মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোড এর রবিবারের মেলা

in hive-129948 •  17 days ago 

হ্যাল্লো বন্ধুরা

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় পরিবারসহ সুস্থ আছি, ভালো আছি। যাই হোক, আজ আপনাদের সাথে নতুন একটি পোষ্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। মোহাম্মদপুর এর সলিমুল্লাহ রোড এর রবিবারের মেলা বা হাট বেশ পরিচিত একটি মেলা বা হাট। ইদানীং ব্লগিং / ভ্লগিং এর যুগে তো আরোও বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আজ সেই সাপ্তাহিক মেলা বা হাট নিয়েই আমার আজকের পোষ্ট। আশা করবো আপনাদের ভালো লাগবে। পোস্ট টি আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন অবশ্যই। তো চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে যাই আজকের পোষ্ট টি তে.... ৷

IMG20241222123410.jpg


আজ রবিবার। মোহাম্মদপুর এলাকার সলিমুল্লাহ রোড এ বেশ জমজমাট একটা সাপ্তাহিক মেলা বা সাপ্তাহিক হাট বসে অনেক বছর ধরেই। সলিমুল্লাহ রোডের পানির ট্যাংকির মাঠ টি এমনিতেই বিশাল বড় মাঠ। সেই মাঠ জুড়েই বসে ভাসমান বিভিন্ন দোকান। সেখানে বাজারের চেয়ে কম মূল্যে পাওয়া যায় নানা জিনিস। সেখানে যেমন পাওয়া যায় ব্যবহৃত সেকেন্ড হ্যান্ড নানা জিনিস, আবার নতুন জিনিস ও পাওয়া যায়। এই মেলা বেশ জমজমাট অনেক আগে থেকেই। তবে এখন ডিজিটাল যুগে যখন ঘরে ঘরেই ভ্লগার রয়েছে প্রায়, সেই কল্যাণে এখন তো এই মেলা আরোও বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকটা দামে কম, মানে ভালো - প্রোডাক্ট এর মেলা হিসেবে। আজ যেহেতু রবিবার, আজ ছিলো সেই সাপ্তাহিক মেলার দিন। গতকাল ঢাকায় বেশ শীত ছিলো। এক ছিটে ফোঁটাও রোদের দেখা পাওয়া যায় নি। আজ আবার সকালে ঝলমলে রোদ উঁকি দিয়েছে। আজ সেই খুশিতে মনে হলো যাই, মেলা টা একটু ঘুরর আসি। এই সুযোগে superwalk এর জন্য কিছুটা হাঁটাও হবে। প্রতিদিন তো ঘরের মাঝেই হাটাহাটি করা হয়। আজ এক কাজে দুই কাজ হয়ে যাবে। এই ভেবে বের হই, তাও বের হতে হয়ে দুপুর ১২ টা! কিন্তু রোদ টা বেশ ভালোই লাগছিলো।



IMG20241222125333.jpg


IMG20241222123445.jpg


IMG20241222120630.jpg


একদম প্রথম ছবি, যেটা কভার ছবি তে শেয়ার করেছি, সেখানেই আপনারা দেখতে পারছেন কত মানুষের ভীড় জমে এই মেলায়। তাও এটা ছিলো দুপুর বেলার ছবি। সকাল ১০ টার আগে থেকেই দোকান পাট খুলে এখানে আর এই মেলা চলে প্রায় রাত ৮ টা পর্যন্ত! এবং সবসময়ই এমন মানুষের আনাগোণা থাকেই! সেই ছবি তো মেলার একাংশ, এছাড়াও মাঠের সংলগ্ন আরোও তিনটি রোডে দোকান বসে। তবেই বুঝুন কত বেচাকেনা হয় এই মেলায় আর কত জনপ্রিয় এই মেলা! এরপর আমি মেলা ঘুরতে ঘুরতেই বেশ কিছু জিনিস দেখতে থাকি এবং চেষ্টা করি আপনাদের সাথে শেয়ার করার মতো কিছু ছবি তোলার। তবে মানুষের ভীড়ের জন্য খুন বেশি ছবি তোলা সম্ভব হয় নি। উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে মেলায় বসা ঘর সাজানোর বিভিন্ন জিনিসের দোকান, যা এই সময়ে ভীষণ ট্রেন্ডিং। অনলাইনে কিনতে গেলে যা দাম পরবে, মেলায় তার থেকে বেশ কম ই দাম হাকাচ্ছিলো। এছাড়াও ছিলো বিভিন্ন রকমের বিদেশি কম্ফোটার এর দোকান, যেগুলো অবশ্য ব্যবহৃত, সেকেন্ড হ্যান্ড। তবে জিনিস গুলো ভীষণ আনকমন, সুন্দর ও ছিলো। মানুষ এর আগ্রহও এইসব দোকানেই ছিলো বেশ!

IMG20241222123653.jpg


IMG20241222122909.jpg


IMG20241222122817.jpg



এছাড়াও পাওয়া যাচ্ছিলো মাত্র ৫ টাকায় লেইস এর গজ। রান্নাঘরের নানা প্রয়োজনীয় জিনিস এর দোকান, ব্যবহৃত কাচের জার/ বোতল এর দোকান। আর মেলা বসবে খাবারের দোকান বসবে না, তা কি হয়! বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা হোমমেড ফুড নিয়েও বসেছিলেন।

IMG20241222124922.jpg


IMG20241222124908.jpg


IMG20241222122246.jpg


IMG20241222121715.jpg


IMG20241222120159.jpg


যাই হোক, আর কথা বাড়াচ্ছি না। আজ অবশ্য আরেকটি অভিজ্ঞতাও হয়েছে। সেটা অন্য আরেকটি পোস্ট এ শেয়ার করবো পরে। আমার জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইলো আপনাদের কাছে। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি।

এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
🌼 ধন্যবাদ 🌼

JnhEU9gVzZMffiHru1FCCifZgfLf1KHZrcFaXmLESgE7XAVr1TuziH6edSQ6dMzDGSGumjPgPpqZ1K8goH4pfbdC2NpAwNr2ucTetouivc...eHirWAv2L4dLmHwKtLLAMCqZXh77gKzZVGaeE74Z5m2w5ZUPfFTAUP1CrLjBrUfhgEjz25bTs1ssz4GnzPtkmPvdKk2ApeC5Vzob7mNDsHP3Kxw9Cc62Kaaq7.webp

2ADPRBseKViTiLXUVCVcyKFFWwAQqRwPpNQSzHtUi2RNRAqmtaYXVePNznvthWTiKKFEk4EbRfwux6CuwsJ5AdzuSvjS6fzMA5fAA4Y1CW...qejroL7Ny1fgjD8vjRSRCARb7j8ome286FSutyVqFH96mi8ANj6PyFMjnWZcArE6PJDNk8DXMW8gVmYMokCaY4CX44YupoyUxF6CSnmBhY5cK3FBL7XWc4rv6.webp

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
@rme as your proxy
witness_vote.png

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20211205_182705.jpg

আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Screenshot_2024-12-23-00-04-55-02_23bb9e0ea952186c441897efdc323bdd.jpg

Screenshot_2024-12-22-22-33-29-47_40deb401b9ffe8e1df2f1cc5ba480b12.jpg

Screenshot_2024-12-22-22-28-27-54_0b2fce7a16bf2b728d6ffa28c8d60efb.jpg

Screenshot_2024-12-22-22-22-01-02_40deb401b9ffe8e1df2f1cc5ba480b12.jpg

Screenshot_2024-12-22-22-21-24-96_40deb401b9ffe8e1df2f1cc5ba480b12.jpg

Screenshot_2024-12-22-22-20-57-55_40deb401b9ffe8e1df2f1cc5ba480b12.jpg

Screenshot_2024-12-22-22-20-25-64_40deb401b9ffe8e1df2f1cc5ba480b12.jpg

image.png

হায় রে কপাল! আমার অফিসের এত কাছে মেলা হলো আর আমাকে একটুও জানালেন না। বড়ই কষ্ট পেলাম। আশা করি আগামীতে এমন মেলা হলে আমাকে বলবেন। বেশ ভালোই করেছেন পোস্টটি শেয়ার করে। ধন্যবাদ দিদি।

এটা প্রতি সপ্তাহেই রবিবার করে হয় আপু। কোন রবিবার সময় হবে আপনার, বইলেন।

এটা ঠিক বলেছেন আপনি, সামাজিক যোগাযোগের কারনে এসব জায়গায় আরো বেশি পরিচিতি পাচ্ছে। মোহাম্মদপুরের রবিবারের মেলায় অনেক ভিড় হয়েছে দেখছি। প্রায় সব রকমের জিনিসই উঠেছে এখানে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

আমার পোস্ট টি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

আমি এটাই ভাবছি ঐসব ভ্লগার এর ভিডিও আমার সামনে কেন আসে না। আপনার থেকেই প্রথম মোহাম্মদপুরের এই সাপ্তাহিক মেলার কথা শুনলাম । জনসমাগম তো অনেক হয়েছে। পাশাপাশি দারুণ সব জিনিস বিক্রি করছে দেখছি। দেখে বেশ ভালো লাগল। এইরকম একটা জায়গাই এইরকম একটা সাপ্তাহিক মেলা।

হ্যা, নানা রকমের জিনিস বিক্রি হয় এই মেলায়। সেদিন তো একজন শুনলাম সাভার থেকে চলে এসেছে এই মেলার কথা শুনে!

এক ঢিলে দুই পাখি মেরেছেন আপু। হাঁটাহাঁটি করার মাধ্যমে সুপার ওয়াক অ্যাপের সুপার মানিও পেলেন, আবার মেলায় ঘুরাঘুরি করাও হলো। তবে মোহাম্মদপুর তো একসময় প্রায়ই যাওয়া হতো। কিন্তু রবিবারের মেলার কথা শুনিনি কখনো। বেশ ভালো লাগলো সাপ্তাহিক এই হাট দেখে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

এখন ভীষণ ফেমাস ভাই এই মেলা! আর এটা ঠিক কথাই বলেছেন যা এক ঢিলে দুই পাখি মারা হয়েছে আসলেই!