হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় পরিবার সহ বেশ ভালো আছি। আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করছি আজকের পোষ্ট টি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে৷
বন্ধুরা, আমি তিথী রানী, আমার নতুন আরেকটি ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। ইদানীং অবশ্য নিয়মিত ভাবে ব্লগিং টা করা হচ্ছে না আমার। একদমই অনিয়মিত হয়ে গিয়েছি আমি বলা যায়। যাই হোক, আজ হাজির হয়েছি এবছরের দূর্গা পূজার শপিং এর অভিজ্ঞতা নিয়ে। এবার দূর্গা পুজার শপিং করতে গিয়ে সে এক নতুন অভিজ্ঞতা! সে নিয়েই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এলুম।
আপনারা সকলেই জানেন, দূর্গা পূজোই আমাদের সনাতনীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বলে মানা হয় এই অঞ্চলে। আসলে বছরে এই শারদীয় দূর্গা পুজো তো একবারই আসে। তাই এ নিয়ে উৎসব আমেজের কমতি হয় না আমাদের মাঝে! পূজোর এক মাস আগে থেকেই যেন দিন গোণা শুরু হয়ে যায়! মহালয়ার পর তো মন যেন আর বাঁধাই থাকতে চায় না শহরে! খালি মনে হতে থাকে কবে বাড়ি যাবো, কবে বাড়ি যাবো! যদিও প্রতি বছর দেখা যায় ষষ্ঠী, সপ্তমী অফিস করে তারপরেই ছুটি মেলে! যাই হোক, তবে বছরে এই সময়টায় বাড়ির সকলের জন্য টুকটাক শপিং করা হয় আমাদের। বাবা-মা, দেবর এর পরিবার তো আছেই, সাথে কাকা শ্বশুড়, কাকাতো ননদ/দেবর সকলের জন্যই পুজোয় শপিং করি আমাদের পক্ষ থেকে। আমার হাজবেন্ড এর চাকরি জীবন শুরু হওয়ার পর থেকেই ও প্রতি বছরই এই কাজ টা করে আসছে। আসলে পুজো উপলক্ষে পরিবারের সকলকে আমাদের সাধ্য অনুযায়ী কিছু দিতে পেরে আমারও বেশ ভালো লাগে।
ঢাকায় যারা আছেন, তারা তো জানেন ই ঢাকায় প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে বেশ অনেক দিন থেকেই। আমরা শপিং এ গিয়েছিলাম গত শনি বারের দিন সকালেই। যখন বের হয়েছি, তখন সব ঠিকঠাক ই ছিলো। কিন্তু, নিউমার্কেট / গাউসিয়ায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে এমন বৃষ্টি শুরু হলো,সাথে সাথে রাস্তায় পানি জমে যেয়ে একাকার অবস্থা!! রাস্তায় তো পানি জমেছেই,, এমনকি মার্কেটের ভেতরও পানি জমে বেশ অনেক খানি ডুবে গিয়েছিলো মার্কেটের নীচতলাও!! এরই মাঝে হেঁটে হেঁটে এ-দোকান, সে-দোকান ঘুরে ঘুরে শপিং করতে হয়েছে। কারণ সে দিনে শপিং শেষ না করলে আর সময় নেই শপিং করার! এই বৃষ্টি বৃষ্টি করেই গত দুই সপ্তাহ ছুটির দিন বের হওয়া হয় নি! তাই এই শনিবারে এই পরিস্থিতি এভোয়েড করার কোন উপায় ই ছিলো না! নীচের ছবি গুলো দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন কেমন পরিস্থিতিতে এবছরের শপিং করতে হয়েছে! অবশ্য কেন এমন জলাবদ্ধতা, সেটার কারণও ছবিতেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। সে নিয়ে আর কথা না বাড়াই!
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit