আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা আমাদের জীবনের খুব প্রয়োজনীয় কিংবা বিশ্বস্ত মানুষদের কথা যদি বলি। তাহলে সেখানে আসলে সবচেয়ে প্রথমেই আমরা বলি আমাদের বন্ধুদের কথা। কারণ আমাদের বন্ধুরাই আমাদের জীবনের বলা চলে সবচেয়ে আপন। কেউ কেও আমাদের বাবা মায়েদের পরে কিংবা মাঝেমধ্যে এমন অনেককেই দেখেছি, যারা বাবা মায়ের আগে বন্ধুদের অবস্থান নিশ্চিত করে, বন্ধুদের অবস্থান দেয়।
হয়তো শুনতে অনেক কঠিন মনে হচ্ছে ব্যাপারটি। কিন্তু এটা ঠিক ই তো মানে সত্যি কথা। একটা বয়সের পরে ছেলেমেয়েদের কাছে অর্থাৎ মাঝ বয়সী ছেলেমেয়েদের কাছে বন্ধু-বান্ধব পৃথিবীর সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মানুষ হয়ে ওঠে। হয়তো পরবর্তীতে সেটা ধীরে ধীরে কমে যায়। কিন্তু মাঝপথে এটাই হয়।
কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো, মানুষ সহজে চেনা যায় না। অর্থাৎ আমাদের বাবা-মায়েরা যেমন আমাদের জন্য চোখ বন্ধ করে চিন্তা করে কিংবা আমরা যেমন তাদের উপরে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারি। কখনোই কিন্তু বন্ধু-বান্ধবদের উপরে সেভাবে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা উচিত নয়। এটা আমি বলছি তার কারণ আমরা কখনোই মানুষের মন বুঝতে সক্ষম নই।
তাই একটা মানুষ কি ভাবছে, কিভাবে ভাবছে। এইগুলো আসলে আমরা কোনোভাবেই বিচার করতে পারি না। এ কারণেই কিন্তু বড় বড় মানুষেরা সব সময় বলে যে, মানুষ চেনা অনেক কঠিন এবং এটা আমরা কেউ বুঝতে পারি না, এটাই হলো মূল সমস্যা। পৃথিবীর সব প্রাণীকে বুঝা গেলেও পৃথিবীর সকল প্রাণীর মাইন্ড সেটআপ ধরা গেলেও। মানুষের মাইন্ড সেট আপকে, মনকে কিংবা তার সাইকোলজি কেমন ভাবে কাজ করছে এসব একটা মানুষের পক্ষে বুঝা একেবারেই ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাই আমি এটাই বলবো যে, কোনো মানুষকে বিশ্বাস করতে হলে বিশ্বাস করুন, তবে চোখ বন্ধ করে নয়।