একসময় তার অফিসের কিছু লোকজন তার বিরুদ্ধে কথা বলার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু রফিক সাহেব উপরে লেভেলের বসদের সহায়তায় তাদের চাকরি ক্ষেত্রে নানা রকম সমস্যা তৈরি করে। কাউকে ছোট্ট ভুলের কারণে সাসপেন্ড করিয়ে দিয়েছেন, আবার কাউকে অনেক দূরে কোথাও বদলি করিয়ে দিয়েছেন। এই সমস্ত কারণে অফিসের সবাই রফিক সাহেবকে দারুন ভয় পেতো। এমনকি তার সিনিয়র কিছু কর্মকর্তাও তাকে রীতিমতো তোষামোদ করে চলতো। তবে তাদের সবার মনের ভেতরে রফিক সাহেবের জন্য ছিলো চরম ঘৃণা।
রফিক সাহেবের জীবনটা খুব ভালোই চলছিলো। তার পরিবারে স্ত্রী শামিমা এবং ছেলে ফারহান। ছেলেকে তিনি বিদেশে পড়াতে চান। তার জন্য প্রয়োজন প্রচুর টাকা। তাছাড়া তিনি যেভাবে জীবন যাপন করেন সেই জীবনের জন্য তার প্রচুর টাকার প্রয়োজন। এই কারণেই তিনি দিনে দিনে আরও বেশি লোভী হয়ে উঠছিলেন। যেই কাজই তার হাতে আসে সেটাতেই তিনি ঘুষ নেন। কাউকে অবৈধ সুবিধা পাইয়ে দেন, আবার কারও ফাইল আটকে রেখে টাকা কামান। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আপনার গল্প থেকে স্পষ্ট যে সাধ্য না থাকা শর্তেও উচ্চ আকাঙ্খা মানুষ কে খারাপ পথে নিয়ে যায়।রফিক সাহেব অনেক পাপ কাজ করে ফেলেছে। উচ্চভিলাষী জিবন যাপন ও ছেলেকে বিদেশে ছেকেকে লেখা পড়া করানোর ইচ্ছে থেকে তিনি লোভী হয়ে উঠেছিলেন এবং টাকার জন্য অবৈধ সুবিধা করে দিয়ে টাকা ইনকাম করতেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষা করছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিভিন্ন সরকারি অফিস গুলোতে রফিক সাহেবের মতো এমন লোভী লোকজন রয়েছে। যারা ঘুষ খাওয়ার কোনো সুযোগ মিস করে না। এই ধরনের লোকজন মানুষকে ঠকিয়ে টাকা ইনকাম করে ঠিকই, কিন্তু মানুষের অভিশাপে পরবর্তীতে ঠিকই ধ্বংস হয়ে যায়। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit