অনাদরে বেড়ে ওঠার শিশু

in hive-129948 •  2 months ago 

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে অনাদরে বেড়ে ওঠার শিশু সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


image.png



লিংক

আসলে এই পৃথিবীতে সবাই সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মগ্রহণ করেনি। এই পৃথিবীতে বেশিরভাগ লোক গরিব পরিবারের জন্মগ্রহণ করেছে এবং তাদের পুরোটা সময় অনেক বেশি কষ্টের ভিতর দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে। আসলে এই পৃথিবীতে যারা ধনী পরিবারের জন্মগ্রহণ করে তাদের শৈশব কালটা অনেক বেশি ভালো যায় এবং তাদের পুরো সময়টা তারা আদরের মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। আসলে শুধুমাত্র গরিব পরিবারের সন্তানগুলো অনাদরে বেড়ে ওঠে আমাদের এই পৃথিবীতে। কেননা আমরা যখন বাইরে কাজে বের হই তখন রাস্তার দুপাশে যেসব বাচ্চাগুলোকে দেখতে পাই তারা কিভাবে ছেঁড়া জামা এবং ছেঁড়া প্যান্ট গায়ে দিয়ে রাস্তার দুপাশে ঘুরে বেড়ায়। আসলে তাদের ভালোবাসার মত মানুষ এই পৃথিবীতে আর নেই। শুধুমাত্র তারা অবহেলার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে আমাদের এই সমাজের মাঝে।

আসলে আমাদের সমাজে যেসব পরিবারগুলো বসবাস করে সেসব পরিবারগুলোর যে সন্তানগুলো রয়েছে তাদেরকে এই রাস্তার পাশের সন্তানদের সাথে মেলামেশা করতে দেওয়া হয় না। কেননা তারা মনে করে যে রাস্তার পাশের বাচ্চারা কখনো ভালো হয় না এবং তারা বিভিন্ন ধরনের খারাপ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকে। আসলে আমার কাছে মনে হয় যে এই পৃথিবীতে যেসব শিশুরা জন্মগ্রহণ করেছে তারা কিন্তু জন্মের পর থেকেই খারাপ কর্মকাণ্ড কখনো শেখেনি। আসলে সমাজের এই তাচ্ছিল্যতাএবং কিছু কিছু খারাপ মানুষের পাল্লায় পড়ে এসব বাচ্চারা আস্তে আস্তে খারাপ কর্মকাণ্ড দিকে চলে যায়। আসলে তাদেরকে দেখলে আমরা পাশ কাটিয়ে চলে যাই এবং তাদের কোনরূপ সাহায্য করার জন্য আমরা কেউ কখনো এগিয়ে আসি না।

আসলে আমরা যে বাচ্চাগুলোকে সবসময় ঘৃণা করি এবং সমাজের কোন সুযোগ-সুবিধা থেকে তাদের সব সময় বঞ্চিত করি আসলে সেই বাচ্চাগুলো যখন বড় হয় তখন তারা কিন্তু কোন ভালো খারাপ এর পার্থক্য বোঝেনা। কেননা তাদের শৈশবকালে বোঝানোর মত এই পৃথিবীতে কেউ ছিলনা এবং তারা অনাদরে এই পৃথিবীতে বেড়ে উঠেছে। আসলে এই পৃথিবীতে জন্মের পর থেকে তারা ঘাত প্রতিঘাত খেতে খেতে বড় হয়েছে এবং মানুষের এই খারাপ প্রভাবগুলো তাদের জীবনে অনেক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। আসলে তারা জন্মের পর থেকে কখনো খারাপ হতে চাইনি। বরং সমস্ত লোক খারাপ বানিয়েছে এবং খারাপ দিকে যাওয়ার জন্য প্রেরণা জুগিয়েছে। আর এসব সন্তানগুলো যখন বড় হয় তখন তারা বিভিন্ন ধরনের খারাপ কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ে।

আসলে আমাদের এই পৃথিবীতে অন্যান্য বাচ্চাদের মতো এই বাচ্চাগুলো জীবনে ভালো মানুষ হয়ে বড় হওয়ার অধিকার আছে এবং তারা সমাজ থেকে ভালোবাসা পাওয়ারও কিন্তু অনেক বেশি অধিকার রয়েছে। শুধুমাত্র তাদেরকে ঘৃণা করে তাদেরকে দূরে ঠেলে দিলেই কিন্তু হবে না। তাদেরকে যদি আমরা ভালোবাসি এবং ভালোবেসে কোন কিছু যদি বলি তাহলে কিন্তু তারা সবকিছু করতে রাজি আছে। কেননা ভালোবাসার দ্বারা এই পৃথিবীতে যে কোন কিছু করা অবশ্যই সম্ভব। আর এই অনাদরে বেড়ে ওঠা শিশুগুলোর প্রতি যদি মানুষের পাশাপাশি সরকারও এগিয়ে আসে তাহলে এসব শিশুরা বড় হয়ে কখনো কোনো ধরনের খারাপ কাজের দিকে ঝুঁকে পড়বে না এবং তারা দেশের উন্নতির জন্য সবসময় চেষ্টা করবে। আর এর মাধ্যমে আমাদের দেশ থেকে সন্ত্রাস নামক নামটি চিরতরে মুছে যাবে।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমার সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা পথে-ঘাটে বেড়ে ওঠে। আসলে তাদেরও ভালোভাবে জীবন যাপন করার অধিকার আছে। কিন্তু সেই অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত। তারা হয়তো নিজের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করবে না। কিন্তু তাদের জীবনটা অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়।