ফরচুন বরিশালের ওপেনিং জুটিতে আসে তামিম ইকবাল এবং পাকিস্তানের আহমেদ শেহজাদ। এর আগের ম্যাচগুলোতে তামিম ইকদার ভালো না করতে পারলেও আজকের ম্যাচটা সে জ্বলে উঠেছিল। প্রথম থেকে এসে খুবই আক্রমনাত্মক খেলছিল। যদি আহমেদ শে জান খুব বেশি একটা ভালো করতে পারেনি কিন্তু তামিম ইকবালের বেটে চার ছক্কা ঝুরি ছিল। এর ফলে ওপেনিং জুটিতে এটাই তাদের সবচেয়ে বেশি রান আসে। তাদের খেলা যে ধরন ছিল তাতে বোঝাই গেছিল আজকে ২০০ রানের উপরে করবে তারা।

এরপরে আহম্মেদ সেহজাদ আউট হওয়ার পরে আর কেউই সেভাবে দাঁড়াতে পারে নাই। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিক, মিরাজ কেউ তেমন রান করতে পারে নাই। তাদের এই ব্যাটিং ব্যার্থতার কারনে বরিশালের রান ১৬৫ থেকে ১৭০ হবে এমন আশা করা যাচ্ছিল। শোয়েব মালিক বল তেমন একটা ব্যাটে আনতপ পারছে না। সব মিলিয়ে খুব খারাপ অবস্থা তাদের।

বরিশালের সাইফুদ্দিন বামহাতি ব্যাটসম্যান। শেষের অভারে রীতিমতো তান্ডব চালাই মাত্র ছয় বল ফেস করে রান করে তেইশ। দুইটা চায় দুইটা ছয় তার দর্শনীয় মার গুলো ছিল খুবই দেখার মত। তার এই ঝড় ব্যাটিংয়ের সুবাদে শেষ পর্যন্ত তারা একশ ছিয়াশি রান করতে সক্ষম হয়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একজন ব্যাটিং যদি ভাল খেলে দেয় তাহলে অনেকটা রান হয়ে যায়।

ওপেনিং ব্যাটিং তামিম ইকবালের ঝড়ো ইনিংস এবং শেষের দিকে সাইফুদ্দিনের এক ওভারে ঝড় ইনিংসে বেশ ভালো একটা সংগ্রহ পায় বরিশাল। এখন দেখার বিষয় এরান ওভারটেক করে যেতে পারে কিনা ঢাকা। ঢাকার ভালো ব্যাটিং রয়েছে তারপরও ক্রিকেট খেলা শেষ পর্যন্ত কি হয় দেখা যাক।

দুরন্ত ঢাকা ১৮৬ রানের টার্গেটে প্রথমের দিকে তারা উইকেট হারিয়ে বসে। একটা বড় রানের টার্গেট যদি জিততে হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে ওপেনিং যদি ভালো কিছু করে যেতে হবে কিন্তু সেটা ঢাকা পারেনাই। এরপরও প্রথম উইকেট পড়লেও যদি পরবর্তীতে তারা ভালো খেলতে পারে তাহলে হয়তোবা এই রান চেঞ্জ করতে পারবে।

প্রথমের দিকে প্রথম উইকেট পড়ে গেলেও পরে যে দুইজন ব্যাটসম্যান ছিল তারাও দাঁড়াতে পারে নাই। মাত্র ১৭ রানের মাথায় তারা তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে। আর এতে বোঝা যাচ্ছিল হয়তো বা ঢাকা জিততে পারবে না। এরপরও ক্রিকেট খেলা অনিশ্চয়তের খেলা একজন ব্যাটিং যদি ভালো করে দেয় তাহলে হয়তো বা জিতলেও জিততে পারে। দুরন্ত ঢাকার ব্যাটিং না যেন যাচ্ছে আসছে এমন একটা পর্যায়ে শুরু হয়ে গেছে।

ভেবেছিলাম ১৭ রানে ৩ উইকেট পড়ে গিয়েও মিডেলের ব্যাটিং কিছু একটা করতে পারবে কিন্তু ঢাকা কোন ব্যাটিং কোন কিছুই করতে পারে নাই পঞ্চাশনের মাথায় পাঁচ উইকেট হারিয়ে তারা একেবারে ব্যাকফুটে পড়ে যায়। আর এতে করে তাদের পরাজয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে পড়ে। বরিশালে বোলিংয়ের সামনে ঢাকার কোন ব্যাটিংয়ে দাঁড়াতে পারল না। আসলে ক্রিকেট খেলা এমনই হয় টার্গেটে খেলতে গেলে হয় জিতে যায় না হয় একেবারে হেরে যায়।

ঢাকা যেখানে সব ব্যাটিং ব্যর্থ সেখানে একজন মাত্র ব্যাটিং রোজ সেহরি ইতি মত বরিশালে বোলিংদের উপরে তাণ্ডব চালায়। সে আক্রান্ত দাঁড়িয়ে থাকলেও তার সহযোগিতা দেয়ার মত কোন ব্যাটিং না থাকায় তারা খুব কাছে গিয়ে হেরে যায়। ব্যাটিং এর প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সে বোলিংয়ে তুলে ধরে। ৪৯ বলে ৮৯ রানের একটি ঝড় উপহার দেন। তার প্রতিটা শর্টগুলো ছিল দেখার মত। তুমি খুবই দারুণ খেলেছেন বেশ চার ছক্কা মেরেছেন তিনি। তার এই রানের সুবাদে তারা একটু কম রানি হারে।

শেষ পর্যন্ত যদিও তারা অলআউট হয় না কিন্তু তারা মাত্র ২৩ রানে হেরে যায়। অ্যালেক্স রোজ ছাড়া তাদের কেউ দেখার মত কোন ইনিংস ছিল না। তার সাথে যদি আর একজন কোন প্লেয়ার যদি একটু ভালোভাবে খেলতে পারতো হয়তোবা এর ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো। যাহোক শেষ পর্যন্ত বরিশাল পর্যন্ত জিতে যায় তাদের কাছে।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।