রেসিপি:- আমড়ার টক

in hive-129948 •  3 months ago 

হ্যাল্লো বন্ধুরা

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমি মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালোই আছি। দেশের চলমান পরিস্থিতির কথা তো আমরা সকলেই জানি। আশা করবো সকলেই যেন যার যার অবস্থান থেকে যতটুকু পারা যায়, যেভাবে পারা যায় সহায়তা করি। পাশাপাশি দোয়া/ প্রার্থনা করি যেন এই দুর্যোগ খুব দ্রুততম সময়ে কেটে যায়। মন থেকে দোয়া করা ছাড়া খুব বেশি কিছু আমাদের করার নেই।

যাই হোক, আজ আপনাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করতে হাজির হয়েছি। এখন আমাদের খুব পরিচিত ফল, আমড়ার সীজন চলছে। এমন সীজনাল দেশি ফলগুলো আমাদের সকলেরই খাওয়া উচিত। আজ সেই আমড়ার টক এর রেসিপি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। আমড়া কাচা ফল হিসেবে তো খাওয়া হয়ই... পাশাপাশি এটির টক ও খাওয়া যায়, আচার বানানো যায়, ডালে দিয়ে খাওয়া যায়, আমি আমার এক কলিগকে আমড়া ভাজিও খেতে দেখেছি।
যাই হোক, আমি কিভাবে আমড়ার টক করেছি, সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি....


IMG20240810142941~2.jpg



প্রয়োজনীয় উপকরণঃ-



  • আমড়া
  • পাঁচফোড়ন
  • কালোজিরা
  • গোটা শুকনামরিচ
  • মরিচ গুড়া
  • লবণ
  • গুড়
  • সরিষার তেল



রন্ধনপ্রণালীঃ



ধাপ-১ :

প্রথমে আমড়া গুলো ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে সাইজ মতো কেটে নিবো। আমি কিছুটা বড় করেই কেটে নিয়েছি।

Screenshot_2024-08-22-23-33-28-69_ea44fb1caa4f2d77669d857426853335.jpg



ধাপ-২ :

এবারে কড়াই গরম করে তাতে সরিষার তেল দিবো। তেল গরম হলে তাতে দুটো গোটা শুকনো মরিচ, কিছুটা পাঁচফোড়ন এবং কিছু কালোজিরা ফোড়ন দিয়ে দিবো।

IMG20240810135425.jpg


ধাপ-৩:

এখন কেটে রাখা আমড়া গুলো দিয়ে ভালো করে ভেজে নিবো। সাথে স্বাদমতো লবণ, মরিচ গুড়া দিয়ে দিবো। ভাজা হয়ে গেলে পরিমাণ মতো জল দিয়ে আমড়া গুলো সিদ্ধ হতে দিবো।

IMG20240810135456.jpg


IMG20240810135815.jpg


IMG20240810140000.jpg


ধাপ-৪ :

এখন আমড়া গুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গেলে তারপর এতে পরিমাণ মতো গুড় যোগ করে দিবো। এখানে গুড়ের পরিবর্তে চিনি দিয়েও করা যায়। গুড় দেয়ার পরে আবারো কতক্ষণ জ্বাল দিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করবো।

IMG20240810141455~2.jpg



পরিবেশনঃ



IMG20240810142941~2.jpg


এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
🌼 ধন্যবাদ 🌼

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
@rme as your proxy
witness_vote.png

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20211205_182705.jpg

আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শিক্ষাগত যোগ্যতা : একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

খুব লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। তবে এই রেসিপি সম্পর্কে আগে জানা ছিল না। আমড়া দিয়ে এত সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করা যায় আজকে প্রথম জানলাম। খুব সুন্দর ভাবে পুরো রেসিপিটা উপস্থাপন করেছেন আপনি। খেতেও নিশ্চয়ই দারুন। একদিন ট্রাই করে দেখব তাহলে। ধন্যবাদ আপু জিভে জল আসার মত একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

আমাদের বাসায় এই টক টা সীজনে কয়েক বার খাওয়া হয় আসলে... ভাতের শেষ পাতে এমন টক থাকলে খাওয়া যেন পরিপূর্ণ হয়। বাসায় তৈরি করলে জানাবেন অবশ্যই যে কেমন লেগেছে আপনাদের।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আমড়ার টক রেসিপিটি অসাধারণ বানিয়েছেন। এমন টক দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে গরমের দিনে। এনার্জিবর্ধক হিসেবে এইসব খাবার ভীষণ উপকারী। ভাতের পাতে সবশেষে একটু টক না হলে চলেই না বাঙালির। তাই এমন একটি রেসিপি সকলের মাঝখানে নিয়ে এসে আপনি লোভ বাড়িয়ে দিলেন। ভালো থাকবেন।

বিয়ে বাড়ি হোক, বা গরমের দিনে বাসার মধ্যাহ্নভোজ, শেষ পাতে এমন একটু টক থাকলে পরে বাঙালির পুরো খাওয়া কমপ্লিট হয়! গরমের দিনে এমন টক খেলে আসলেই তৃপ্তি লাগে।

আপু আপনার আমরার টক দেখেতো জিভে জল চলে এলো। আমরা মাখানো আর আচার খেয়েছি কিন্তুু টক রান্না করে কখনও খাওয়া হয়নি। আজ আপনার টকটি দেখেই গরম ভাতের সাথে খেতে ইচ্ছে করছে। আর তার জন্যতো আপনার বাসায় যেতে হবে। কারন আমি আপনার মত রান্না করলেও আপনার এই টকের স্বাদ পাবো না।

কি যে বলেন আপু! এই টকের রেসিপি টা খুবই সিম্পল। আপনি বাসায় চেষ্টা করতে পারেন, অবশ্যই মজা হবে।

ঠিক বলেছেন আপু আমাদের সকলেরই সিজনের ফল গুলো খাওয়া উচিত। এখনকার আমড়াগুলো খেতেও বেশ মজা হয়। আমাদের বাসায় প্রায়ই আমড়া খাওয়া হয়। কিন্তু এভাবে কখনো টক রান্না করা হয়নি। আপনার আজকের টক রান্না দেখে মনে হচ্ছে একদিন এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখতে হবে। বেশ মজাদার হয়েছিল বোঝা যাচ্ছে।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আমড়ার টক টা আসলে টক- ঝাল- মিষ্টি মিক্সড ফ্লেভার হওয়ার কারণে আমার কাছে বেশ ভালোই লাগে। বাসায় করলে কেমন লাগলো জানাবেন আপু।

যে কোন টক আমার বেশ পছন্দ।আম দিয়েও এ টক রান্না করি।আর আমড়ার টক খেতেও বেশ মজা।বেশ লোভনীয় রেসিপি।ধন্যবাদ মজাদার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

আমার হাজবেন্ড আবার বেশি টক খেতে পারেন না, তার জন্য আমের টক খুব রেয়ার করা হয়৷ সেজন্যই আমড়ার টকটা এখন বেশি করা হয় টকের মাঝে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

দিদি অনেকদিন পরে আমড়ার টক দেখে জিভেতে জল চলে আসলো। আমাদের বাড়িতেও আমড়ার গাছ আছে বাড়িতে গেলে মাঝেমধ্যে মা আমরা টক রান্না করে খাওয়ায়। আমি আমড়ার টক আর ভাত একসাথে খেতে খুব পছন্দ করি। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।

আমরাও ভাত খাওয়ার শেষ পাতে এই আমড়ার টক টা খেয়ে থাকি। আমার মাও এভাবে আমড়ার সীজনে টক বানাতেন, সেখান থেকেই শেখা এই টক টা। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।

দুর্যোগের এই সময়টাতে আমরা সবাই প্রার্থনা করি আপু। আমড়ার টক রেসিপি দারুন হয়েছে। এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। মনে হচ্ছে খেতে খুবই ভালো লাগবে। একদিন অবশ্যই রান্না করে খেয়ে দেখবো আপু। অসাধারণ হয়েছে আপনার রেসিপি।

জি আপু। খেতে টক- ঝাল -মিষ্টি হওয়ায় দারুণ লাগে আমার কাছে। গুড়ের বদলে চিনি ব্যবহার করেও করা যায়।

আমড়ার টক কখনও খাওয়া হয়নি। আমার শ্বাশুড়ি কে দেখেছি আমড়ার টক রান্না করতে তবে এর মধ্যে তিনি চিংড়ি মাছ ব্যবহার করেন। আমাকে অনেক বার বলেছেন খাওয়ার জন্য কিন্তু কেন জানি খেতে ইচ্ছে করেনি। তবে আপনার এমন টক রেসিপি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। অবশ্যই একদিন খেয়ে দেখবো। ধন্যবাদ জিভে জল চলে আসা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

আমি আবার ওভাবে চিংড়ি মাছ দিয়ে কখনো খাই নি আপু।

বাহ আপু আপনি তো ভিন্ন রকম একটা রেসিপি করেছেন। আমড়ার টক রেসিপি বানিয়েছেন। তবে আমাদের বাড়িতে অনেক আমড়া আছে। আমি এভাবে রেসিপিটি তৈরি করব আমড়া দিয়ে। এবং এই ধরনের টক রেসিপি খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আমড়া কাঁচা খাওয়া হয়। কখনো টক রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিতে আজকে প্রথম দেখলাম। আসলে আমি আমড়া পেলে টক রান্না করার সময় তো দেয় না, আগেই পেটে চালান করে দেয়,হে হে হে। ধন্যবাদ।

ফল কাচা খাওয়া শরীরের জন্য বেশি উপকারী কিন্তু! আমার বাসায় আনা হলে কাচা খাওয়ার পরেও কয়েক টা থেকেই যায়, তাই এভাবে টক করে ফেলি!

ওয়াও আপনি লোভনীয় একটি টক রেসিপি পোস্ট শেয়ার করেছেন।এককথায় বলতে গেলে জিভে জল আনার মত রেসিপি।ছবি দেখে বুঝতে পারলাম খেতে খুব ভালো হয়েছিল রেসিপিটি।আপনি ধাপগুলো খুব সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দারুণ একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।