আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে আমি বলা চলে একটি সাবধানতা মূলক পোস্ট নিয়েই আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। কারণ আজকে ফেসবুকে স্ক্রল করতে করতে একটা লেখা আমার সামনে আসলো। তখন আমার মনে হলো যে, সেই লেখাটি সম্পর্কে আমার নিজের মতামত ও ব্যক্ত করা উচিত। কারণ আমি যেহেতু একটি প্লাটফর্মে দৈনন্দিন লেখালেখি করি। তাই আমি যদি আমার মতামত গুলো এ বিষয়ে তুলে ধরি। তাহলে হয়তো অনেকেই বিষয়টিতে সতর্ক হবে। যাই হোক, এখন মূল ঘটনায় আছি,
একটা পরিবারের বাবা-মা দুজনই বাইরে চাকরি করেন। অর্থাৎ বাবা-মা দুইজনেই চাকরিজীবী। সে কারণে তাদের এক ছোট বাচ্চা সন্তানটিকে তারা রেখে যান সারাক্ষণ বুয়ার কাছে। এবং ওই বুয়া টির জন্য কোনো কিছুর কমতি রাখেননি। অর্থাৎ সারাক্ষণ বাসায় এসি চলে, খাওয়া-দাওয়ার কোনো কমতি নেই। অর্থাৎ বলতে গেলে কোথাও কোনো কমতি তারা রাখে না। যাতে করে ওই বুয়াটি তার বাচ্চার যত্নে ও কোনো কমতি না রাখে।
বাচ্চাটি সেই প্রথম থেকেই বারবার বলতো প্রতিদিন যেনো তার মা না যায় কাজে। তার মা যেনো থাকে। কিন্তু বাবা-মা ওই বাচ্চার জন্য নিজের লাইফ সেক্রিফাইস করতে রাজি হননি এবং এখন সে বাচ্চাটি নিজে নিজেই হাসে, নিজে নিজেই কান্না করে, নিজে নিজেই কথা বলে। অর্থাৎ সে অন্যদের কারো সাথে কথা বলতে পছন্দ করে না। সে শুধুমাত্র নিজের সাথেই কথা বলে।
আপনারা বলুন তো, আসলে কি হয়েছে? আসলে বাচ্চাটি ধীরে ধীরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীতে পরিণত হয়েছে। কারণ একটা ছোট বাচ্চা যখন ছোটবেলা থেকে প্রতিটা সময় একা একা থাকতে শুরু করেছে। তখন থেকেই তার ব্রেনের মধ্যে একটা আলাদা রকমের প্রেসার পরতে শুরু হয়েছে।
তাই আজকে আমি আপনাদেরকে এটাই সাবধান করতে এসেছি যে, আর যাই হোক না কেনো।বাচ্চাকে কখনোই বুয়ার সাথে রেখে যাবেন না। চাকরি ছাড়তে হবে এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু চাকরির পাশাপাশি এমন একটা ব্যবস্থা করবেন। যাতে আপনার বাচ্চার যত্ন আত্তি কোনো কমতি না হয়। কারণ আপনি একটু ভেবে দেখুন। আপনি কিন্তু চাকরিটা করছেন আপনার বাচ্চার ভবিষ্যৎ যেনো ভালো হয় সে কারণে। কিন্তু বাচ্চার ভবিষ্যৎ ভাবতে গিয়ে যদি বাচ্চাটার জীবনটাই নষ্ট করে ফেলেন। তাহলে কিন্তু আর কোনো কিছুই করার থাকবে না। তাই এই ব্যাপারটাতে অনেক বেশি সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে, চাকরিজীবী বাবা মায়েদের।