শ্বাশুড়ি মায়ের ভালোবাসা ❤️

in hive-129948 •  4 months ago 

হ্যাল্লো বন্ধুরা

|| আজ ২৩ জুন, ২০২৪ রোজ- রবিবার ||

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও পরিবারসহ বেশ ভালোই আছি। আজ আপনাদের সাথে একটি আবারো একটি নতুন পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করবো আজকের পোষ্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে।


" বিয়ে" শব্দটা একসাথে অনেকগুলো মানুষ কে এক সাথে কাছে টানে! বিয়ের পর পাত্র-পাত্রীর পরিবার দুটো হয়ে যায়! একটা পরিবার, যেখানে সে জন্ম থেকে বড় হয়েছে, আরেকটা পরিবার, যেখানে তার পার্টনার জন্ম থেকে বড় হয়েছে! দুজনেরই বাকি জীবনের সাথে এক্সট্রা একটা পরিবার যুক্ত হয়ে যায়! স্বভাবতই মেয়েদের এই নতুন পরিবার নিয়ে আশংকা কাজ করে বেশি! ছেলেরা তো "জামাই আদর " পেয়েই অভ্যস্ত। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্নই হয়! কিন্তু সেদিক থেকে আমি ভীষণ ই লাকি মনে করি নিজেকে! আমার শ্বশুড়বাড়িতে আমার শ্বশুড়, শ্বাশুড়ি, দেবর তার বউ আর ছোট্ট একটা পরী, আর আমরা দুইজন - এই কয়জন মানুষ নিয়ে খুব সাধাসিধে আটপৌরে পরিবার। গ্রামে মূলত আমার শ্বশুড় আর শ্বাশুড়ি এই দুইজন ই থাকেন। আর দুই ছেলে তো যার যার কর্মস্থলে...


বিয়ের পর থেকে খুব কম ই আমার গ্রামে শ্বশুড়বাড়িতে থাকা হয়েছে। গুণে গুণে ঈদের ছুটি গুলো আর দুর্গাপূজার সময়ে কয়টা দিন ই থাকা হয়। তাতেই আমার ওই বাড়ি থেকে ফেরার সময়ে রীতিমতো মন খারাপ হয়ে যায়! এবার ঈদের ছুটিতে আমার যাওয়া হয় নি। আমি ঢাকাতেই ছিলাম, আমার হাজবেন্ড গিয়েছিলো শুধু। তবে পুরোটা সময় মিস করেছি ভীষণ। কারণ ও বাড়িতে গেলে আমার সময় ভীষণ ভালো কাটে সকলের মাঝে। ওখানে ঘরে ইন্টারনেট এর নেটওয়ার্ক পায় না ভালো, তাই প্রকৃতির মাঝেই সময় কাটানো হয় বেশি। আর আমার শ্বাশুড়ি মায়ের নিজের সবজি বাগানের বিভিন্ন টাটকা শাক- সবজি তো আছেই!


এবার যদিও আমি যেত্র পারি নি, তবে আমার শ্বাশুড়ি মা ঠিক ই আমার জন্য আমার পছন্দের কিছু জিনিস পাঠিয়ে দিয়েছেন আমার জন্য! বিশেষত যেগুলো আমার ভীষণ ই পছন্দের এবং গ্রামে গেলে সেগুলো আমি অবশ্যই খেতাম! তার মধ্যে প্রথমেই বলবো কাঁচা কাঁঠালের তরকারির কথা! আমার ভীষণ ভীষণ পছন্দের আইটেম! উনি কাঁচা কাঁঠাল কেটে ভাপিয়ে, ভেজে আমার জন্য রেডি টু কুক করে পাঠিয়ে দিয়েছেন! সাথে কাঁঠালের বিচি! কারণ আমরা ঢাকায় কাঁঠাল কিনি না, মন মতো কাঁঠাল না হলে পুরো কাঁঠাল ই ফেলে দিতে হয় বলে! আর বাইরে থেকে তো বোঝা যায় না কাঁঠাল কেমন হবে! কিন্তু কাঁঠালের বিচিও আমার ভীষণ পছন্দের আইটেম। মানে ভর্তা হোক, ভাজি হোক কিংবা কাঁঠালের বিচির ডাল, সবই আমার পছন্দের। অথচ আমার পার্টনার খান না। তাই এই সিজনে বাড়িতে গেলে আমি অবশ্যই কাঁঠালের বিচির আইটেম করতে বলি মামনি কে! এবার যেহেতু যাই নি, তাই আমার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন!



