হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সকলকে আমার আদাব/ নমষ্কার 🙏🙏। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সুস্থ আছি। আজ আপনাদের সাথে আবারো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের পোষ্ট টি আপনারা টাইটেল দেখেই বুঝতে পেরেছেন ইতিমধ্যে, নাটক রিভিউ পোস্ট। আশা করবো আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। তো চলুন সবার আগে নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখে নেই এক নজরে.....
এক নজরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :
নাম: | নতুন বউ |
ডিরেকশন: | রুবেল হাসান |
প্রোডিউসার : | ফকরুল রেয়া |
অভিনয়ে: | অপূর্ব , সাবিলা নূর ও আরো অনেকে |
প্রকাশ মাধ্যম : | ইউটিউব |
দৈর্ঘ্য : | ৪৪: ০৫ মিনিট |
ভাষা: | বাংলা |
নাটকের শুরুতে দেখবো তিথি ও আনিস অস্ট্রেলিয়ায় নতুন বাসায় এসেছে। আসলে তারা সদ্য বিবাহিত। আনিস অট্রেলিয়া প্রবাসি। শুরুর দিকে নানা দৃশ্যে আমরা দেখি যে তিথি নানা ভাবে আনিস কে অপদস্ত করে। তিথির চেয়ে আনিসের বয়স কিছুটা বেশি বলে একদিন তিথি আনিস সাহেব কে বলে যে আনিস সাহেব তার চাচার সমবয়সী, তাই তিথি তাকে তুমি করে বলতে পারবে না। এক বিছানায় ঘুমাতেও পারবে না। কারণ তিথির সাথে কেউ ঘুমালে তিথি তাকে লাত্থিও মারে ঘুমের ঘোরে, আর যেহেতু আনিস সাবেহ গুরুজন তাই তিথি গুরুজনের গায়ে পা দেয়ার মতো অসম্মান করতে পারবে ননা। তার ফ্যামিলি সবসময় গুরুজনকে সম্মান করতে শিখিয়েছে।
আনিস তার বন্ধুর সাথে পরামর্শ করে তিথিকে ইমপ্রেস করার জন্য কফি বানায়, গান গায়, রান্না করে তিথিকে খাওয়ায়, তিথির অতিরিক্ত লবণ দেয়া খাবারের প্রশংসা করে এমনকি না না ধরনের গিফটস এনে দেয়। তিথির বার্থডে সেলিব্রেট করে কিন্তু তিথি খুশি হয় না এসবের কিছুতেই। আসলে তিথির বয়ফ্রেন্ড অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে থাকে, তার কাছে আসার জন্যই তিথি আনিসকে বিয়ে করেছে এবং তার থেকে দূরে থাকছে। ওদিকে তিথির সেই বয়ফ্রেন্ড সবকিছু শুনেও তিথিকে কাজের অযুহাত দেখিয়ে নানা বাহানা করে দেরি করতে থাকে, দেখাও করে না তিথির সাথে। আনিস এর কাছ থেকে তিথি বেশ কিছু ডলার চেয়ে নিয়ে সেই বয়ফ্রেন্ড এর বাসায় চলে আসে। আসার পথে আনিসকে মোবাইলে ম্যাসেজ দিয়ে সব স্বীকার করে নেয় যে সে তার বয়ফ্রেন্ড এর কাছে আসার জন্যই আনিসকে বিয়ে করেছে। এই ম্যাসেজ দেখে আনিস ভীষণ মন খারাপ করে এবং প্রায় কেঁদে ফেলে। তখনই আনিসের মা কল দিলে তাকে এসবের কিছুই বলে না বরং তিথির বিষয়ে ভালো ভালো কথা বলে মাকে চিন্তা করতে না করে।
ওদিকে তিথি তার বয়ফ্রেন্ড এর বাসায় গেলে তার বয়ফ্রেন্ড ঘাবড়ে যায় এবং বকা দেয় যে হুট করে কেন চলে এসেছে। তিথি বলে যে বিয়ে নামক সম্পর্কে আবদ্ধ থেকে এভাবে আনিসকে ঠকাতে তার ভালো লাগছে না। বলতে বলতে দেখে ভেতর থেকে এক মেয়ে আসে, সে নাকি তিথির বয়ফ্রেন্ড এর ফিয়ন্সি। দেখে তিথি নিজের ভুল বুঝতে পারে এবং তাদের শুভকামনা জানিয়ে কাঁদতে কাঁদতে চলে আসে। ওদিকে আনিস ও বাসায় মন খারাপ ভাব নিয়ে ঘরে এসে দেখতে পারে যে তিথি সিড়িতে বসে আছে। তিথিকে সে কিছু জিজ্ঞেসও করে না। এভাবে আস্তে আস্তে তিথি এবার ভাব জমাতে চায় কিন্তু আনিস একেবারে চুপ করে যায়....
