দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা। পর্ব: ০৮

in hive-129948 •  17 days ago 

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


image.png



লিংক


আসলে আজকে আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে দৈনন্দিন জীবনের কিছু ঘটনা নিয়ে। আসলে দৈনন্দিন জীবনের এমন কিছু ঘটনা যা আমাদের জীবনে অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। যদিও জিনিসটা কখনো ভুলা যায় না। আসলে আমার বাড়ির পাশে একজন ভিক্ষুক থাকে। অর্থাৎ উনি ভিক্ষুক হবার সত্ত্বেও উনার কিন্তু বাড়ি রয়েছে। যাইহোক আমি শুধুমাত্র জানি যে উনি ভিক্ষা করে ওনার সংসার চালনা করেন। আসলে উনার সাথে তেমন একটা বেশি কথা হয় না। যদিও রাস্তায় দুই একবার দেখা হয় তখন দূর থেকে বলি কাকু কেমন আছেন। আসলে এইটুকুই উনার সাথে কথা হয় আমার। আরেকটা জিনিস আমি কখনো জানি না যে উনি কখন ভিক্ষা করতে বের হন এবং কখন বাড়ি আসেন। আসলে অনেকের মুখে শুনেছি যে উনি মাঝ রাত্রে বেরিয়ে যান উনার স্ত্রীর হাত ধরে। আসলে আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছি যে লোকটি কিন্তু অন্ধ।


আর এজন্য ওনার স্ত্রী সবসময় উনার সাথে থাকেন। আসলে উনি একা একা কোথাও যেতে পারেন না। যাইহোক উনার সাথে সাথে ওনার স্ত্রীও ভিক্ষা করতে বের হয়। আসলে ওই ভিক্ষুক কাকুর একজন সন্তান রয়েছে যে কিনা তার মা-বাবাকে মোটেও দেখাশোনা করে না। অর্থাৎ সেই ছেলেটি বিয়ে করার পর তার মা বাবাকে আলাদা করে দিয়ে তারা নিজেরা আলাদা ভাবে সংসার পরিচালনা করে। আর এই জন্য ওই লোকটি ভিক্ষা করে তাদের সংসার পরিচালনা করে। যাইহোক কিছুদিন আগে আমি রাত্রে ঘুমিয়ে ছিলাম। যেহেতু রাতে অনেক বেশি গরম পড়ছে তাই যখন কারেন্ট চলে যায় তখন আর ঘুম আসে না। এছাড়াও আমাদের বাড়িতে মাঝে মাঝে ভোল্টেজ উঠানামা করে। আর সেদিন রাতে হঠাৎ করে কারেন্ট চলে যায় এবং প্রায় ১৫ মিনিট পরও দেখিতে আর কারেন্ট আসছে না।



যেহেতু কারেন্ট আসছে না তাই আমি বাইরে দিয়ে একটু হাঁটাচলা করছিলাম। কিন্তু বাইরে এসে দেখি যে অন্য জায়গায় কারেন্ট আছে শুধুমাত্র আমাদের এখানে কারেন্ট নেই। আসলে ব্যাপারটা আমি বোঝার জন্য প্রথমে মিটারের কাছে গেলাম। আর মিটারের কাছে গিয়েই দেখি যে ফিউজ কেটে গেছে। যাইহোক ফিউজ ঠিক করার জন্য আমি যন্ত্রপাতি নিয়ে ফিউজটি ঠিক করে নিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে আমি কিছুর একটা আওয়াজ শুনে একটু ভয় পেয়ে গেলাম। আসলে কোন কিছু বুঝে উঠতে না পেরে আমি গেট দিয়ে বাইরের দিকে তাকালাম। দেখলাম যে ওই রাত তিনটের সময় ওই কাকু এবং কাকিমা দুজন মিলে ভিক্ষা করতে যাচ্ছেন। আসলে এই জীবনে সর্বপ্রথম উনাদের ভিক্ষা করতে যেতে দেখলাম। কেননা এর আগে আমি যেহেতু শুনেছি যে ওনারা ভিক্ষা করেন এবং খুব ভোরে উনারা ভিক্ষা করতে চলে যান।


যাইহোক প্রথম অবস্থাতে আমি একটু বেশি ভয় পেয়ে গেলাম। যখন বুঝলাম যে ব্যাপারটা তখন ভয়টা কেটে গেল। আসলে মানুষ এত কষ্ট করে তা দেখলে সবার খুব খারাপ লাগে। যেহেতু ওই কাকুর ছেলেটি বাইরে কাজ করে এবং তার মা-বাবাকে কোন টাকা পয়সা দেয় না। আসলে এরকম সন্তান থাকার চেয়ে না থাকা অনেক বেশি ভালো। আসলে ওই কাকু কাকিমা এত বেশি কষ্ট করে যে তা যে কারো দেখলেই কষ্ট লাগে। আসলে ওনরা এত সকালে উঠে ভিক্ষা করতে বের হয় এবং দুপুরে বাড়িতে এসে সেই ভিক্ষার টাকা দিয়ে বাজার করতে যায় এবং বাজার থেকে শাকসবজি কিনে এনে উনারা রান্না করে খান। আসলে উনাদের কষ্টের জীবন যাপন দেখলে আমারও খুব কষ্ট হয়। যাইহোক আমরা সব সময় চেষ্টা করব যে আমরা আমাদের মা-বাবাকে দেখাশোনা করার জন্য এবং তাদের সবসময় ভালোবাসবো।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

"আশাকরি এটা ভালো লেগেছে! 💡👍
যাহলে, পোস্টের শুরুতে উনারা কখনও কথা না বলে ভিক্ষা করে এবং দুপুরে সেই টাকায় মাছ-শাকসবজি খেতে চলে। আসলে ভিক্ষা করার পরিস্থিতি ওনাদের মতো অন্যকেও ঘটবে এই শুধু? 🙄
আসলে উনারা সাফ-শুদ্ধভাবে না, কিন্তু অন্যদের থেকে অনেক ছোট এমনটি। আসলে উনারা প্রাকৃতিক ভূমি, গরু-ছাগল, বাদুড়, হাওয়াই - এসব জিনিসে খাচ্ছে। কিন্তু অন্যরা মাছ-শাকসবজি-রাইটা পরিহার করছে! 🐴👀
আসলে উনাদের ভুয়া খ্রিষ্টান ধর্ম-বিশ্বাস থাকতেই হবে।