আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে প্রতিদিন অসংখ্য ভিডিও, অডিও গান যাই বলি না কেনো অনেক কিছুই দেখা যায়, জানা যায়, শোনা যায় এবং অনেক অজানা তথ্য জানা যায়। তো প্রতিদিনকার মতোন নিজের অবসর সময়ে একটু ফেসবুকিং করছিলাম। অর্থাৎ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের খোঁজখবর গুলো দেখার জন্যই মূলত ফেসবুকে ঢোকা। তো হঠাৎ করেই একটা ভিডিওতে আমার চোখ আটকে যায় এবং ভাবলাম যে ভিডিওটার কথা আপনাদের সাথেও একটু শেয়ার করি।
ভিডিওটি হলো মূলত, বন্যায় একটা মানুষ অনেক দ্রুত জলের সাথে ভেসে চলে যাচ্ছিলো এবং এতোটাই দ্রুত ভেসে যাচ্ছিলো যে পাশের কোনো মানুষ পর্যন্ত তাকে খেয়াল করেনি। কিন্তু একটি হাতি ওই মানুষটিকে দেখে খুব দ্রুত পায়ে ওই পানির মধ্যে হেঁটে গিয়ে ওই মানুষটিকে নিজের সুর দিয়ে বাঁচিয়ে আনে। ব্যাপারটি অসম্ভব আশ্চর্য রকম মনে হয়েছে আমার কাছে। কারণ আপনারাই দেখুন, ওই হাতিটিকে ওই মুহূর্তে কিন্তু কেউ শিখিয়ে দেয়নি ওই মানুষটিকে বাঁচানোর জন্য।
তাহলে কেনো ওই হাতিটি মানুষটিকে বাঁচালো?তার কারণ হলো, পশুর মধ্যেই এখন মনুষত্ববোধ দেখা দিয়েছে! আর আমাদের মানুষদের মধ্যেই জানোয়ারের মতো স্বভাব দেখা দিয়েছে! অর্থাৎ আমরা এখন মানুষের বিপদে আর এগিয়ে আসি না। কিন্তু ওই অবুঝ প্রাণের পর্যন্ত এতোটুকু বিবেক জাগ্রত হয়েছে যে, আর যাই হোক না কেনো ওই মানুষটিকে বিপদের হাত থেকে বাঁচানো উচিত।
ভিডিওটি দেখে কেমন যেনো মন খারাপ হয়ে উঠলো। মন খারাপ হওয়ার একটাই কারণ হলো, ওই হাতির জায়গায় কোনো মানুষ তাকে বাঁচায়নি। কারণ ওইখানে তো কোনো হাতি পানির ঢলে ভেসে যাচ্ছিলো না। ভেসে যাচ্ছিলো একজন মানুষ। তবে কি আমরা সত্যিই মনুষত্ববোধ হারিয়ে ফেললাম! আর আমাদের মনুষত্ববৌদি তবে কি প্রাণীদের কাছেই চলে গেলো? ওই বন্যপ্রাণীদের কাছে যাদেরকে আমরা নিজেরাই অসামাজিক হিসেবে দাবী করি কিংবা যাদেরকে আমরা সমাজে থাকতে দিতে চাই না, যাদের আমরা ভাবি যে তারা সমাজের সভ্য জগৎ এর জন্য ফিট নয়!কিন্তু অথচ আমাদের দেখুন!আমাদের মধ্যে কি আর আছে মনুষ্যত্ববোধ?