এছাড়াও আমার শ্বাশুড়ি মা গাই- গরু পালেন নিজেই। নতুন গাই এর দুধ এখনো আমার খাওয়া হয় নি। এবং দুধ ও আমি খেতে ভীষণ পছন্দ করি। তাই উনি ৪ লিটার দুধ ও পাঠিয়ে দিয়েছেন ছেলের মাধ্যমে! মানে আমি সত্যিই কতিটা লাকি যে উনি আমার পছন্দের বিষয় এ কতটা গুরুত্ব দেন, এমনকি আমি না গেলেও উনি ঠিক ই আমার খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, আমার চাওয়ার আগেই!! 😍 মায়েরা বুঝি সবসময় এমন ই হন! আমি এসব ব্যাপার আসলে শেয়ার করতে চাই না সহজে, কিন্তু এবার ভীষণ আনন্দ কাজ করছিল এই জিনিস গুলো দেখে। তাই আপনাদের সাথে আনন্দের মুহূর্ত টা শেয়ার না করে পারলাম না। আপনারা সবাই আমার শ্বাশুড়ি মায়ের জন্য দোয়া/ প্রার্থনা করবেন প্লিজ! অনুরোধ রইল!

এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
🌼 ধন্যবাদ 🌼

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
@rme as your proxy
witness_vote.png

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20211205_182705.jpg

আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।



Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

সত্যিই দিদি ছেলেরা সব জামাই আদর পায়। তবে সব মেয়েরা বউয়ের আদর পায় তেমনটা বলা যায় না।আপনার শ্বাশুড়ি মা সত্যি ই আপনাকে অনেক ভালোবাসেন।তাইতো আপনার পছন্দের খেয়াল রেখে তিনি সবটা পাঠিয়ে দিলেন।আমরা চাই সব বউ-শ্বাশুড়ির মাঝে সম্পর্ক মধুর হোক।ভালো লাগলো দিদি আপনার আনন্দ অনুভূতি গুলো পড়ে। দোয়া রইলো আপনার শ্বাশুড়ি মায়ের জন্য। ভালো থাকুক সব শ্বাশুড়ি মায়েরা।

শ্বাশুড়ি বৌমার মধুর সম্পর্ক খুব একটা দেখা যায়না।দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো আপনার শাশুড়ি আপনার পছন্দের কথা মাথায় রেখে গ্রামের ফ্রেশ জিনিস গুলো পাঠিয়ে দিয়েছেন।আসলেই ছেলেদের যেভাবে জামাই আদর করা হয় মেয়েদের যদি করা হতো তাহলে কি ভালোই না হতো।ছেলেদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় শুধু শশুর বাড়িতেই এজন্যই তারা একটু বাঁচে আরকি😁।ভালো লাগলো পোস্টটি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার দারুণ মন্তব্যের জন্য। আমাদের জন্য দোয়া করবেন প্লিজ 🙏

আপনি গ্রামের বাড়িতে না যাওয়া সত্ত্বেও আপনার শাশুড়ি মা আপনার পছন্দের খাবার গুলো আপনার জন্য পাঠিয়েছেন জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। আসলে কর্মের জন্য সবাই হয়তো দূরে থাকা হয়। তবে হৃদয়ের বন্ধন টা সারা জীবন থেকেই যায়। আর একে অন্যের পছন্দগুলো মনে রাখে।

একদম সঠিক কথা বলেছেন আপু। মনের টান থাকলে দূরত্ব কিছুই না! ❤️