জেনারেল রাইটিং:- ভালো পরামর্শ একটা জীবন পাল্টিয়ে দিতে পারে।

মানবজাতি সৃষ্টির পর থেকেই হিংসা বিদ্বেষ নিয়ে রয়েছে। পৃথিবীতে অনেক মানুষ রয়েছে যারা একে অপরের প্রতি হিংসা করে। কেউ কারো ভালো দেখতে পারে না। কেউ যদি খারাপ পথে চলে যায় তাকে আরো খারাপ পথে দেওয়ার কুপরামর্শ দেয়। কিন্তু সে জানেনা কোন মানুষকে একটা ভালো পরামর্শ দিলে তার জীবনকে পাল্টে যেতে পারে। আর একটা জীবন পাল্টে গেলে একটা পুরো পরিবার পাল্টে যায়। সমাজে খুব কম মানুষ রয়েছে যারা মানুষকে সুপরামর্শ দিয়ে থাকে। কারণ সমাজ তেমন কলুষিত হয়ে গেছে। আর সুপরামর্শ না দেয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। আপনি একজনকে ভালো কথা বলবেন বা একজন খারাপ কাজে লিপ্ত আছেন তাকে ভালো কাজে আনার পরামর্শ দিবেন সে আপনাকে উল্টো কথা শোনাবে। হয়তোবা এ কারণেও মানুষ অনেক সময় মানুষের ভালো কথা আনার চেষ্টা করেনা। তারপরও আমাদের উচিত মানুষের সুপরামর্শ দেয় এবং সুন্দর জীবন যাপন করা উৎসাহ দেওয়া।

প্রথমেই বলে সুপরামর্শ না দেওয়ার কারণ কি? এইতো ঈদের দিন একটা ঘটনা আপনাদের বলি। দোকানে গিয়েছিলাম কোক খেতে। দাঁড়িয়ে আছি এমন সময় একটা ছেলে দোকানদারকে বলতেছে, আপনার দোকানে কি কি সিগারেট আছে। দোকানদার তাকে বলো তুমি কি সিগারেট নিবা। সে যে কয়টা সিগারেটের নাম বল আমি শুনে অবাক। তাই পাঁচ থেকে ছয় রকমের সিগারেট কিনে নিয়ে যাবে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো বাবু তুমি কিতে পড়ো। উত্তর দেয় আমি ক্লাস টেনে পড়ি কিন্তু তার বয়স দেখে আমার বিশ্বাস হলো না। যাক ধরে নিলাম সে ক্লাস টেনে পড়ে তাকে যদি বলা হতো বাবু তুমি কেন সিগারেট খাও? তাকে যদি সু পরামর্শ দেয়া হতো তাহলে সে উল্টো এই জবাবটাই দিতে যে আপনার কাজ আপনি করেন আমার কাজ আমাকে করতে দেন। কারণ এমন সম্মুখীন আমি হয়েছি। কাউকে ভালো পরামর্শ দিলে সে উল্টো বলে আমি আমার বাপের টাকা দিয়ে খাই তোমার কি?

এখন আপনারাই বলেন যদি আপনাকে এমন কথা বলে তাহলে আপনার কিছু বলার থাকবে। আর এই কারণে মানুষ মানুষকে সুপরামর্শ দেওয়াটা অনেকটা ভুলে গেছে। তবে আমরা সমাজে বাস করি শত বাধা আসলেও চেষ্টা করা উচিত মানুষকে সুপরামর্শ দাও। এর মধ্যে অনেক মানুষ হয়েছে যারা পরামর্শগুলো গ্রহণ করে। দেখুন একজন ছেলে যদি মাদকাসক্ত হয়। তাকে যদি পরামর্শ দিয়ে ভালো পথে ফিরে আনা যায় আপনি কি জানেন শুধু ওই ছেলে ফিরে আসছে না ফিরে আসছে একটা গোটা পরিবার। একটা সময় যে পরিবারের শুধু অশান্তি বিরাজমান করতো। ভালো কাজ করলে বাঁধা আসবেই এটা স্বাভাবিক। তাই ভালো কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা কখনো উচিত নয়। একটা বিষয় সবসময় আমাদের মনে রাখা উচিত একটা সুপ পরামর্শ একটা জীবন একটা জাতি একটা সমাজকে পাল্টে দিতে পারে। আর একটা ভুল সিদ্ধান্ত বা ভুল পরামর্শ আপনার সারা জীবন বেদনাদায়ক হতে পারে।

বর্তমান সময়টা অনেক খারাপ যাচ্ছে এটা ঠিক। তবে খারাপের মধ্যেও ভালো রয়েছে যার জন্য পৃথিবীটা এখনো টিকে রয়েছে। আমাদের চারপাশের মানুষগুলো সবাই খারাপ না। সবার আচরণগত দিক থেকেও ভিন্ন না। এক একজনের আচরণ এক এক রকম। যারা ভাল তাদেরকে আরো ভালো পরামর্শ দিতে হবে এজন্য তারা আরও বড় স্থানে পৌঁছাতে পারে। আর যারা খারাপ তাদেরকে আস্তে আস্তে পাশে দাঁড়াতে হবে। তাদেরকে ভালো-মন্দ করো তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে ভালোভাবে তাদেরকে বোঝাতে হবে তাদেরকে সুপরামর্শ দিতে হবে। দেখবেন একটা সময় সেই খারাপ ছেলে ভালো হয়ে গেছে। এমনকি ওই ছেলের দ্বারা সমাজের অনেক ভালো ভালো কাজে নিয়োজিত থাকছে। মানুষ ভুল করে বয়সে শোক যেন অনেক মানুষ অনেক ভুল করে। ভুলের মধ্যে না থেকে ভুলকে সংশোধন করাটাই হলো উত্তম।

আমার ব্যক্তিগত মতামত সব সময় মানুষের সুপরামর্শ দিন। একটা ভালো পরামর্শ একটা জীবন পরিবার সমাজ একটা ভালো জাতি গঠন করতে পারে। হয়তোবা এমন হতে পারে একটা ভালো পরামর্শ একটা ছেলে জীবন পরিবর্তন করে দিবে। আর পরিবর্তনের এইধারা যদি বিরাজমান থাকে দেখবেন আপনিও একদিন ফল পাবেন। তবে আমাদের সকলের চেষ্টা করা উচিত কারো ভালো পরামর্শ না দিতে পারলেও কাউকে খারাপ পরামর্শ না দেওয়া। পাশের মানুষটি যদি ভালো থাকে দেখবেন আপনিও ভালো থাকবেন। তাই আমরা চলার পথে জীবনকে সুন্দরভাবে বাঁচার জন্য মানুষকে সু পরামর্শ দিব এবং মানুষের পাশে থাকবো।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।