হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় পরিবার সহ বেশ ভালো আছি। আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করছি আজকের পোষ্ট টি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে৷
কিছুদিন আগে, সেপ্টেম্বর এর ২৩ তারিখে আমার জন্মদিন ছিলো। জন্মদিন এর দিনটা তো বরাবরই ছোট - বড় সকল মানুষের কাছেই বছরের অন্যান্য দিনগুলোর চেয়ে কিছুটা স্পেশাল হয়ে থাকে। আমার কাছে তো তেমন ই লাগে। তাই নিজেকে অন্যান্য দিনের চেয়ে কিছুটা বেশিই ভালো রাখার চেষ্টা আমি নিজেও করি আমার জন্মদিনে। তার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে নিজেকে প্যাম্পার করা, বা নিজেকে কিছু না কিছু গিফট দেয়া। আর জন্মদিনের দিন যখন বাকিরাও নানা মাধ্যমে বাকিরাও নানা রকমের শুভেচ্ছা জানায়, তখন তো নিজেকে আরোও স্পেশাল লাগে। তবে সত্য বলতে, এবারের জন্মদিন টা আমার বেশ সারপ্রাইজিং গিয়েছে। সেই গল্পই আপনাদের সাথে করতে এলুম।
ঢাকায় মূলত আমরা টোনাটুনি দুইজন থাকি। বাবার চাকরিসূত্রে বাবা মা ও আগে ঢাকায় থাকতেন বটে। তবে বাবার রিটায়ারমেন্ট এর পর প্রায় দুই বছর হয়ে গিয়েছে তারা রংপুরে নিজেদের বাড়িতে থাকেন। এর আগের বছর আমার জন্মদিনে অবশ্য তারা ঢাকায় আমার বাসায় ছিলেন। এবারে মায়ের শরীরটা কিছু টা খারাপ থাকায় লং জার্নি করে আসেন নি। তো আমার হাসবেন্ড সকালে অফিসে যাওয়ার পর অন্যান্য দিনের মতোই একাই ছিলাম। হুট করে দুপুরে ২ টার দিকে বাসার দরজায় কেউ নক করে! সাধারণত তো কারোর আসার কথা না। কে কে জিজ্ঞেস করি, অনেক ক্ষণ শুধু বলে আমি! আমি টা কে, গলার স্বর চিনতে না পেরে আমিও দরজা খুলি না। পরে বলে, বৌদি, দরজা খুলো, আমি খেয়া!! তখন দরজা খুলে বুঝতে পারি যে আমার ননদ খেয়া! সে ময়মনসিংহ থেকে না জানিয়ে এসেছে শুধুমাত্র আমাকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য!! 😍😍 অবশ্য আমার হাজবেন্ড এর সাথে কথা বলেছে, কিন্তু তারা কেউ আর আমাকে জানায় নি!! বিকালে বাসায় আরেক ননদ এসে হাজির। ও অবশ্য আজিমপুর এর দিকে থাকে।
এরপর সন্ধ্যায় তাদের দুজনকে নিয়ে বের হই। বাহিরে গিয়ে হালকা খাওয়া দাওয়া করি। রাতে বাসায় এসে ফ্রেশ হতে না হতেই হুট করে আমার বৌদি কল দেয়। রিসিভ করতেই ১ম কথা বলে, তিথী দরজা খোলো! আমি তো আবারো অবাক! দরজা খুলে দেখি বৌদি অফিস শেষ করে কেক টেক নিয়ে বাসায় দরজায় হাজির!! 😇😇😇 সারাদিন অফিস শেষে, জ্যাম ঠেলে তার অবস্থা যে শোচনীয়, তা ছবি দেখেই বুঝতে পারবেন। তবুও হুট করে এসেছে, এটাও আরেক সারপ্রাইজ!! পরে আড্ডা শুরু হয় সবাই মিলে। হাজবেন্ড ও বাসায় চলে আসে৷ সবাই মিলে জম্পেশ রান্না বান্না করা হয়।খাওয়া দাওয়া হয়। তারপর একসাথে কেক কাটা পর্ব শেষ হয়।
আসলে আমার জন্মদিন উপলক্ষে এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুষ গুলো এভাবে হুট করে আমার বাসায় এসে আমাকে জন্মদিনে অনেক বড় সারপ্রাইজ দিয়েছে৷ মানুষের উপস্থিতি, মানুষের দেয়া সময়, মানুষের ভালোবাসা ই সবচেয়ে বড় উপহার!
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
VOTE @bangla.witness as witness OR @rme as your proxy
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনার পোস্ট পড়ে আমি তো ভীষণ মজা পেলাম তাহলে আপনার কতই না আনন্দ হয়েছিল। সারাদিন এত ব্যস্ত থাকার পরেও সবাই আপনার জন্মদিন টা কত আনন্দের সাথে পালন করল। ময়মনসিংহ থেকে আপনার ননদ আপনাকে না বলেই সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য চলে আসলো। সত্যি এরকম সারপ্রাইজ পাওয়া কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার। আপনার জন্মদিন উপলক্ষে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই আপু! ভীষণ ই সারপ্রাইজড হয়েছিলাম। আর ভীষণ ই খুশি হয়েছিলাম আসলেই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথমেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা দিদি দেরি করে হলেও।আসলে প্রিয় মানুষগুলো যদি হঠাৎ করে এভাবে সারপ্রাইজ দেয়, তাহলে অনেক ভালো লাগে। আর যদি হয় নিজের জন্মদিনে, তাহলে তো আরো বেশি ভালো লাগে। আপনাকে এরকমভাবে সবাই সারপ্রাইজ দিয়েছে জেনে ভালো লাগলো। সবাই একসাথে মিলে খাওয়া দাওয়া করেছেন, আনন্দ করেছেন, কেক কেটেছেন, এগুলো জেনে আরো ভালো লেগেছে। এরকমভাবে যেন হাসিখুশি ভাবে সব সময় থাকতে পারেন এটাই কামনা করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার শুভকামনার জন্যও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু 😍
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে। আপনার গাল ভরা হাসি অক্ষয় থাকুক। যেভাবে জন্মদিন ভরে উঠল প্রিয়জনদের আলিঙ্গনে সেরমই আজীবন থাকুক। পরিবার নিয়ে ভালো থাকা জীবনের অন্যতম অধ্যায়৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই তাই! পরিবারের মাঝে এমন অকৃত্রিম ভালোবাসা থাকলে জীবন সুন্দর হতে বাধ্য! 😍😍
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জন্মদিনের শুভেচ্ছা আপু। জন্মদিনে বেশ সুন্দর সময় কেটেছে আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম। শত ব্যাস্ততার মাঝে ও আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা দেওয়ার জন্য সবাই এসেছে জেনে খুশি হলাম। আপনার আগামী দিন গুলো শুভ হোক এবং হাঁসি খুশি থাকতে পারেন এই কামনাই করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জন্মদিনের সময় সবার কাছ থেকে অনেক ভালো সারপ্রাইজ পেয়েছেন। সবাই আপনার জন্মদিনে আপনার বাসায় এসেছিল, শুনে অনেক ভালো লাগল তাও আবার আপনাকে না জানিয়ে এসেছে। তাই জন্য আপনি অনেক খুশি হয়েছেন। জানিয়ে আসলে তো আর এত বেশি সারপ্রাইজ আপনি হতে পারতেন না। যাইহোক দিদি দেরি করে হলেও জন্মদিনের শুভেচ্ছা। সবাই মিলে সুন্দরভাবে মুহূর্তটা কাটিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। আমরা আগে থেকে জানলে তো চলে যেতাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপুর জন্মদিন দিনটি এমনিতে মানুষের কাছে স্পেশাল দিন থাকে। তবে আপনার জন্মদিনে সবাই এসে হঠাৎ করে আপনাকে সারপ্রাইজ দিতেছে। আসলে এরকম সারপ্রাইজ পেলে নিজের কাছেও ভালো লাগে। আপু দোয়া করি যেন আপনার সামনের দিনগুলো যেন ভালো কাটে। এবং প্রতিটি দিন যেন হাসিখুশি থাকতে পারেন এটাই কামনা করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit