কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।
আমি আজ থেকে একটা গল্প লেখা শুরু করলাম। গল্পের নাম দিয়েছি , আর যাবো না মামা বাড়ি
আশা করি এই গল্পের প্রতিটি পার্ট আপনাদের ভালো লাগবে ।
তো চলুন শুরু করা যাক আজকের পর্ব:-
(শেষ পর্ব )
উত্তমের মন ভেঙে গেল। সে বাণীকে ছেড়ে যেতে চাইছিল না। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে তাকে ঢাকায় ফিরে যেতে হলো। বিদায়ের দিন বাণী তার চোখের জল লুকিয়ে বলল, তুমি ভালো থেকো। আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করব।
উত্তমও চোখের জল সামলাতে পারল না। সে বলল, আমি ফিরে আসব। তোমার জন্য অপেক্ষা করব।
ঢাকায় ফিরে এসে উত্তম নতুন জীবনে অভ্যস্ত হতে লাগল। কিন্তু তার মনের সবসময়ই বাণীর কথা থাকত। সে প্রতিদিনই বাণীকে ফোন দিতো। বাণীও তাকে কল দিতো, রাত জেগে তাদের মনের কথা শেয়ার করত।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে দূরত্বের ফারাক তাদের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়াল। উত্তমের পড়াশোনা এবং কাজের চাপ বাড়তে থাকল। বাণীও তার নিজস্ব জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। তাদের যোগাযোগ ধীরে ধীরে কমতে থাকল। বাড়তে লাগলো মনের দুরত্ব।
একদিন উত্তম শুনল, বাণীর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। তার মন ভেঙে গেল। সে ভাবল,আমি কি আমার প্রতিজ্ঞা রাখতে পারিনি?
উত্তম ছুটে গেলো মামা বাড়ি । বাণী কে নিয়ে গেলো সেই নদীর ধারে , সন্ধায় হালকা বাতাসে , কেউ কারো দিকে না তাকিয়ে নদীর দিকে তাকিয়ে থাকলো।
কেউ কোনো কথা বলছে না। মনে হচ্ছে দুজনই বোবা হয়ে গেছে।
এমন সময় উত্তম বলে উঠলো বাণী তুমি অনেক সুখী হবে। আমাকে নিয়ে কোনো চিন্তা করবে না। বাণী শুধু নীরবে শুধু চোখের জল ফেলছে।
হঠাৎ মুখ খুলে বললো, ভাগ্য আমাদের সহায় ছিল না। তুমি ভালো থেকো উত্তম।
আমি জানি তুমি সুখী হবে।
উত্তম কাঠ কন্ঠে বলে উঠলো । আমি তোমার জন্য সবসময় ভালো চেয়েছি।
তুমি ও ভালো থেকো
এই বলে দুজন দুই দিকে চলে গেলো।
উত্তম মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলো আর যাবো মামা বাড়ি।
ধন্যবাদ সবাই কে। গল্প টি পড়ার জন্য। সবাই আমকে কমেন্ট করে জানাবেন, গল্প টি কেমন ছিল।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি পরে আসবো কোনো দিন। অন্য কোনো নতুন গল্প নিয়ে।