বন্ধুরা আজ আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে ।আজ আমি মূলত বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের আরো একটি পর্ব আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে এসেছি। এর আগে দুটি পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজ মূলত বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের বাটার সেকশনটা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ।মূলত আমি আমার মেয়েকে নিয়ে বাটার শোরুমটায় ঢুকেছিলাম। সেখানে বেশ কিছু সময় আমি ও আমার মেয়ে দুজন মিলে বিভিন্ন সু দেখছিলাম ।বেশ কিছু সময় আমরা দুজন ওখানে কাটিয়েছিলাম ।কেননা মেয়ের বাবা তখন ওখানে ছিল না ।আমরা দুজন একাই ছিলাম। আর বিভিন্ন কালেকশন দেখছিলাম। সে অনুভূতিই এখন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

---

বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে ঘোরাঘুরি ও খাওয়া-দাওয়া পর্ব -৩

---

---

বাটার শোরুম এর ভেতরে ঢুকে আমি মুগ্ধ হয়েছি ।কেননা বাটার শোরুম বাইরে থেকে দেখে বোঝা যায় না ভেতরটা এত চমৎকার সুন্দর করে ডেকোরেশন করা। প্রতিটা পার্ট আলাদা আলাদা ভাবে সুন্দর করে সাজানো যা দেখে যে কেউ খুব সহজে তার কাঙ্ক্ষিত স্যান্ডেল পেয়ে যাবে। মূলত এদের এরিয়াটা বেশ বড় ।যার কারণে আমি মেয়ের জন্য ছোটদের জিনিসপত্র গুলো খুঁজে পাচ্ছিলাম না ।তারপর কাউন্টার এর লোকদের থেকে জেনে বাচ্চাদের সেকশন টায় গেলাম।

---

---

মূলত ঢোকার পরপরই এত চমৎকার ভাবে ভেতরটা সাজানো যে কেউ দেখলে মুগ্ধ হয়ে যাবে। বেশ কিছু আর্টিফিসিয়াল গাছ দিয়ে চমৎকারভাবে সাজানো ।যেখানে দাঁড়িয়ে অনেকেই ফটো সেশন করছিল ।জায়গাটা আসলেই চমৎকার। আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছিল। আমিও মেয়েকে দাঁড় করিয়ে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম। সত্যিই ভীষণ সুন্দর দেখতে জায়গাটা।

---

---

তারপর দুজন মিলে সব জায়গাগুলো ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। আমার নিজের জন্য দেখলাম ।সেখানে বেশ কিছু কালেকশন দেখতে পেলাম ।প্রতিটা জায়গায় যেয়ে ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। নতুন কি পাওয়া যায় সেটা দেখতে লাগলাম ।আসলে বাটার এই শোরুমটায় এসে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।অন্যান্য জায়গা থেকে এদের কালেকশনও মোটামুটি বেশ ভালই দেখলাম।

---

---

মূলত বাটার কালেকশন যত ভালই হোক, আর টেকসই যতই হোক না কেন বাটার ডিজাইনগুলো আমার কাছে কোন কালেই পছন্দ হয় না ।যার কারণে আমি সবসময় নিজের জন্য কোন কিছু কিনতে গেলে বাটা এভোয়েড করি বেশিরভাগ সময়। খুব কমই বাটা থেকে কেনা হয়। এবারও আমার নিজের জন্য কিছুই চয়েজ হলো না ।তাই আর কেনাও হয়ে উঠল না। তারপর আমার মেয়ের জন্য শুধু দেখতে লাগলাম ।সেখানে বেশ চমৎকার কিছু সু দেখতে পেয়েছিলাম ।তবে একটা সু বেশ পছন্দ হয়েছিল সেটা কাউন্টারে নিয়ে দেখালে লোকজন মেয়ের পায়ের মাপ দিয়ে দেখলো এই মাপের সু নেই।

---

---

---

মূলত বাচ্চাদের কোন একটি জিনিস পছন্দ হলে সেটি না নিতে পারলে তাদের আর কিছুই পছন্দ হয় না ।আমার মেয়ের বেলায়ও একই ঘটনা ঘটলো। সু টি তার এত পছন্দ হয়েছিল কিন্তু সেটি তার পায়ের মাপে না হওয়ার কারণে সে আর কোন কিছুই নিতে চাইল না। আরো অন্যগুলো দেখালেও নিতে চাইলো না। বেশ কিছু সময় দেখার পরেও তার কোনটি আর পছন্দ হলো না। যার কারণে তার জন্য আর কেনা হয়ে ওঠেনি। পরবর্তীতে আরেকটি পর্ব আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।