আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। বর্তমান সময়ে যে আবহাওয়া চলছে তাতে মানুষের অসুখ হবে এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে বাচ্চাদের অসুস্থতা হবার প্রবণতা খুব বেশি এবং অসুস্থ হয়েছে অনেক। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন রকি ভাই কয়েক মাস আগে আমাদের এখানে এসেছিল এবং তার সাথে আমরা বড়া খাওয়ার জন্য একটা জায়গায় গিয়েছিলাম। সেখানে যে পিয়াজু তৈরি হয় সেই পেঁয়াজু টা আমাদের এলাকার আমাদের অঞ্চলের বিখ্যাত। সেখানে আমি মুস্তাফিজুর কিবরিয়া এবং রকি ভাই এবং তার মেয়ে সেখানে গিয়েছেন এবং বেশ কিছু সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম সেটা আজ আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। যাইহোক কথা না বাড়িয়ে তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের ব্লগ ...।
আমরা সচরাচর একটা বিষয় সবাই জানি কোন না কোন অঞ্চল কোন না কোন জিনিসের জন্য বিখ্যাত থাকে। যদিও আমি যেটা বলেছিলাম এটা আমাদের বাংলাদেশের সর্ব অত্র জন্য তার। কিন্তু আমি আজকে আপনাদের সামনে যে পেঁয়াজুর কথা নিয়ে এসেছি এটা শুধু আমাদের অঞ্চলের বিখ্যাত। যদিও এর আগে আমার যাওয়া হয়নি রকি ভাই আসছিলা যে কারণে আমাদের সেখানে আরো যারা আগ্রহটা বেশি ছিল শুধু তাকেই এই সুন্দর পেঁয়াজু টা খাওয়ানোর জন্য। যখন আমরা বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম তখন মজার ব্যাপার হলো ভাইয়ের মেয়েটা খুব কাজ ছিল আমাদের সাথে যাওয়ার জন্য। আর একটা বিষয় না বললেই নয় ভাইয়ের মেয়েটাকে সাথে এতটাই ভাব হয়েছিল কিবরা যেখানে যায় সেখানে মেয়েটা যায়। যাহোক আমরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলাম সেখান থেকে আমাদের পেঁয়াজ অর্থাৎ যেখানে পেঁয়াজু টা তৈরি হয় সেখানে যেতে প্রায় পচিশ মিনিট সময় লাগছিল। আমরা যখন সেখানে পৌছালাম তখন আমরা শুনছি সেখানে তেমন আছে ভিড় নেই। আসলে আমরা বেশটুকু অগ্রিম গিয়েছিলাম তা না হলে সেখানে অনেক ভিড় হয় এবং এটা বেশ কঠিন হয়ে যায়। আমরা পুয়াজু জন্য বসে ছিলাম এবং কিবরিয়াকে পাঠিয়েছিলাম সেখান থেকে নিয়ে আসার জন্য। আসলে পেয়াজু খাওয়ার জন্য সেখানে তারা বেশ সুন্দর বলতে জায়গা করেছিল কয়েকটা চেয়ার ছিল সেখানেই বসেছিলাম ।
আমরা সেখানে নামার পরে যে লোকটি পেঁয়াজু তৈরি করে আমরা তাদের পাশে একটু দিলাম এবং একটু দেখলাম আসলে সে কিভাবে তৈরি করে। আসলে পেয়াজ হলে পেয়াজ দিয়ে তৈরি তারা দেখলাম আমি লক্ষ্য করলাম সেই জিনিসটাই তারা করছে পুরোপুরি পিয়াজু দিয়ে তৈরি করছে এই পিয়াজু। তবে বলতে পারেন একটা জিনিস কিন্তু তারা ব্যতিক্রম সেটা হলো এই পেঁয়াজ এর মধ্যে তারা কিছু খাবার সোডা দিচ্ছে যেটা পেঁয়াজুকে বেশি মচমচে এবং বেশি ফুলতে সাহায্য করবে। একটু পেয়ে আসো তারপরও ভাজার মধ্যে কিছু গুণ থাকে যে বিষয়টি তার মধ্যে ছিল তা না হলে এত সুন্দর পেঁয়াজ ও তৈরি করাটা বেশ কঠিন। এখানে প্রতিদিন পেঁয়াজু খাওয়ার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে এবং প্রচুর পরিমাণে ভিড় জমায়। আসলে জিনিস যদি ভালো হয় তাহলে সবারই হয়ে থাকে এবং বিক্রয়ই অনেক বেশি হয়ে থাকে। ব্যবসা হলো হালাল সেই ব্যবসাটি যদি মানুষ ঠিকভাবে করতে পারে এখান থেকে জীবনে অনেক কিছু করতে পারে সে। আর এখানে সে যে ব্যবসাটি শুরু করেছে সেটা শুধু তার জন্য নয় পরবর্তীতে তার প্রজন্ম যদি মনে করে তার পিতার এই ব্যবসাটা ধরে রাখবে তাহলে সে কিন্তু অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারবে।
আমি দাঁড়িয়েছিলাম এবং তার এগুলো ভাষা দেখছিলাম আসলে পেঁয়াজের পাশাপাশি তিনি সিঙ্গারা বিক্রি করেন সিঙ্গারা গুলো খেতেও বেশ কিন্তু দারুণ। যদিও আমরা পেয়াজু খাওয়ার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম তাই আমরা সিঙ্গারা নিয়েছিলাম না। কারণ প্রায় পনের বিশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। তবে একটা বিষয় না বললেই নয় যে ব্যক্তি একশত গ্রাম পেঁয়াজু খেতে পারে সে অবশ্যই দুইশো গ্রাম বেয়াজু খেয়ে খাবে এখানে। পেঁয়াজগুলো এতটাই মচমচে এবং এতটাই সুস্বাদ না খেলে কাউকে এই সাধের কথা বলে বোঝাতে পারবো না। আর এই পিয়াজ ও ভাজার পরে পেঁয়াজের কালার টা দেখতেছেন কেমন গর্জিয়াস লাগছে সেই স্বাদ। সত্যি বলতে এই প্রিয়া যদি একবার খাবে সে বারবার সেখানে যাবে যদি সময় নাও থাকে তাও সে চেষ্টা করবে সময় বের করে এই পেঁয়াজ খাওয়ার জন্য। যারা আমার এই কথাগুলো পড়ছেন যদি আশপাশের কেউ হয় তারা অবশ্যই সেখানে একবার খায় খাওয়ার জন্য যাবেন। তবে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের আর একটা সংবাদ দেই আমাদের চুয়াডাঙ্গার জেলায় আর একটা জায়গা আছে সেখানে নাম আছে সরোজগঞ্জ ওই জায়গাটায় এক চার কেজি ওজনে পেঁয়াজু তৈরি করে সেই পেঁয়াজুটা নাকি খেতে আরো সুস্বাদু যদিও এটা আমার জানার বাইরে তারপরও আপনাদেরকে একটু জানিয়ে রাখলাম কারণ এটা তো আমি কখনো খাই নাই। তো যাই হোক আমি আজকে যে পেঁয়াজুটা খেয়েছি সে পেঁয়াজের সম্পর্কে আপনাদের মাঝে কিছু তুলে ধরলাম।
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | https://w3w.co/register.learn.lessening |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit