হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় পরিবারসহ সুস্থ আছি, ভালো আছি। যাই হোক, আজ আপনাদের সাথে নতুন একটি পোষ্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। আশা করবো আপনাদের ভালো লাগবে। পোস্ট টি আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন অবশ্যই... তো চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে যাই আজকের পোষ্ট টি তে.... ৷
গতকাল একটা কলকাতার বাংলা মুভি দেখছিলাম - নাম:- গয়নার বাক্স। যদিও অনেক আগের মুভি, কিন্তু আমার দেখা হয়ে উঠে নি নানা কারণে। সেখানে দেখতে দেখতে এইটা জিনিস মাথায় ঘুরলো নতুন করে! ভাবলাম আজ সে বিষয় টি নিয়েই আমার চিন্তা ভাবনা আপনাদের সাথে শেয়ার করি একটি জেনারেল রাইটিং এ। সে বিষয় টি হচ্ছে- " জীবনে অসময়ে আসা প্রেম "
মুভিটার গল্পে একজন হিন্দু বিবাহিত মেয়ের ( সোমলতা) জীবনে এক পর্যায়ে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রেম এসে হাজির হয়। ছেলেটি মুসলিম কবি। মেয়েটিকে যদিও সে প্রেম কিছুটা নাড়া দিয়েছিলো, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে প্রেমে মেয়েটি সাড়া দেয় নি। মেয়েটি সৎ থেকেছে, আকড়ে ধরেছে নিজের বিবাহিত স্বামীকেই! ঘটনাক্রমে তার নিজের মেয়ে সেই কবির ব্যার্থ প্রেমের কাহিনী জানে এবং তার হাতে পরে যায় কবির লেখা তারই মায়ের নামে অনেক গুলো চিঠি। বুঝতে বাকি থাকে না যে সেই কবি যায় প্রেমে পাগল ছিলো, সে আর কেউ নয় তার ই মা, সোমলতা। তখন মেয়ে তার মাকে চিঠিতে জিজ্ঞেস করে, ' এত প্রেম এভাবে অনাদরে ফিরিয়ে দিয়েছিলে মা??
ঠিক তখনি আমার মাথায় আসে, যদি সে প্রেম ফিরিয়ে সোমলতা সেদিন ফিরিয়ে না দিয়ে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরতো, তবেও কি এত বছর পর তার মেয়ে সেই প্রেমের গভীরতা বুঝে তার মায়ের পরকীয়া কে সমর্থন করতো?? উত্তর টা আমাদের সকলের ই জানা- করতো না! বরং মায়ের এহেন কাজে লজ্জা পেতো, মনে আঘাত পেতো! মাকে নূন্যতম সম্মানটুকুও করতে পারতো কি না সন্দেহ!
মানব জীবনে নানা ভাবে প্রেম আসতে পারে৷ একজন মানুষ তার জীবন ধরে এই একটা জিনিস ই চায়- সকলের ভালোবাসা। অপার ভালোবাসা! কিন্তু সবাই কি তার চাওয়া মতো সেই কাংখিত ভালোবাসা একই ভাবে পায়?? সে নিশ্চয়ই পায় না। কারণ সময়ের সাথে সাথে ভালোবাসার রুপে, ধরনে কিছু পরিবর্তন চলেই আসে.. সেটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এখন, একজন বিবাহিত কিন্তু অসুখী মানুষের জীবনে যদি এভাবেই অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে প্রেমের সুযোগ চলে আসে, তখন তার কি করা উচিত?? ভালোবাসা তো সকলেই চায়! কিন্তু একজনের থেকে অসময়ের ভালোবাসা পেতে গিয়ে আগের জন, যার সাথে পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ, তাকে এবং পুরো পরিবারকে ঠকানো কি আদৌ যুক্তিযুক্ত?? আমাদের কলেজের প্রিন্সিপাল, সিস্টার শিখা সবসময় বলতেন, মানুষের মন যা পায়, তাতে কখনো সন্তুষ্ট থাকে না, তার যেনো আরোও চাই.. আরোও চাই.. কিন্তু এই আরোর আসলে কোনো সীমা থাকে না! তাই আমাদের জানতে হবে জীবনে কোন পর্যায়ে " দৃঢ় ভাবে- " না " বলতে হবে, নিজেকে এবং অন্যকেও! আমি যদি ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য হই, অন্য কেউ আমাকে ভালোবাসতেই পারে। তবে সে ভালোবাসা খুব সুন্দর ভাবে ফিরিয়ে দেয়াটাও জানতে হবে! নিজেকেও জানতে হবে যে, আমি ভালোবাসার যোগ্য! তার মানে এই না যে যেভাবে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করবে, তাতেজ সমর্থন জানাতে হবে। নিজের ভেতরকার শুদ্ধতা আমরা কতটুকু ধরে রাখতে পারি, সেটাই দেখার বিষয়! নিতান্তই যদি বিবাহিত জীবনে ভীষণ অসুখী থাকে, তবে তো সে বিয়ে জোর করে টেনে বেড়ানোর দরকার নেই। লোকে কি বলবে - এই চিন্তা যদি মাথায় আসে, সে তো পরকীয়াও কেউ ভালোভাবে নেয় না- সেটাও ভুললে চলবে না। কিন্তু বিয়ের মতো পবিত্র একটি সম্পর্কে আবদ্ধ থেকে, অসময়ের ভালোবাসায় সাড়া দিলে, তা কখনোই পরিবারের জন্য সুখকর কিছু বয়ে আনে না! আশা করছি আপনারাও আমার সাথে একমত হবেন এই বিষয়ে।
যাই হোক, আর কথা বাড়াচ্ছি না। আমার জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইলো আপনাদের কাছে। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit