বাড়ির পুজোর বিজয়া দশমীর কিছু আনন্দের মুহূর্তের ভিডিওগ্রাফি ভাগাভাগি

in hive-129948 •  20 days ago 

হ্যাল্লো বন্ধুরা

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় পরিবার সহ ভালো আছি, সুস্থ আছি। আমার নিয়মিত ব্লগিং এ আজ আপনাদের সাথে একটি ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। তো চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে যাই আজকের পোষ্ট টি তে.... ৷

IMG20241011090124.jpg


ছোটবেলা থেকেই মানে একদম জ্ঞান হবার পর থেকেই প্রতিবছরই আমার পুজো কাটতো আমাদের গ্রামের বাড়িতে। আমাদের গ্রামের বাড়িতে, আমাদের নিজস্ব মন্দিরেই সার্বজনীন দুর্গা পূজার আয়োজন করা হয়। তাই কোন বছরই পুজায় গ্রামের বাড়ির বাইরে কোথাও পুজো দেখা হয় নি ওভাবে। ভাগ্যক্রমে আমার বিয়েও হয় এমন পরিবারে, তাদেরও নিজস্ব পারিবারিক মন্দিরে বহু বছর ধরে এই সার্বজনীন দুর্গা পূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে। তাদের এই মন্দিরের পুজো আসলে কত বছর থেকে চলে আসছে, তার সঠিক সংখ্যা টা কেউ বলতে পারে না। তবে বহু বংশ পরম্পরায় চলছেই...। যদিও ভারতে বিশেষত কলকাতায় বেশ বড় করে দূর্গা পূজার আয়োজন করা হয়। সে তুলনায় বাংলাদেশের একটি গ্রামে অবস্থিত আমাদের গ্রামের বাড়ির বা শ্বশুড়বাড়ির আয়োজন করা পুজো একদমই অনাড়ম্বরপূর্ণ ই বটে! তার উপর এ বছর বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তন নিয়ে পূজো বিষয় এ অনেক আশংকাও ছিলো। কারণ একটি বিশাল অংশ এই পুজো কে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পায়তারা করছে- এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছিলো বেশ আগে থেকেই। তাই এবারের আয়োজন ছিলো আরও সাধারণ। নিয়ম মেনে পুজো করাটাই ছিলো প্রধান বিষয়।


তবে আশার বিষয় এই যে, অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনা ঘটে নি। বেশ ভালোয় ভালোয় পুজোর সমস্তটা সুসম্পন্ন হয়েছে। বৃষ্টি নিয়েও একটু আশংকা ছিলো। তবে ওদিকে বৃষ্টিও হয় নি। সব মিলিয়ে ভালোভাবেই পুজো শেষ হয়েছে এবার। দেখতে দেখতে দেবীর বাপের বাড়ির পাট চুকানোর সময়ও যখন উপস্থিত, তখন ভক্তগণ এ বছরের জন্য শেষ বারের মতোন মায়ের আরতি করেন, কেউ বা বাদ্য বাজান, মহিলারা সিঁদূর খেলেন। আমাদের শ্বশুড়বাড়ির প্রতিমা ভাসানী হয় আমাদের বাড়ির সামনের পুকুরেই। মন্দির কিছুটা দূরে হওয়ায়, মন্দির থেকে ভ্যান গাড়িতে করে মায়ের প্রতিমা আনা হয় আমাদের বাড়ির সামনের উঠোনে। সেখানেই জড়ো হয় গ্রামের অনেক মানুষ। সিঁদুর খেলা হয়ে গেলে ছেলে-বুড়ো রা সবাই মিলে আনন্দ করতে করতে মা কে বিদায় জানায়। তারই কিছু মুহূর্ত আজ আপনাদের সাথে আমার ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করেছি। ভিডিওটি ভালো করে দেখলে দেখবেন, কেউ মা এর আরতি করছে, কেউ বা মাথায়ও প্রদীপ নিয়ে ব্যালেন্স করে আরতি করছেন, ছেলে-বুড়ো রা নিজেদের মতোন নাচানাচি করে আনন্দ করছে মায়ের সামনে।হাসিমুখে বিদায় দিচ্ছে মা কে। যদিও আমি ভাসানীর মুহূর্তের ভিডিও এখানে শেয়ার করি নি। শুধুমাত্র আনন্দটুকুই ভাগ করে নিলাম। আশা করি এই সাধারণ সাধাসিদা মানুষগুলোর আনন্দ আপনাদের মন ছুয়ে যাবে।

ভিডিও লিংক :

আজ আর কথা বাড়াচ্ছি না। আমার জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইলো আপনাদের কাছে। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি।

এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
🌼 ধন্যবাদ 🌼

PUSS.png

2ADPRBseKViTiLXUVCVcyKFFWwAQqRwPpNQSzHtUi2RNRAqmtaYXVePNznvthWTiKKFEk4EbRfwux6CuwsJ5AdzuSvjS6fzMA5fAA4Y1CW...qejroL7Ny1fgjD8vjRSRCARb7j8ome286FSutyVqFH96mi8ANj6PyFMjnWZcArE6PJDNk8DXMW8gVmYMokCaY4CX44YupoyUxF6CSnmBhY5cK3FBL7XWc4rv6.webp

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
@rme as your proxy
witness_vote.png

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20211205_182705.jpg

আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

পারিবারিক পুজোর মজাই আলাদা তাই না? আমার অনেক বন্ধু-বান্ধবদের বাড়ির পুজো রয়েছে তাদের কাছে এসবের গল্প শুনি। কিন্তু আমার সেরকম কোন অভিজ্ঞতা নেই। আমার কাছে দুর্গাপূজা মানে গ্রামের প্যান্ডেলে যাওয়া। আপনার ভিডিওটি দেখে বেশ ভালো লাগলো। বিসর্জনের সময় মা চলে যাওয়ার মন খারাপের সাথে সাথে এই ধরনের আয়োজন অনেকটা আনন্দ এনে দেয়। তবে আপনাদের বিসর্জনের লোকজন বেজায় কম।

তা তো অবশ্যই আপু। বাড়ির পুজোর মজাই অন্যরকমের। যদিও অনেক সময় বিরক্তও যে লাগে না, সেটাও না। যেমন মাঝে মাঝে মনে হয় বাড়ির পুজো না হলে ইচ্ছে মতো অনেক জায়গায় পুজো দেখা হতো! বাড়ির পুজো বলে দূরে অন্য কোথাও তেমন ভাবে পুজো দেখার সুযোগ হয় না। তবে এছাড়া মজার ভাগই বেশি। সামনের বার আমাদের বাড়িতে চলে আসেন আপু। আগাম দাওয়াত রইলো।

পূজো মানেই আনন্দ খুশি। আপনারা দেখছি সকলেই মিলে এবারের দশমির দিনে অনেক বেশি মজা করেছেন। ভিডিও ক্লিপ এর খুবই সুন্দর করে আপনাদের একটি সুন্দর সময় উপভোগ করার দৃশ্য ধারণ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ভিডিও টি দেখে বেশ ভালো লাগলো।

হ্যা ভাই। দশমী মানেই তো পুজো শেষ। মন খারাপ ও লাগে এজন্য! তবে শেষ মুহূর্তে সবাইই মিলে অনেক মজা করা হয়েছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।

আপনাদের দশমীর এই আনন্দ দেখতে বেশ ভালই লাগে। রাস্তা দিয়ে ট্রাকে করে দূর্গা প্রতিমাকে নিয়ে যায় ।সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের বাজনা বাজায়। বেশ আনন্দ করে সবাই মিলে। তবে সিঁদুর খেলাটি দেখতে বেশ লাগে। বেশ আনন্দ করেছেন এবার পুজোও তা আপনার ভিডিগ্রাফি দেখেই বুঝা যাচ্ছে।

আমার শ্বশুড়বাড়িতে গ্রামের সবাই জড়ো হয়। তাই ট্রাকে করে দূরে ভাসানী মেলায় নিয়ে যায় না আপু। আমাদের বাড়ির সামনের পুকুরেই বিসর্জনের ব্যবস্থা করে। এই শেষ সময়ের আনন্দটুকু যেন গ্রামের মহিলারা মিস না করে, সেজন্যই এই ব্যবস্থা। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

খুব সুন্দর করে পূজা করতে পেরেছেন যেন ভালো লাগছে। মা দুর্গা আপনাকে অনেক আশীর্বাদ করুন বোন। আসলে মায়ের পূজো মা নিজেই করিয়ে নেয়। সেখানে কেউ যেমন তার অনিচ্ছায় বাধা দিতেও পারে না, তেমন পূজোও করতে পারে না। তাই আপনার এই পুজো আরো যুগ যুগ ধরে এগিয়ে চলুক। আর বাড়িতে দুর্গাপুজো হওয়া ভীষণ আনন্দের একটি বিষয়।

আসলেই তাই। সবই তো মায়ের ইচ্ছেতেই হয়! আর বাড়ির পুজো মানেই অন্যরকমের আনন্দ দাদা! আপনার এমন দারুণ একটি মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।