নাটক রিভিউ :- ভবঘুরে পর্ব -১৮।

আসলামু আলাইকুম,আমার স্টিম বন্ধুগন। আশা করি আল্লাহুর রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। আমি @tuhin002। আজকে আমি নতুন করে খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করার ইচ্ছা পোষণ করেছি। আর তাই আজকে আমি যে নাটকটি শেয়ার করতে যাচ্ছি, সেই নাটকের নাম "ভবঘুরে" , পর্ব- ১৮"। আমি বরাবরই পুরনো নাটক গুলো দেখতে ভীষণ ভালোবাসি। এই নাটক গুলোর মধ্যে শিক্ষনীয় বিষয় গুলো বেশি থাকে। এই নাটকটির প্রথম পর্ব নিচে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো ....

নিজের ছোট বোনের সম্পর্কের কথাটা বেশ আগে থেকেই জিনিস দিয়েছিল বড় বোন। ছোট বোনের অনেক সমস্যা হয়তোবা বাঁচার আশা খুবই কম এরপরও যে ছেলেটা তাকে ভালোবাসে এই বিষয়টা তার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। তারপরও নিজের বোনের এই অবস্থা দেখে অন্য একটা ছেলেকে এভাবে ঠকাবে এমন মানুষের কথা বড় বোনের নেই তাই তার কাছে গিয়েছেলে মনে সম্পর্কে কথা বলছিল। সে তাকে বোঝাতে চেষ্টা করেছিল যে সে তো বেশিদিন বাঁচবে না কেন তুমি তার সাথে এভাবে আসো। তখন লোকটি বলেছিল আমি কখনো উপরওয়ালার কাছে কিছু চাইনি হয়তোবা তার কাছে আমি এবার কিছু চাইবো এবং সেটা তার জন্যই চাইবো। এভাবে তার মধ্যে কিছু কথাবার্তা হয় এবং সেখান থেকে তার বড় বোন চলে আসে।

ঢাকা থেকে যে দুইজন নায়িকা এসেছিল তাদের কন্টাক ছিল কিছু টাকা দেয়ার কথা কিন্তু সেই টাকা এখন পরিচালক দিতে চাচ্ছে না আর এই কারণেই তারা দুইজন তার কাছে এসে বলছে আপনি আমাদের পাওনাটা মিটিয়ে দেন আমরা চলে যাই। কিন্তু পরিচালক তো সেটা দিতে নারাজ নানান ধরনের ফসিলত গাইছে সে কোন ভাবে তাদের টাকাটা দিতে চাইছে না। আর এটার জন্য তাদের মধ্যে বেশকিছু বাঘ বিতর্ক শুরু হয়। অবশেষে তাদেরকে বুঝিয়ে সুজে সেখান থেকে চলে যেতে বলে। যদিও তারা নারাজ কোনভাবেই তারা কথা বুঝতে চাইছে না। তারা তাদের পাওনাটা নিয়ে যেতে চাই।

মায়ের কাছে এসে আবদার জান আছে সে নায়িকা হবে পরিচালকের সাথে তার কথাবার্তা শেষ। পরিচালক তাকে আশ্বাস দিয়েছে এই নাটকের বা এই সিনেমা তাকে নায়িকা বানাবে। এই কথা শুনে মা তো বেজায় রাগ করেছে মা বলেছে তোমার নায়িকা হতে হবে না। এই কথা শুনে তখন নাদিয়া বলতেছে আমার কোন স্বপ্নের পূরণ হলো না সব স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল। তার মা তাকে পরিষ্কারভাবে বলে দেয় যে না এসব কখনো চলবে না তুমি গ্রামের মেয়ে গ্রামের মতোই থাকো।

আখম হাসান রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল এমন সময় তার প্রেমিকাকে দেখে রাস্তা আটকে দাঁড়ায়। তখন তার প্রেমিকা বলে আর কতদিন আটকাবে এই তো কিছুদিন আগে একটা ছেলে পক্ষ আমাকে দেখতে এসেছিল। ছেলে পক্ষ আমাকে পছন্দ করেছে এখন আমার বাবা সেখানে গিয়ে সবকিছু ঠিক থাকলেই বিয়ে হয়ে যাবে আগামী মাসে। ছেলে ব্যবসা করে ঢাকাতে বড় বাড়ি রয়েছে সবকিছু মিলে আমারও বেশ ভালো লেগেছে তাই আমিও চাই। তোমার এতদিন বলে তো তুমি কোন কিছুই করলে না এখন তুমি হাত পা নিয়ে এই রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকো আর চিন্তা ভাবনা কর। তার কথার প্রেক্ষাপটে সে কোন কিছুই বলে না শুধু তার দিকে চেয়ে থাকে আর মিটমিট করে হাসে আর কি যেন মনে মনে ভাবে। তার দিকে এমন ভাবে তাকাচ্ছিল মনে হচ্ছিল যে সেটা কোন বিষয় মনে করল না।

এদিকে মালি এসেছে তার স্যারদের এবং খাওয়ার জন্য ডাকতে। এখানে এসে সে ফিংগারকে বলে আমার চাকরিটা হয়তো এবার আর থাকবে না তখন সে বলে সমস্যা কি তুমি আমার সাথে থাকবে তুমি গান ভালো করো তোমার একটা ক্যাসেট বের হলেই তুমি ভাইরাল হয়ে যাবে তখন সে বলে স্যার আমি গরিব মানুষ কিন্তু আমার এত লোভ নেই আমি যেভাবে আছে সেভাবেই ভালো আমি অত স্বপ্ন দেখতে চাই না। তারপরে তারা দুজন তাকে একটু বোঝায় তখন বলে আচ্ছা স্যার ঠিক আছে যদি কখনো সুযোগ আসে তখন দেখা যাবে এখন আপনারা চলেন খাবার খাওয়ার সময় হয়েছে। এরপর তাদের মধ্যে কিছু কথাবার্তা হয় এবং নাটকটা এখানেই শেষ হয়ে যায় পরবর্তী পর্বে আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হব।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।