এরপর শেষ টুক বরাবরই আমি বলে দিবো না। আগ্রহ হলে দেখে নিবেন।
ব্যক্তিগত মতামত:
নাটকটি আমার কাছে মোটামুটি ভালোই লেগেছে। আসলে বিদেশে যারা থাকে, তাদের লাইফ বাইরে থেকে দেখতে অনেক জাকজমক মনে হলেও তাদের স্যাক্রিফাইস ও থাকে অনেক। পরিবারের সকল দ্বায়ীত্ব পালনের পর তাদের বিয়ের সময়ে দেখা যায় বয়স অনেক হয়ে গিয়েছে৷ তাই বলে কি তারা কাউকে ভালোবাসতে পারে না?? কাউকে ভালোবাসার, বিয়ে করার, একটা সুখী পরিবার তৈরি করার স্বপ্ন তো তাদের ও থাকে!
ব্যাক্তিগত রেটিং : ৮.৫ /১০
নাটকের লিংক :
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
VOTE @bangla.witness as witness OR @rme as your proxy
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। সত্যিই যারা বিদেশে থাকে তাদের বাহিরে থেকে দেখে একদমই অন্যরকম লাগে কিন্তু তারাই সবচেয়ে বড় স্যাক্রিফাইস করে। তাদের ও শখ বলতে কিছু থাকে কিন্তু সময়ে তারা কিছুই করতে পারে না। যাই হোক অপূর্ব আর সাবিলা নূরের খুব সুন্দর একটি নাটক। এখনও দেখা হয়নি সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণ নাটকের রিভিউ তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সঠিক কথা বলেছেন আপু। তারাই অনেক স্যাক্রিফাইস করে যেটা কারোর চোখে পড়ে না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই নাটকটি অনেকদিন আগে আমিও দেখেছিলাম। খুবই ভালো লেগেছিল আমার কাছে। অপূর্বর নাটক আমার কাছে ভালোই লাগে। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন আপু বিদেশের লোকজনের বাইরে চাল-চলন দেখে তাদের খুবই সুখী মনে হয়। কিন্তু ভিতরে দেখলে বোঝা যায় তাদের অবস্থা। সুন্দর করে আপনি রিভিউ উপস্থাপন করেছেন। ভালো লাগলো পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অপূর্বর নাটক আমার কাছে দেখতে অনেক ভালো লাগে। আমি তো বেশির ভাগ সময় তার নাটক গুলো দেখে থাকি। অপূর্ব এবং সাবিলা নূরের এই নাটকটা অনেক সুন্দর হয়েছে। এই নাটকের পুরো কাহিনীটা ছিল অনেক সুন্দর। আমার কাছে নাটকের কাহিনী অনেক ভালো লেগেছে। তাই ভাবছি সময় পেলে নাটকটি দেখব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু। নাটকটি বেশ ভালো। আশা করছি দেখলে ভাল লাগবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনি অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করছেন। যদিও তেমন অপূর্বর নাটক আমি দেখি না, কিছু নাটকের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগে। আপনার নাটকের রিভিউ টি দারুণ হয়েছে। সময় করে নাটক টি দেখে নিবো।ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই সব নাটক তো দেখা হয় না, তবে নাটক রিভিউ গুলো পড়ার চেষ্টা করি আমিও। রিভিউ পড়ে ভালো লাগলে দেখে নেই। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit