এইতো বর্তমানে নভেম্বর মাস চলছে এই মাস থেকেই সাধারণত আমাদের দেশে এবং পার্শ্ববর্তী দেশ গুলোতে ঠান্ডা পড়া শুরু হয়েছে। তবে যারা শহরে বসবাস করে তারা বা খুব বেশি একটা শীতের অনুভব করছে না। কিন্তু বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই শীত পরা শুরু হয়েছে। শীতের আমেজ দেখা যাচ্ছে। সেই শীত কাল আসলেই কেন জানি মনটা অন্যরকম হয়ে যায়। এই শীতকালের সাথে জড়িত রয়েছে শৈশবের নানান স্মৃতি, নানান গল্প এবং নানান মধুরময় সম্পর্ক।
শৈশবের সমস্ত স্মৃতিগুলো অনেক মধুর হয়ে থাকে। বর্তমানে আমরা সেটা অনুধাবন করতে পারি। তবে শীতকাল আমার জন্য অনেক কিছু স্পেশাল ছিল। কারণ শীতকালে এমন কিছু যেসব অন্য কোন কালে পাওয়া যায় না। যখন ছোট ছিলাম তখন শীতকালেও কিন্তু ভোর বেলায় মাদ্রাসায় যেতে হতো। ফজরের নামাজ পড়ে মাদ্রাসায় যেতে হতো এবং মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় বাসা থেকে ৫ টাকা দিতো ভাপা পিঠা খাওয়ার জন্য। শৈশবের সেই পাঁচ টাকা এখন ৫ কোটি টাকার চেয়েও বেশি মূল্যবান বলে মনে হয়।
মাদ্রাসা শেষ করে যখন বাসায় আসতাম তখন বাসায় দেখতাম মা বিভিন্ন ধরনের শীতের পিঠা তৈরি করছেন এবং আমাদের জন্য রেডি করে রাখছেন। পরবর্তীতে সেই পিঠা খেয়ে স্কুলের জন্য রেডি হতাম। স্কুলে তখন ব্যাপক মজামাস্তি করা হতো। শীতকালে সবাই বড় বড় জ্যাকেট এবং সুয়েটার পরে স্কুলে যেতে কারন উত্তরবঙ্গে মাত্রা অতিরিক্ত শীত পরে। এছাড়াও শীতকাল আসার পর পর এই আমাদের খেলার মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যেত। যেখানে আমরা আগে সারাদিন ক্রিকেট ফুটবল নিয়ে খেলতাম। তখন বিভিন্ন সময় ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু করতাম।
এই ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য বাসা থেকে যে কত বকুনি খেয়েছি তার হিসাব নেই।ডিসেম্বর মাসে যখন আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়ে যায় তখন আর কোন পড়াশোনা থাকে না। তখন সারাদিন শুধুমাত্র খেলাধুলা আর খেলাধুলা। এছারাও বন্ধু বান্ধবের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া, পরিবারের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া এগুলো ছিল তখনকার দৈনন্দিন রুটিন। এছাড়াও আমার ব্যক্তিগত জীবনে ও শীতকাল সম্পর্কিত এমন কিছু স্মৃতি রয়েছে যেগুলো হয়তো আমি সারা জীবন কখনোই ভুলতে পারবো না।
শীতকালের সবথেকে মজাদার বিষয় কি জানেন! কাথা কম্বল গায়ে দিয়ে একটি আরামের ঘুম দেওয়া যায়। যেটা বর্তমানে আমাদের এই গ্রীস্মপ্রধান দেশের জন্য কল্পনা কর হয়ে গেছে। সত্যি বলতে শৈশবের সেই দিনগুলো অনেক বেশি মিস করি। যেখানে কোন দুনিয়াবি চিন্তা ভাবনা ছিলো না, না ছিলো কোন টেনশন। যাইহোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
শীতকাল নিয়ে অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন। শীতের সময় আপনারা ব্যাডমিন্টন খেলতেন আর আমরা বান্ধবীরা মিলে ছোটখাটো পিকনিক তৈরি করতাম। তবে এটা সত্য বলেছেন কাথা কম্বলের মধ্যে নিরবে ঘুম দেয়ার মধ্যে অন্যরকম আনন্দ আর শান্তি রয়েছে। অতিরিক্ত ঠান্ডা হলে তো মনে বলে না কম্বলের মধ্যে থেকে বের হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit