ক্রিয়েটিভ রাইটিং :- পিতা-মাতার কষ্টে সন্তানের তামাশা।

in hive-129948 •  16 days ago 
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমার আলোচনার বিষয়টি হলো পিতা-মাতার কষ্টে সন্তানের তামাশা। আশা করি আজকের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনাটি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...


father-3871837_1280.jpg

Source

পৃথিবী হলো মানুষের বসবাসযোগ্য একটাই স্থান। এখানে মানুষ বসবাস করে জীবন যাপন করে খাওয়া-দাওয়া করে নিজের জীবনকে পরিচালনা করে। মানুষ টাকা উপার্জন করে নিজের জন্য নিজের পরিবারের জন্য সুখ শান্তির জন্য। সবকিছু যদি এখানে সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলে ঠিক আছে কিন্তু তা কি হয়। আমরা কারো সন্তান একটা সময় আমাদেরও সন্তান হবে এটাই স্বাভাবিক। একজন সন্তানের জন্য পিতা-মাতা কতটা কষ্ট করে সে পিতা না হওয়া পর্যন্ত বুঝতে পারে না। আর যারা পিতা হওয়ার সত্বেও পিতা-মাতার মর্ম বোঝেনা তারা কি মানুষ? আমার মনে হয় না জানিনা এ বিষয়ে আপনাদের মতামত কি। পৃথিবীতে সন্তান নামের এমন কুলাঙ্গার রয়েছে এখনো যারা প্রতিনিয়ত পিতা-মাতাকে কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে আমিও হয়তো বা তার বাইরে নয়। তবে মানুষ ভুল করবে সে ভুল থেকে শিক্ষা নেবে সে ভুলের মধ্যে থাকাটা কিন্তু সে মানুষ না। যে ভুল করে ওর ভুল থেকে শিক্ষা নেয় না সে পশু। বর্তমান পৃথিবীতে পিতা-মাতাকে নিয়ে অনেক সন্তান এখন তামাশায় মঝেছে। যারা তাকে বড় করলো তাকে প্রাধান্য না দিয়ে আজকে মরলে কালকে তাদের চোখের পানি থাকবে না তাদেরকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে রয়েছে। যাইহোক আমি চেষ্টা করব পিতা মাতার কষ্টে তামাশার উপর ভিত্তি করে কিছু কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।


আমরা মানুষ সামাজিক জীব তাই সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে পছন্দ করি। একটা সময় বহু পারিবারিক পরিবার ছিল অর্থাৎ পরিবারের অনেক মানুষ বসবাস করতে একত্রে । সময়ের ব্যবধানে সেসব ভেঙে এখন এক পরিবার তৈরি হয়েছে অর্থাৎ ছোট পরিবার যেখানে বাবা-মা ভাই-বোন নিয়ে গড়ে উঠেছে। তবে সেই পরিবার এবং চলমান পরিবারের মধ্যে যথেষ্ট তফাৎ রয়েছে। বর্তমানে মানুষ সন্তান এক থেকে দুইটার উপরে নিতে চায় না। আর অনেকে ইচ্ছা করলেও নেয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। সন্তান যখন একজন বা দুইজন হয় তখন তাদের উপরে বাবা-মার ইচ্ছাটা বাসায় আকাঙ্ক্ষাটাও একটু বেশি থাকে। হয়তোবা দুই সন্তান থাকলে তাদের মধ্যে একজনার প্রতি আরো বেশি আকাঙ্ক্ষাটা থাকে। কিন্তু একটা সময় যদি সেই আশা আকাঙ্ক্ষা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় তখন তাদের মনের অবস্থাটা কেমন হয় । আসলে এই বিষয়টি উপলব্ধি করার মতো মানসিকতা সবার নেই। কথাটা সত্য দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝেনা। কিন্তু আর একটা কথাও তো সত্য নিজের যা থাকে তা যদি অন্য থাকে তাহলে তো নিজের মর্মটা বুঝতে পারে। কিন্তু পৃথিবীতে বেকুবের শেষ নেই। আপনারা হয়তোবা অহরহ দেখছেন পিতামাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে নিজের স্ত্রী পরিবার নিয়ে রঙ্গ তামাশা করে যাচ্ছে মানুষ। আবার অনেকেই রয়েছে নিজেকে স্বাবলম্বী মনে করে সে নিজের পরিবারকে আর প্রাধান্য দিতে চাই না। ভাবভঙ্গিটা এমন দেখায় যে হজ করে আসছে হাজির হয়ে গেছে। তার দ্বারা আর খারাপ কাজ হবে না এমনটা।


