আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আচ্ছা আপনারা বলতে পারেন, কোনো দেশ কি করে অনেক বেশি এগিয়ে যায়? এখন একদল বলবে যে শিক্ষার মাধ্যমে। কিন্তু আমি মনে করি এটা পুরোপুরি সঠিক নয়। কারণ এটা ঠিক যেএক্স কলমের যতোটা পাওয়ার রয়েছে। ততোটা পাওয়ার আর কোনো কিছুর ই নেই। অর্থাৎ একটা লেখার যতো শক্তি। ততোটা শক্তি এই পৃথিবীর কোনো কিছুতেই নেই। কিন্তু এটাও মানতে হবে যে, শুধু শিক্ষা দিয়েই কিন্তু এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। শিক্ষার পাশাপাশি সবকিছুর প্রয়োজন হয়,একটা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
এই ব্যাপারগুলো আমি কেনো বললাম এবং এই ব্যাপার গুলোর সাথে আমার টাইটেলের কি সম্পর্ক? এটাই হয়তো অনেকে ভাবছেন। তাহলে চলুন সম্পর্কটা একটু ভালোভাবে বিশ্লেষণ করা যাক। আমার টাইটেলটি হলো, আসলে বর্তমানের কোটা বিরোধী আন্দোলন নিয়ে। অর্থাৎ যারা কোটাবিরোধী আন্দোলনের সাথে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন উনাদের দাবি হলো আমাদের প্রতিটি চাকরি ব্যবস্থায় কিংবা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে অর্থাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোটা তুলে দিতে হবে। এবং এটা হল কোটাবিরোধীদের আন্দোলনের মূল বিষয়। কারণ উনাদের বক্তব্য হলো, অবশ্যই মেধাকে প্রাধান্য দিতে হবে।
এটা আমার মতে, একেবারে যৌক্তিক একটা আন্দোলন। কিন্তু আমরা একটা ব্যাপার অর্থাৎ আমরা মাঝে কিছু মানুষকে একেবারেই নিগ্রহের মধ্যে ফেলে দিচ্ছি এবং ওরা হলো যাদের এতোটা মেধা নেই যে পড়াশোনা করে সরকারি চাকরি পাবে। আবার তাদের কাছে কোটাও নেই। তাহলে আমরা তাদের কথা কেনো ভাবছি না? কারণ রাজ্যের প্রতিটি মানুষ যদি কোনো কোনো কাজে লাগে। তবেই রাজ্যের চাকা দ্রুতগতিতে চলবে। তাছাড়া কিন্তু রাজ্য তার আগের জায়গায় বসে থাকবে কিংবা পিছনের দিকে যেতে থাকবে। যেটা বর্তমানে আমাদের দেশ যাচ্ছে। অর্থাৎ একটি দেশের জনশক্তিকে যদি সেই দেশ কাজে লাগাতে পারে। তাহলে আমি মনে করি সেই দেশ অনেক বেশি দ্রুতই উন্নতি সাধন করতে পারবে।
এবং আমি এটাই দেখি যে, আমাদের দেশে এই ব্যাপারটি নিয়ে একটুও মাথা ঘামানো হয় না। কারণ শুধুমাত্র কিছু মানুষকে নিয়েই মাথা ঘামানো হয় এবং তারাই জীবনে উন্নতি করে, তারাই জীবনে সুখের আলো দেখে। আর মাঝে যারা একটু মিডল প্লাস স্টুডেন্ট রয়েছে। তাদের আজীবন টাই কষ্টে কেটে যায়। স্কুল, কলেজ, ভার্সিটিতে থাকতে রেজাল্ট এর কষ্ট এবং এর পরে চাকরি না পাওয়ার কষ্ট। তাই আমি মনে করি, তাদেরকে যদি কোনো কর্ম ক্ষেত্রের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। তাহলে আমাদের দেশের আয়ের অনেক বড় একটা অংশ ওরা হতে পারবে।