আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
মাঝেমধ্যে কিছু ভালোবাসা আমাদের সকলের জীবনের জন্য আইডল হয়ে যায়। ঠিক তেমনটাই আমার কাছেও ভালোবাসা ব্যাপারটা মনে আসতেই দুটো মানুষের কথা একেবারে জ্বলজ্বল করে ওঠে মনের মাঝে। তারা আর কেউই নয়, তারা হলো আমার নানা এবং নানি অর্থাৎ আমার মায়ের বাবা, মা। আমার নানা বর্তমানে বেঁচে নেই।মারা গিয়েছে যখন আমি খুব ছোট ছিলাম তখন। আসলে তাদের মধ্যকার ভালবাসাটা এখনো এতোটাই স্ট্রং যে, যে কারো মনে পরলেই চোখে পানি চলে আসতে বাধ্য।
আসলে একটা মানুষ একটা জীবনে অনেক অনেক সফলতা পেলেও। যে জিনিসটা খুব কম পায়। সেটা হচ্ছে মনের মানুষ কিংবা ভালোবাসার মানুষ। যেটা আমার নানি পেয়েছিলো।অর্থাৎ আজকালকার স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কগুলোতে যেভাবে একজন দাসত্ব করে এবং একজন মালিক হয়ে বসে থাকার মতোন ঘটনা ঘটে। আমার নানা-নানির সম্পর্কে আমি কখনোই সেটা দেখিনি।
আসলে কথায় আছে আগেকার সবকিছুই খুব খাঁটি ছিলো।আর আমার মতে তৎকালীন সবকিছুই শুধু খাঁটি ছিলো তা নয়। তৎকালীন ভালোবাসা গুলো এতোটাই পিউর ছিলো। যেটা আসলে আজকালকার জেনারেশন এর মধ্যে মোটেও দেখা যায় না।
আমার খুব ভালোভাবে মনে আছে যে, আমার নানা যখন বেঁচে ছিলেন। তখন আমার নানীর জন্য কখনো ছোট মাছ আনতেন না। কারণ আমার নানার মনে হতো যে ছোট মাছ আনলে উনার কাটতে কষ্ট হবে। কিন্তু আমার নানার সবচেয়ে প্রিয় মাছ ছিলো ছোট মাছ।
ঠিক তেমনটাই আমার নানা কখনোই দুপুর কিংবা রাতে ভাত খাওয়ার সময় একা ভাত খেতে বসতেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমার নানী ঘরের সব কাজ করে ফ্রি না হচ্ছে। অর্থাৎ যখন উনি ফ্রেশ হয়ে ফ্রী হয়ে ভাত খেতে বসতো। ঠিক তখনই নানা ভাত খেতে বসতো। আসলে তাদেরই ভালোবাসার ব্যাপার গুলো দেখতেই অবাক লাগে। কারণ আজকালকার যুগে এর কিঞ্চি পরিমাণও আমি দেখতে পাই না সম্পর্ক গুলোর মধ্যে। তাই মাঝে মধ্যে মনে হয় যে এই ভালোবাসার পরশ মণি যে পেয়েছে সে আসলেই অনেক বেশি সৌভাগ্যবান।