আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা চার ভাই বোন। আর তার মধ্যে আমার একটা খুব ছোট্ট বোন রয়েছে। যার সাথে আমার বয়সের তফাৎটা অনেক বেশি। কিন্তু সত্যি কথা বলতে মাঝেমধ্যে সে যেনো পুরো মায়ের মতোই আমার যত্ন নেয়। অর্থাৎ আমি আমার কয়েকটা বিচ্ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনা বললে। আপনারা সেটা আরো ভালোভাবে ফিল করতে পারবেন,
কয়েকদিন আগে আমি কিছু কাজ করাতে আমার হাতে অসম্ভব রকমের ব্যথা হয়ে গিয়েছিলো এবং সে সেটা দেখাতে সাথে সাথেই আম্মুর কাছ থেকে ওষুধের বক্স এনে আমার সামনে রাখলো এবং প্রথমে জিজ্ঞেস করল যে, কোন ওষুধটা আমি খাবো।এরপরে আমি ওই ওষুধটা ওর হাতে দেওয়াতে ও ওষুধটা খুলে নিজে নিজেই জগ থেকে পানি এনে আমাকে ওষুধটা খাইয়ে দিলো। আমি কিন্তু প্রথমেই বললাম যে, তার বয়সটা অনেক কম। আর কম মানে তার বয়স মাত্র ৫ বছর। তাহলে চিন্তা করুন, সে আসলে কার ভূমিকা পালন করলো!এতো ছোট্ট একটা বয়সে যে এসব করা যায়, এটা কি ভাবা যায়!
আবার অন্য একটা ঘটনা বলি। তাহলে আপনারা আরও ব্যাপারটি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। যেমন : আমি যখনই ইউনিভার্সিটি থেকে আসি না কেনো। সাথে সাথেই সে মাকে কিংবা ছোট ভাইদের তাগাদা দিতে থাকে, আমাকে যেনো ঠান্ডা পানি দেয়। এবং সে এতোটাই বিরক্ত করা শুরু করে তাদেরকে যে, আমাকে তাদের ঠান্ডা পানি দিতেই হয়।
এরকম ঘটনা আসলে হাজার হাজার রয়েছে। যে ঘটনাগুলো বলেও হয়তো আমি শেষ করতে পারবো না। তাই আমার কাছে মাঝেমধ্যে মনে হয়। বোন যতো ছোটই হোক না কেনো কিংবা বড়ই হোক না কেনো। বোন সব সময় মায়ের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। কারণ একটা বোন তার নিজের বোনের জন্য যতোটা এটাচমেন্ট ফিল করে। সেটা আর কেউ কখনোই করতে পারবেনা। তাই আমার কাছে মনে হয় কোনো মানুষের বোন থাকা মানে তার জন্য সৃষ্টিকর্তা থেকে দেওয়া আলাদা রকমের আশীর্বাদ রয়েছে।আর সেটা যে কতো বড় আশীর্বাদ। সেটা হয়তো অনেকে অনুভব ও করতে পারে না!