পিতা-মাতা সন্তানকে বড় করে বেশ কিছু আশা ভরসা নিয়ে। সময় স্রোতে যখন সে আশায় জল ঢেলে দেয় তখন তারা কতটা কষ্ট পায় কাছ থেকে না দেখলে বোঝা যায় না। কিছু কিছু সময় কষ্ট লাগে যে পিতা-মাতা সন্তানকে বড় করলো আর পরবর্তীতে সেই পিতা-মাতাই তাদের জন্য কষ্টের হয়ে যায়। আজব বিষয় যাকে বড় করে মানুষ করেছে তাকে একটা সময় অন্যের জন্য নিজের জন্মদাতা পিতা-মাতাকে অস্বীকার করতে একটুও দ্বিধাবোধ করে না। সন্তানের জন্য পিতা-মাতা কেঁদে মরে এদিকে সন্তান রঙ্গনে খেলে বেড়ায়। এই ধরনের নির্লজ্জ বেহায়া মানুষের সংখ্যা এখন বেশি। আফসোস ওইসব সন্তানের জন্য যারা পিতা-মাতার কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পিতা মাতার মুখের কথায় বিশ্বাস না করে সামান্য দুই দিনের ক্ষণিকের সঙ্গিনীর কথা বিশ্বাস করে অনেক সময় পিতা মাতার মনে কষ্ট দেয়। সমাজে এমন মানুষ অহরন রয়েছে এখন । তবে যারা আজ বর্তমানকে অস্বীকার করে পিতা-মাতা অবস্থা এমন করছে তারা ভবিষ্যতে তার থেকেও বেশি সম্ভব মনে পড়বে না এমন কোন কথা রয়েছে।


কোন পিতা মাতায় তার সন্তানের জন্য খারাপ দোয়া করতে পারে না। তারা হাজার কষ্টের মধ্য দিয়ে তাদের সন্তানের সুখ দেখতে চাই। কিন্তু কিছু মূর্খ সন্তান রয়েছে যারা এই সহজ কথাটা বুঝতে চায় না। অনেকে রয়েছে যারা নিজের পিতা-মাতাকে রেখে তাদের স্ত্রীর শ্বশুর-শাশুড়ি তাদেরকে প্রাধান্য দেয়। যে জন্মদাতা পিতা-মাতাকেই ভালো রাখতে পারে না তার সে কিভাবে তাদেরকে ভালো রাখবে। এই সহজ কথাটা তাদের মাথায় ঢুকে না। যারা নিজের রক্তকে অস্বীকার করে অন্য রক্তকে আপন করতে চায় তারা একদিন বুঝতে পারবে তারা সে কি করেছে কিন্তু সেদিন কিছু করার থাকবে না। তাই পিতা-মাতার কষ্টে তামাশার না দেখে নিজের শুধরে নিজের রক্তের টানে রক্তের কাছে আসো দেখবে সেখানে সুখ রয়েছে। পিতা মাতার দেওয়া সুখগুলো টাকা দিয়ে কেনা যায় না অর্থ সম্পদ দিয়ে যদি এটা করা যেত তাহলে মানুষ তাই করতো। যারা পিতা মাতাকে কষ্ট রেখে নিজের মতো করে জীবন যাপন করে তারা পিতা-মাতার কষ্টে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।


আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ডিভাইস poco M2
লোকেশন মেহেরপুর


👨‍🦰আমার নিজের পরিচয়👨‍🦰


1666192548913_1666192548801_1666192548599_1666192548416_1666192548270_1666192548091_1666192547839_1666192547665_1666192022150.jpg

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।


Logo.png

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )


4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzLdXDsNijBKWNGJn5ogmozSiA7cyReMsKwomyC79dv8nHgZj3RKbXhPtULzHviAUBY9Vc8ousmvcnNywqK...hMHPzmtXdqcE25kuBukgtAciNVXSHonSRqmAmfHf9YgyuYwwZo1Nd9dUCogeVvSsKh3MRCxw1Khi2NyeZh4Rt4J9n7wTsZvJ1tiUMafwrMjZ5AQz2ERchsjjJv.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বর্তমান সময়ে এমন সন্তানের অভাব নেই যারা নিজে একটু সাবলম্বি হয়ে নিপিতামাতার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এরা কি আদৌ সুখে থাকতে পারে কিনা জানিনা। পিতা-মাতা অসহায় হয়ে এদের জন্য খারাপ দোয়াও করতে পারেনা। যাই হোক ভাইয়া ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে।

আমার মনে হয় তারা নিশ্চয়ই সুখী হতে পারে না হলে তো তার এমন করত না? হয়তোবা সেই সুখটাই ভিন্নতা রয়েছে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।

পিতামাতা সবসময়ই তাদের সন্তানের ভালোই চায়। অনেক সময় সন্তানেরা তা বোঝে না। উলটা বাবা মা কে একটা সময়ে বোঝা মনে করে বৃদ্ধাশ্রম এ পাঠিয়ে দেয়।অনেকে তো সেটুকুও করে না এমন অত্যাচার করে বাসা থেকে বের করেও দেয়। উপরওয়ালার কাছে এটাই প্রার্থনা যে সকলের সঠিক বুদ্ধি জাগ্রত হোক। সময় থাকতেই বাবা মা এর মর্যাদা দিতে শিখুক সকল সন্তান।

আপনার সাথে আমি একমত ওই সব মানুষের জন্য দোয়া ছাড়া আর কিছুই নেই। তারা যেন পিতা মাতার মহত্ব বুঝতে পারে।

পিতা-মাতার কষ্টে সন্তানের তামাশা শিরোনামে লেখাটি ভালো লিখেছেন ভাইয়া। ভালো লেগেছে লেখাটি। আমাদের সমাজে অনেক পিতামাতাই সন্তানের অবহেলার শিকার। এরা আসলে সন্তান নামের কলংক।সব সন্তানের উচিত পিতামাতার যোগ্য সম্মান দেওয়া। সকল পিতামাতা ভালো থাকুক, এই কামনা করি। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আসলে আপু যখন তারা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় তখন পিতা মাতাকে মূল্যহীন মনে করে। আর এজন্য সমাজের এই অবস্থা।

ভীষণ প্রাসঙ্গিক একটি পোস্ট শেয়ার করলেন। আজকাল পিতা মাতার কষ্টে সন্তানদের বুক বাজে না। আর সেই বৃদ্ধ পিতা-মাতা নিজেদের মত জীবন খুঁজে নেয়। আজ সমাজে এই ক্ষত ধীরে ধীরে আরো প্রকট হচ্ছে। আর যত ক্ষত বাড়ছে তত সামাজিক অবক্ষয় বাড়ছে। প্রত্যেক সন্তানের উচিত পিতা মাতাকে যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া। বিষয়টি জানানোর জন্য আপনি খুব সুন্দর করে পোস্ট করলেন।

বর্তমান সমাজের সন্তানেরা বাবা-মার যোগ্য সম্মান দিচ্ছে না। আর এ কারণেই বৃদ্ধাশ্রমে বাবা-মাকে যেতে হচ্ছে। তবে এটা ভুলে গেলেও চলবে না পরবর্তীতে আমাদের যেতে হবে।