হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। আজ আবারো আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করছি আজকের পোষ্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে।
কদিন আগেই আমি শেয়ার করেছিলাম আমাদের অফিসের একজন কলিগের বিদায়ের কিছু মুহূর্ত। আজ আবারো আমাদের অফিসের কিছু মুহূর্ত নিয়েই শেয়ার করতে চলেছি। আসলে, আমরা যারা বাহিরে কোন না কোন অফিসে কাজ করি, বিশেষ করে প্রাইভেট সেক্টরে, আমাদের দিনের বেশিরভাগ সময় কেটে যায় কর্মক্ষেত্রেই। সরকারি চাকরির কথা হয়তো ক্ষেত্র বিশেষে আলাদা। তবে প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত বেশিরভাগ মানুষের দিনের বেশিরভাগ সময় চলে যায় অফিস নিয়েই। আমারও তাই। সেই অফিসের পরিবেশ যদি ভালো না হয়, তাহলে তো চাকরিজীবীর জীবন বাংলা ভাষায় বলতে গেলে -একেবারে তামা তামা 😵💫😵💫। যে কোন প্রাইভেট অর্গানাইজেশনেই মূলত কাজের প্রেশার থাকে অনেক বেশি। আর সেখানে জবাবদিহিতাও বেশি। কিন্তু অফিসের পরিবেশ এমপ্লয়ি ফ্রেন্ডলি হলে, কাজ করতে একঘেয়েমি লাগে না।
আমাদের অফিসে সবাই চেষ্টা করে একটা সুন্দর এমপ্লয়ি ফ্রেন্ডলি পরিবেশ মেইনটেইন করার। আমরা কাজ করতে করতে একে অপরের সাথে যথেষ্ট মজা করি- একদম ভার্সিটির ফ্রেন্ডসদের মতোই। অনেক সময় আমাদের স্যারের সামনেও এমন কান্ড করে বসি একেক জন, একদম বাচ্চাদের মতোন।ধরুন, হয়তো কেউ তার মোবাইল অন্য কারো ডেক্স এ গিয়ে ভুলে রেখে চলে এসেছে! ব্যাস! সেই মোবাইল যে পাবে, যার মোবাইল তার থেকে কিছু না কিছু খাওয়া আদায় করার পরেই সেই মোবাইল ফেরত পাবে! তার আগে কিছুতেই না। এবং এটা সবার জন্যই প্রযোজ্য।এবং এটি আমাদের অফিসের একটা অলিখিত রুলস। অবশ্য আমাদের ডিমান্ড তেমন বিশেষ কিছু না। হয়তো মুড়ি মাখা, বা পুরি- সিঙ্গারা ইত্যাদি। কিন্তু কিছু না কিছু নাস্তা করানোই লাগবে সেই ব্যাক্তির।
তো, আজকেও সেইম ঘটনা ঘটেছে। এক ভাই, খেতে গিয়ে তার মোবাইল ভুলে রেখেই চলে এসেছিলেন এবং সেটি তিনি খেয়াল ই করেন নি। প্রায় ঘন্টা খানেক পর তার মোবাইলের কথা মনে পড়েছে! কেউ তো প্রথমে স্বীকার করে না কোথায় মোবাইল, কোথায় মোবাইল (অথচ আমরা বাকিরা সবাইই জানি 🤫)। যাকেই জিজ্ঞেস করে, একই কথা- আজকে কী দিয়ে নাস্তা খাওয়া হচ্ছে?" 😅 আগে টাকা, তারপর মোবাইলের খোঁজ! তো কি আর করার! বেচারা মেনে নিয়ে সবার জন্য কিছু চিপ্স, কোক আর বিস্কিট আনানোর জন্য টাকা দিলেন, তারপর তার মোবাইল ফেরত পেলেন.... এই হচ্ছে ছোট্ট একটা উদাহরণ। এভাবেই হাসিতে-খুশিতে খুনসুটিতে মেতেই আমরা সবাই মিলে কাজ করি। আবার কখনো কেউ বিপদে পড়লে সবাই মিলেই পাশে দাঁড়াই।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
ঠিক বলেছেন আপু কাজের পরিবেশ যদি সুন্দর না হয় তাহলে সেখানে কাজ করাই কস্টকর।আর প্রাইভেট সেক্টরে কাজ করলে তা আরও জ্রুরি। কেননা দিনের অর্ধেক সময় কাটে সেখানে। তবে আপনারা বেশ সুন্দরভাবে আপনাদের কাজের জায়গাটা গড়ে তুলেছনে। বেশ হাসিখুশী পরিবেশে কাজ করেন।এভাবেই কেটে যাক আপনার কাজের জীবন।অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই আপু, প্রাইভেট সেক্টরে কাজের পরিবেশ যদি ভালো না হয়, সেখানে কাজ করে কোন শান্তিই নেই। আমাদের অফিস এই দিক থেকে বেশ কম্ফোর্টেবল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনারা সব কলিগরা খুবই ফ্রেন্ডলি। অনেক কাজের প্রেসারে থেকেও বেশ মজা করেন আপনারা। এরকম পরিবেশে থেকে কাজ করতেও ভালো লাগে। আপনাদের অফিসের অলিখিত রুলস টা বেশ দারুন লেগেছে আমার কাছে 😆। মাঝেমধ্যে এরকম খাওয়া দাওয়া হয় তাহলে আপনাদের। কারণ এই ভুল টা তো একদমই কমন। যাইহোক আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা আপু। মাঝেমধ্যেই এমন টুকটাক নাস্তার ব্যবস্থা হয়েই যায় কারো না কারোর সৌজন্যে 🤣🤣
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে অফিসে একসঙ্গে কাজ করার সময় একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করা এবং বন্ধুত্ব স্থাপন করাটাই শ্রেয়। খুবই ভালো লাগলো আপনার এ পোস্টটি পড়ে। ভাইটি ভুল করে মোবাইল ফোন ফেলে যাওয়ায় আপনাদের শেষ পর্যন্ত দারুন একটি নাস্তা খাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে গেল। যাহোক, এভাবে হাসি আনন্দের মধ্যে অফিসে কাজ করার মজাই আলাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই। কাজের জায়গায় কাজ তো করা হয়ই। তবে এমন হাসি ঠাট্টার মাধ্যনেই আনন্দ খুঁজে নিয়ে কাজ করি আমরা। দোয়া করবেন ভাই আমাদের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit