গত পর্বে আমরা বিভিন্ন ধরনের প্লানেট সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তবে আজকে মঙ্গল গ্রহ নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। মঙ্গল গ্রহ সৌরজগতের চতুর্থ গ্রহ এবং সর্বশেষ রকি প্ল্যানেট হিসেবে পরিচিত। এর আকার পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক। প্রায় সাত হাজার কিলোমিটার ব্যাস বিশিষ্ট এই গ্রহটিকে অনেকটাই লাল গ্রহ নামে আমরা চিনে থাকি। এই গ্রহ লাল দেখার পিছনে লোহার অক্সাইড এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, তাই আমরা দূর থেকে এই গ্রহকে লাল গ্রহ হিসেবে দেখতে পাই।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞানীরা এই লাল গ্রহ কে নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন এবং একপর্যায়ে গবেষণায় উঠে আছে মঙ্গল গ্রহে দুই প্রান্তে অনেক বরফের টুকরো রয়েছে। যেগুলোকে যদি ভেঙে দেওয়া যায় তাহলে হয়তো মঙ্গল গ্রহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারবে। কারণ মঙ্গল গ্রহে তাপমাত্রা মাইনাস ৬০ ডিগ্রি রুম নিচে চলে যায়।
মঙ্গল গ্রহ অনেকটা পৃথিবীর মতোই আকারে অর্ধেক হলেও এরা বৈশিষ্ট্য অনেকটা পৃথিবীর মতোই। এখানে বিভিন্ন ধরনের অগ্নেয়গিরি রয়েছে, পাহাড়-পর্বত এবং মরুভূমিও রয়েছে। বিজ্ঞানীরা অনেক গবেষণা করে এটাও জানতে পেরেছেন আগে হয়তো মঙ্গল গ্রহে কোন বড় বিশাল সমুদ্র ছিল এবং সেখানে নদীর ধারায় এবং পানির কারণে বিভিন্ন ধরনের ছোটখাট রাস্তাও তৈরি হয়েছে, যে রকমটা নদীর শুকিয়ে গেলে হয়ে যায়।
পৃথিবীর মতো মঙ্গল গ্রহেও বায়ুমণ্ডল রয়েছে, তবে সেটা খুবই পাতলা এবং সেটা কার্বন-ডাই-অক্সাইড দ্বারা গঠিত। আপনারা যেন অবাক হবেন আমাদের সৌরজগতের সব থেকে বড় অগ্নিয়গিরি কিন্তু এই মঙ্গল গ্রহে অবস্থিত এবং মঙ্গল গ্রহেই এই সৌরজগতের সব থেকে উঁচু পর্বত রয়েছে যকে আমরা অলিম্পাস মন্স ও ভ্যালিস ম্যারিনারিস নামে চিনে থাকি।
আমাদের পৃথিবীতে একটি মাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ রয়েছে যার নাম চাঁদ। কিন্তু মঙ্গল গ্রহের দুটি ছোট ছোট উপগ্রহ রয়েছে যাদের নাম যথাক্রমে ফোবোস এবং ডেইমোস। বর্তমানে মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার জন্য আমাদের পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশেই উঠে পড়ে লেগেছে। বিশেষ করে আমেরিকা এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলো। কারণ তারা চায় মঙ্গল গ্রহকে আমাদের নতুন বাসস্থান তৈরি করতে এবং ইতিমধ্যেই এর জন্য ইলন মাস্ক বিভিন্ন ধরনের গবেষণা এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন। তার টার্গেট ২০৫০ সালের মধ্যেই মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপন করবেন। আপনার কি মনে হয় মানব সভ্যতা কি এত উন্নতি হয়েছে যে অন্য গ্রহে গিয়ে বসতি স্থাপন করতে পারবে? আপনার মতামত অবশ্যই মন্তব্যে লিখতে পারেন, ধন্যবাদ।
মঙ্গল গ্রহেও আমাদের পৃথিবীর মতো ফোবোস এবং ডেইমোস দুটি উপগ্রহ আছে বলে জানতে পারলাম। তার থেকেও অবাক হলাম ২০৫০ সালের মধ্যেই মঙ্গল গ্রহে জনবসতি করার কথাটি শুনে। আপনার মতই আমারোও মনে প্রশ্ন তৈরি হলো আসলেই কি এটি সম্ভব? দেখা যাক 2050 সালের মধ্যে এটি সম্ভব হয় কিনা। মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে তথ্য বহুল পোস্ট ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit