জেনারেল রাইটিং :- কিছু মানুষ পশুর থেকেও নিকৃষ্ট হয়।

পৃথিবীতে অনেক সৃষ্টির বসবাস রয়েছে এসব সৃষ্টির মধ্যে সবথেকে সেরা সৃষ্টি জীব হলো মানুষ জাতি। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব সত্য মানুষ যাতে মানুষকে বলে তোমরা বড় হও এবং মানুষের মত মানুষ হও। জন্ম দোষে মানুষ হিসাবেই পৃথিবীতে আসে তাহলে কেন মানুষকে মানুষ হতে বলে এ বিষয়ে অনেকেরই হয়তো বা কোন ধারণা থাকলেও থাকতে পারে নাও পারে। যখন কোন মানুষকে আরেকজন মানুষ বলে পশুর মত নিকৃষ্ট অর্থাৎ তার আচরণগত দিক দিয়ে মানুষ এই ধরনের কথাগুলো বলে থাকে। আমাদের সমাজে এমন মানুষ রয়েছে যারা খুবই নিকৃষ্ট মনের কাজকর্ম করে থাকে। তবে বর্তমান সময়ে এই কাজের পরিবেশটা বেশি দেখা যাচ্ছে দেখবার অনেক মানুষ নিজের সন্তানকে ফেলে যায়। একজন মা হয়ে অন্য মায়ের সন্তানের বউ খালি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করে থাকে। পৃথিবীর স্বার্থ হাসিল করার জন্য মানুষ কত কিছুই করছে তার কোন ঠিক নেই। তবে এত কিছু করার শেষে একটা কথাই থাকে প্রত্যেকটা মানুষকে তার মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। তাই এই কথাটি মাথায় রেখে মানুষকে মানুষ হওয়ার মত পরিকল্পনা বা প্রতিজ্ঞা থাকা উচিত। কখনোই যেন কোন মানুষকে বলতে না পারে যে এই লোকটি পশুর মতই নিকৃষ্ট।

আমাদের সমাজে এমন মানুষ রয়েছে যাদের কর্মকান্ড গুলো খুবই খারাপ। আসলে মানুষ তার নিজের কর্মের মধ্যে পরিচিত হয়। এই কর্ম হতে পারে ভালো আবার হতে পারে খারাপ তবে ভালো খারাপ যাই হোক না কেন তার পরিচয় কর্মের মধ্য দিয়ে প্রকাশ হয়। আমরা মানব জাতি আমাদের বুদ্ধি বিবেক জ্ঞান সবকিছুই দিয়েছে তারপরও আমরা মাঝেমধ্যে নিজেদের বুদ্ধি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। বুদ্ধি থাকা সত্ত্বেও মানুষ কুকর্মে লিপ্ত থাকে পাপকর্মে লিপ্ত থাকে। আমরা জানি এই কাজকর্ম করলে সৃষ্টিকর্তা আমাদের উপরে নারাজ হয় তারপরও আমরা সেই সমস্ত কাজের মধ্যেই আবদ্ধ হয়ে থাকি। পৃথিবীতে মানুষ বহু ধরনের খারাপ কাজে লিপ্ত থাকে এর মধ্যে কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো পশুর থেকেও নিকৃষ্ট মালের কাজ। উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি কিছু মানুষ রয়েছে যারা নিজের সন্তানকে হত্যা করে আবার সন্তান তার মাকে বা বাবাকে হত্যা করে। আবার এমন মানুষ রয়েছে যাদের নিজের সন্তান থাকা সত্ত্বেও অন্য সন্তানের ক্ষতি করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। কিন্তু একটা বিষয় সে ভুলে কিছু কিছু সময় অন্যের ক্ষতি করতে গিয়ে নিজেরও ক্ষতি হয়ে যায় । আপনি একজন ব্যক্তিকে ক্ষতি করবেন হয়তোবা সে সামরিক সময়ের জন্য একটু ভুক্তভোগী হবে কিন্তু একটা সময় সে সেখান থেকে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু আপনি যে পাপের কাজটা করলেন এটার থেকে আপনি কখনো বের হতে পারবেন না ক্ষমা পাবেন।

মানুষের এই কুকর্ম তার জন্য মানুষের অনেক সময় পশুর সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে। কারণ অনেক সময় দেখবেন ডিসকভার এতে দেখানো হয়ে থাকে নিজের সন্তান জন্ম দেয়ার পরেই নিজের মেরে ফেলে অথবা সে খেয়ে ফেলে। ঠিক এমন মানুষ এখন পৃথিবীতে অহরহ দেখা যাচ্ছে। আমাদের একটা বিষয় মাথায় রাখা উচিত আমরা মানব জাতি আমাদের বুদ্ধি বিবেক দিয়েছে আমাদের জ্ঞান দিয়েছে সব থেকে বড় কথা ১৮ হাজার মাখলুকাতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণী হচ্ছে আমরা মানুষ। আর এই বিষয়টি আমাদের মাথায় নিয়ে বেড়ানো উচিত কারণ মানুষ অনেক সময় আমাদেরকে পশুর সাথে তুলনা করে কিন্তু এটা খুবই জঘন্য কাজ। যাকে এই পথ উপাধি দেয় তার ভাবনা চিন্তা করা উচিত নিশ্চয়ই তার কর্মের দ্বারা মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না হলে তো তাকে কখনোই কথা বলবে না। আমাদের প্রতি পদক্ষেপে সতর্কতার সাথে চলা উচিত যাতে আমাদের দ্বারা কোন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বা ক্ষতির সম্মুখীন না হয়। আমাদের উচিত সবসময় চেষ্টা করা আমাদের দ্বারা ক্ষতি না হয়ে বা উপকার না করতে পারলেও যেন ক্ষতি না হয় সেদিকে সতর্কতা অবলম্বন করা। আমরা যেমন মানব জাতি আমাদের পরিচয় যেন মানুষের মতোই হয় কখনোই যেন পশুর সাথে তুলনা না করে এমন কর্ম থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।