হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি।
এই তো আর হাতে গোণা কয়েকটা দিনের অপেক্ষা.... তারপরেই আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় পুজো, দুর্গাপূজা শুরু। হাতে আর একদমই সময় নেই বলতে গেলে.... সবকিছুর মাঝে পূজোর শপিং করার অবসর হয় নি আগে আগে। তাই গত তিন দিন ধরে পুজোর শপিং ই শেষ করলাম। আজ সেই শপিং এর পোস্ট এর প্রথম পর্ব নিয়েই আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
আমরা যারা চাকরিজীবী মানুষ, আমাদের বেশির ভাগেরই শেষ ভরসা, শুক্রবার, সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এই শুক্র বার সকাল সকাল ই আমি আর আমার হাসবেন্ড বের হয়ে গেছি পূজোর শপিং এর উদ্দেশ্যে। সাথে শ্বশুড় বাড়ির এলাকার এক ছোট ভাইও ছিলো। সেও পুজোর শপিং করবে বলে আমরা একসাথেই যাবো বলে ঠিক করেছিলাম। গতবারের আমরা তিন জন একসাথে পূজোর শপিং করেছি। আসলে ছেলে মানুষ, তেমনভাবে কেনাকাটার অভ্যেস নেই বলেই একসাথে যাই। তো আমরা তিন জন সকাল ১০ টার দিকে একত্রে হয়ে একটা সি এন জি নিয়ে চলে যাই নূরজাহান মার্কেটের উদ্দেশ্যে। ওখানে মূলত ছেলেদের সকল জিনিস বেশ ভালো পাওয়া যায়। নূরজাহান মার্কেটে গিয়ে প্রথমেই ওরা দোতলায় চলে গেলো। শুরুতেই জিন্সের প্যান্টের দোকানে গিয়ে ঢুকলো। আমার হাসবেন্ড এবং মধু ( ছোট ভাইটা) দুই জনই মূলত একটা পরিচিত দোকানেই গেলো, ওখান থেকেই সবসময় ওরা প্যান্ট কিনে থাকে। তো সেই দোকানে থেকেই দেখে শুনে নিজেদের জন্য জিন্সের প্যান্ট কিনলো।
এরপর আমরা শার্ট খুঁজতে লাগলাম। প্যান্টের জন্য একটা পরিচিত ফিক্সড দোকান থাকলেও, শার্টের জন্য তেমন নেই। তাই শার্ট কিনতে গিয়ে অনেক বেশি ঘুরাঘুরি করতে হয়েছে। ওখানে প্রায় সবগুলো দোকান এই মোটামুটি একই রকমের প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। তবে দেখতে একই রকমের লাগলেও মূলত এক না সব দোকানের জিনিস। দামে এবং মানে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আমরা টেক্সটাইল নিয়ে পড়াশুনা করেছি এবং এই সেক্টরেই কাজ করচগি বলে প্রোডাক্ট ধরলেই অনেক কিছু বুঝতে পারি। তো বেশ অনেক গুলো দোকান ঘুরে ঘুরে দেখতে হয়েছে।
আমরা মোটামুটি দুইতলায় সকল দোকান দুইবার করে ঘুরেছি।😭😭 দেখা যাচ্ছিলো কোনটায় যে কালারের পছন্দ হয়, সেই কালারের সাইজ মিলে না। বা যেটার সাইজ মিলে সেটার কালার মিলে না, বা সেই প্রোডাক্টে কিছু না কিছু খুঁত রয়েছে। পরে বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে আমার হাসবেন্ড এর জন্য দুইটা শার্ট, একটা কাতোয়া, দেবরের জন্য পোলো শার্ট, বাবা এবং শ্বশুড়ের জন্যও হাফ শার্ট কিনলাম। মধুও তার জন্য দুইটা পোলো শার্ট কিনলো। ছেলে মানুষের শপিং করার একটা মজা কি, তারা শার্ট হোক, পোলো শার্ট হোক বা এমনকি প্যান্ট হলেও দোকানের মধ্যেই পরে, ট্রায়াল দিয়ে দেখে কিনতে পারে যে এটি তার সাইজে মিলছে কিনা, মানাচ্ছে কিনা... কিন্তু মেয়েদের জন্য এই বিষয় টা বেশ মুশকিলের। কিছু ব্রান্ডেড দোকান ছাড়া সেই সুযোগ নেই। তাও যেগুলোয় আছে, সবগুলোয় সেইফ ও লাগে না।
তো যাই হোক, বেশ অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি করে করে বাড়ির ছেলেদের পুজোর শপিং মোটামুটি কমপ্লিট হলো। আসলে বছরে একটা বড় পুজো, আমরা চেষ্টা করি বাড়ির সবাইকে কিছু না কিছু দিতে। তাই আমার বড়দাদার জন্যও আমাদের পক্ষ থেকে একটা শার্ট কিনলাম। মধুর পার্ট বাদ দিয়ে এই হচ্ছে আমাদের বাড়ির ছেলেদের জন্য করা শপিং এর একাংশ... যদিও লাইটের জন্য কালার সবগুলো আসলটা আসে নি, ছবিতে কেমন যেন লাগছে, কিন্তু আসলে বেশ পছন্দ হয়েছে আমার সবগুলোই।
ছবি: Realme 9 SE
লোকেশন: নূরজাহান মার্কেট
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
আপনার পূজোর শপিং দেখে বেশ ভালো লাগল। সত্যি আপু বড় কোন উৎসবে সবাইকে গিফট দিতে পারলে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে । আসলে আপু কিনতে গেলে কালার থাকলে সাইজ থাকে না এটা নিয়ে বেশ মুশকিল হয়ে থাকে।ধন্যবাদ আপনাকে কেনাকাটা মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা আপু, এ যেন সার্বজনীন সমস্যা 😭😭। আর বেশির ভাগ সময়ে প্রথমে যেটা পছন্দ হয়, সেটিই চোখে লেগে থাকে। পরের গুলো ততোটা মন মতোন হয় না। আমার ক্ষেত্রেই এমন কি না সেটা জানি না। তবে আমার সবসময় এমন ই হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এমন উৎসবে সবাইকে কিছু গিফট দিতে পারলে খুব ভালো লাগে মনের ভিতর। আপনার পুজোর কেনাকাটার প্রথম পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো আপু। আপনি কি কি কিনলেন এবারের পূজোয় সেটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম। আসলে নিজে শপিং করতে যেমন ভাল লাগে অন্যদের শপিং করাটা দেখতেও খুব ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ দূর্গা পূজার কেনাকাটার মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই আপু, উৎসবের শুরুই হয় বোধ হয় শপিং দিয়ে। সবার জন্য কেনাকাটা তো মূলত বছরে একবারই হয়। অনেক ভালোলাগে সবার জন্য পছন্দ করে কিনতে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পূজা উপলক্ষে কেনাকাটা করেছেন। আর সেই কেনাকাটা সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন শপিংমল থেকে, যেখানে ছিল সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফিতে লক্ষ্য করে দেখলাম বিভিন্ন জামা প্যান্টের দৃশ্য। আসলেই যে কোন উৎসবের সময় নিত্য নতুন জামা কাপড় কেনার আয়োজন পড়ে যায় মানুষের মধ্যে। আর এটাই সবচেয়ে বেশি বড় ভালো লাগা মুহূর্ত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit