নন- এডিটেড


৫ম ছবি:
নিচের বেশ কয়েকটি পুতুলের ছবি আলাদা আলাদা করে শেয়ার করছি। এর মাঝে কোনো টি বা নতুন বৌ- পুতুল, কোন টা বা সবজি বিক্রেতা, আবার কোন পুতুল তৈরি করা হয়েছে গ্রামের বৌ হিসেবে, কোন টা বা বিশেষ উপজাতির আদলে। আশা করবো আপনাদের ও ভালো লাগবে।




ফোকাল ল্যান্থঃ 4.71 ; ISO 640
নন- এডিটেড

আজকের পোষ্ট এ পর্যন্তই থাকলো।সামনে হয়তো আবারো হাজির হবো অন্য কোন বিষয় নিয়ে। আপনাদের কেমন লেগেছে, জানাবেন কিন্তু। সবাই সাবধানে থাকবেন। সবার সুস্থতা কামনা করি।

পোষ্টের ধরন : ফটোগ্রাফি

ক্যামেরা: Realme 5G SE

লোকেশন : আসাদগেট আড়ং

ছবি: @tithyrani

এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
🌼 ধন্যবাদ 🌼

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
@rme as your proxy
witness_vote.png

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20211205_182705.jpg

আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।



Posted using SteemMobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

বাহ আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এমনিতেই মাটির তৈরি কোন কিছু জিনিস দেখলে সত্যিই আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। এত সুন্দর একটি পোস্ট তৈরি করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার সুচিন্তিত মতামত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই। আপনার মন্তব্য পেয়ে বেশ ভালো লাগলো।

দারুন সব ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার চমৎকার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। বিভিন্ন পর্যায়ের এমন সুন্দর সুন্দর পুতুল বেশ অনেকদিন স্বচক্ষে দেখা নাই। এজন্য আরো বেশি ভালো লাগলো আপনার পোস্ট।

হ্যা ভাই। এই ধরনের পুতুল গুলো তো আগে বাড়ির মেয়েরা ঘরেই বানাতো। কিন্তু এখন খুব একটা দেখাই যায় না।

ঠিক বলেছেন আপু আড়ং সব সময় আমাদের ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করে। আড়ং এ গেলে ওরাতো ছবি তুলতে দেয় না। আপনি কিভাবে ছবি তুললেন? যাইহোক আপু আড়ং এর এইসব জিনিস দেখলে খুব ভালো লাগে। মনে হয় যেন সব কিনে নিয়ে আসি। বিশেষ করে মাটির হাঁড়ি-পাতিল গুলো। খুব ভালো লাগছে আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।

আসলেই আড়ং এ গেলে মন চায় সব কিছুই কিনতে! এত সুন্দর সুন্দর জিনিসের কালেকশন ওদের। আমি আসাদগেট আড়ং থেকে ছবিগুলো তুলেছি। কেউ মানা করে নি তো আপু।

অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে আপনার তোলা আজকের এই ফটোগ্রাফি গুলো। মাটির জিনিসগুলোর ফটোগ্রাফি দেখে আমি তো জাস্ট মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মাটির এরকম জিনিস আমি অনেক পছন্দ করি। কিউট কিউট দেখতে পুতুলগুলো আরো বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। পুতুলগুলো ঘরে সাজিয়ে রাখলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে। মাটির জিনিস গুলোর মুগ্ধ হওয়ার মতো ফটোগ্রাফি করে সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন, এটা দেখলে সবার কাছে ভালো লাগবে।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। এমন মাটির জিনিস আসলে সবার ই নজর কাড়ে!

আসলেই সুন্দর কিছু ট্রেডিশনাল চিত্র আপনার কাছ থেকে দেখতে পেলাম। আসলে খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা দিয়েছেন এবং ফটোগুলোও দেখার মত ছিল আপু। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আপনার শুভকামনা পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। দোয়া করবেন।

কোন সন্দেহ নেই আপনি আজকে খুবই দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। এগুলো হলো ঐতিহ্যবাহী। একটা সময় এগুলো অনেক দেখা যেত কিন্তু এখন দেখাটা অনেক কঠিন। বলতে গেলে এগুলো সহজে পাওয়া যায় না। তবে আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে এগুলো অনেকদিন পরে দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

জি ভাই। এগুলো আগে খুব প্রচলিত ছিলো। অথচ এখন আর তেমন পাওয়া যায় না বলেই অনেক বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়!