আমার তোলা এলোমেলো রেনডম ফটোগ্রাফি।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু

বাংলা ভাষায় ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ফাউন্ডার "এডমিন ও মডারেটর প্যানেল সহ সকল সদস্যদের জানাই অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি।

---

---

আপনারা যে ফটোগ্রাফি দেখছেন আর এই ফটোগ্রাফির এই যে রাজহাঁসটি দেখছেন এই রাজহাস সবারই পরিচিত। রাজহাঁস গ্রাম অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে দেখা যায় আরে রাজহাঁসের মধ্যে কিন্তু বেশ রংয়ের ভিন্নতা রয়েছে। তবে আমার কাছে সবচেয়ে সাদা রঙের রাজাস গুলো দেখতে বেশি ভালো লাগে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন রাজহাঁসের বর্তমান মূল্য কিন্তু বেশ অনেক। আর রাজহাঁসের গোশ খেতে বেশ টেস্টি। যাইহোক রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম এমন সময় রাজহাঁসের এই বৈশিষ্ট্যটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে আর তাই দেরি না করে একটু ফটোগ্রাফি করলাম আশা করি আমার পাশাপাশি আপনাদেরও এই ফটোগ্রাফিটি ভালো লেগেছে।

জন্ম মৃত্যু সবই বিধাতার হাতে লেখা। সৃষ্টিকর্তা তার সৌন্দর্য দিয়ে সবকিছু সৃষ্টি করেছেন আর এই স্রষ্টার সৃষ্টি আসলেই সুন্দর। একটা বাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম হঠাৎ দেখলাম ছাগলের ছানা। দেখে বোঝাযাচ্ছে ছানাটি কয়েকদিনের মধ্যেই হয়েছে। আর ছাগলের সোনাটি দেখতো বেশ সুন্দর আর এই সৌন্দর্যটা আপনাদের মাঝে ভাগাভাগি করার জন্যই সাথে সাথে একটি ফটোগ্রাফি করলাম। বিধাতার নেওয়া খেলার চিন্তা করাটা অনেক কঠিন দেখছেন ছাগলের ছানাটা ছোট কিন্তু কতটা সুন্দর। আসলে স্রষ্টা যদি সুন্দর হয় তাহলে তার সৃষ্টির সবকিছুই সুন্দর হবে এটাই স্বাভাবিক।

রাস্তার পাশ দিয়ে যখন আপনি হেঁটে যাবেন দেখবেন বেশ কিছু গাছপালা দেখা যায়। পাশে যদি বন জঙ্গল থাকে দেখবেন বন জঙ্গলের মধ্যেও কিছু ফুল ফুটে থাকে। আসলে বলে না কবরের পদ্মা ফুল ঠিক তেমনি রাস্তার পাশে বেশ অনেক ফুল ফোটে থাকার এই ফুল গুলো সৌন্দর্য বেশ ভিন্নতা এবং সৌন্দর্যগুলো বেশ ভালো লাগে। আরে ভালো লাগা থেকে এই ফুলের ফটোগ্রাফি করেছিলাম আর এ ফটোগ্রাফিটা আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। যদিও এই ফুলের নাম আমার জানা নেই তবে গ্রামের গঞ্জে বেশ জায়গায় এই ফুলটি দেখা যায়।

ডাব সবার কাছে সুপরিচিত। বাড়ির মধ্যে থেকে কেবল বের হয়েছে দেখি এক লোক ডাব বিক্রয় করতে এসেছে। গ্রামগঞ্জে যদি ওটা বিক্রি করে না সবাই ক্রয় করে থাকে কিন্তু এই ডাবগুলো বিক্রি করা হয় শহর অঞ্চলে। অনেকেই প্রতিটা দাম ১০০ টাকা ক্রয় করে থাকে। গ্রামাঞ্চলে এসব ডাবগুলো তারা ৫০ টাকা করে নিয়ে যায় আর শহরে গিয়ে১২০ টাকা করে বিক্রি করে। যদিও শীতকালে ডাবের প্রভাবটা একটু কম তারপরও ডাব খুবই উপকার। শহরাঞ্চলে হাসপাতালে পাশে ডাবের প্রচুর পরিমাণ চাহিদা থাকে। আর ডাবের গুণগত মান সম্পর্কে আমার মনে হয় সবারই জানা রয়েছে তাই নতুন করে আমি কিছু বর্ণনা বা বিশ্লেষণ করলাম না।

নেশায় এই ফটোগ্রাফি দেখে আপনার বুঝতে পেরেছেন আমি কি ফটোগ্রাফি করেছি হ্যাঁ ইনি হলেন মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আমাদের দোকানদার ভাই। আসলে এনার ফটোগ্রাফি করা পেছনে আমার একটা উদ্দেশ্য রয়েছে আর সেটা হল সততা। তার দোকানটা ছোট দোকানের মধ্যে মালপত্র বেশ কম কিন্তু তা সততার দিক থেকে সে অনেকটা এগিয়ে। দোকানে এক নম্বর বা দুই নম্বর যে মাল হিসেবে বিক্রয় করুক না কেন ক্রেতা কে সে অবশ্যই বলে থাকে যে এই মালটা এমন অর্থাৎ সততা মধ্যদেশ তিনি ব্যবসা করে যাচ্ছেন। আর সততা থাকলে যে অল্পের মধ্যেও যায় সেখানে আল্লাহর স্রষ্টার যে খুশি লুকিয়ে থাকে সেটা জানানোর জন্যই কিন্তু এই ফটোগ্রাফিরা করা। অর্থাৎ এই ব্যক্তি সৎ ব্যবসায়ী।

হঠাৎ করেই পুকুরে মাছ ধরার সিদ্ধান্ত নিল। আসলে শীতের মধ্যে তেমন মাছ বিক্রয় করা হয় না কারন এই সময় মাছের দাম অনেক কম থাকে। তারপরও মাছের মাছ তৈরি করতে গেলে টাকা প্রয়োজন হয় আর টাকা তা থাকলেই হয় না। আর মানুষের সব সময় টাকা হাতে থাকে না তাই সময় না থাকলে অনেক সময় অসময়ে সময়ের কাজ করতে হয়। তাই হঠাৎ করে আজকে পুকুরে মাছ ধরছিলাম আজ মাছ ধরার সময় উপরে দাঁড়িয়ে থেকে আমি একটু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। আসলে মাছ ধরা আনন্দটা অন্যরকম পারে আনন্দটা আপনাদের সাথে ভালোভাবে করে নেয়ার জন্য এই ফটোগ্রাফিরা করা আসলে আপনাদের ভালো লেগেছে।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।