একদিন পদ্মা নদীর পার থেকে ঘুরে আসা পর্ব - ২

in hive-129948 •  17 days ago 

আসসালামু আলাইকুম


আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।




বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।আজ আমি একদিন পদ্মা নদীর পার থেকে ঘুরে আসার অনুভূতি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে এসেছি।এর আগে একটি পর্ব শেয়ার করেছিলাম।আজ দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করব।বিকেল বেলায় নদীর পাড়ে হেঁটে বেড়াতে বেশ ভালই লাগে।নদীর কাছে গেলে এক প্রকার মানসিক শান্তি পাওয়া যায়।তাই মাঝে মাঝে চেষ্টা করি নদীর পাড়ে যেতে।নদীর পাড়ে গেলে একটা সুবিধা হয় বেশ খানিক টা পথ হাটা হয়।এমনিতে বাসা থেকে খুব একটা বের হইনা হাঁটার জন্য। যাই হোক আর কথা না বাড়িয়ে চলে যাচ্ছি মূল পোস্টে।

একদিন পদ্মা নদীর পার থেকে ঘুরে আসা পর্ব - ২


IMG20241105163905.jpg

রিক্সা থেকে নামার পরই পদ্মা নদী।তবে কিছু দিন হয়েছে চর জেগেছে।যার কারণে চরের উপর দিয়ে অনেকটা পথ হাঁটার পর নদীর কিছু অংশ দেখা যায়।অবশেষে হাঁটতে হাঁটতে নদীর পাড়ে যেয়ে পৌছালাম।তারপর কিছুক্ষণ দাড়িয়ে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করলাম।


IMG20241105163849.jpg

IMG20241105164236.jpg

IMG20241105164245.jpg

হাঁটতে হাঁটতে দেখতে পেলাম চরের মধ্যেই কচুরিপানার ফুল।কাছ থেকে কি সুন্দর দেখতে।কিছুদিন আগেও এখানে পানি ছিল যার কারণে পানি শুকিয়ে গেলেও ফুল গুলো শুকনো জায়গায় রয়ে গিয়েছে।আমার মেয়ের কাছে ফুল গুলো বেশ ভালো লেগেছে।তাকে কয়েকটি ফুল তুলে দিলাম।সে হাতে নিয়ে ছবি তুলল।


IMG20241105164105.jpg

পদ্মার পাড়ে অসংখ্য ঝাউ গাছ দেখতে পাওয়া যায়। এই জিনিসটা আমার কাছে বেশ অবাক লাগে। কেননা ঝাও গাছ কিন্তু বেশ ভালই দামের গাছ। এই গাছগুলো এভাবে একা একাই পদ্মার চরে কিভাবে হয় সেটা সত্যি আমার অজানা। চরে অসংখ্য ঝাও গাছ একা একাই জন্মেছে। প্রতিবছরই এরকম নদীর পানি শুকিয়ে গেলে ঝাউ গাছ দেখা যায় ।


IMG20241105163916.jpg

IMG20241105164305.jpg

এভাবে অনেক সময় হাঁটার পর শেষ পর্যন্ত নদীর পাড়ে এসে পৌছালাম। সেখানে দেখতে পেলাম ছেলেরা বর্শী দিয়ে নদীতে মাছ ধরছে। নদীর পাড়ে অসংখ্য চটপটি ফুসকার দোকান গড়ে উঠেছে ।এখানে প্রতিদিনই লোকজনের সমাগম হয়। যার কারণে এই চটপটি ফুচকার দোকানগুলো গড়ে উঠেছে ।তারপর আমরা ওপারে যাবার জন্য নৌকার জন্য অপেক্ষা করলাম।


IMG20241105164314.jpg

IMG20241105164316.jpg

IMG20241105164436.jpg

তারপর কিছু সময় অপেক্ষা করার পর আমরা ইঞ্জিন চালিত নৌকা পেয়ে গেলাম। এখন মূলত সব নৌকাতেই ইঞ্জিন লাগানো রয়েছে। আগের মত সেই হাতে চালানো বৈঠার নৌকা খুব কম দেখা যায় ।ওই নৌকা গুলোতে চড়ার অন্যরকম মজা ছিল। ইঞ্জিন চালিত নৌকায় চড়ে আমার কাছে খুব একটা মজা লাগে না ।শব্দ দূষণ যেটা খুবই বিরক্তিকর লাগে ।যাইহোক লোকজনে ভরপুর হলে নৌকা ছাড়লো ।সবার গন্তব্য নদীর ওপারে যাবার। নদীর ওপারের ফটোগ্রাফি নিয়ে আরেকদিন আপনাদের মাঝে হাজির হবো।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।



আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার:@wahidasuma
ডিভাইস:OPPO Reno8 T

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা আফরোজ সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_vote.png

logo.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

Polish_20241206_233958425.jpg

এই সময়ে বাংলাদেশের প্রায় সব নদীর মধ্যে পানি শুকিয়ে যায় এবং নদীর মধ্যে চর ভেসে ওঠে। আপনি দেখছি পদ্মা নদীর মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে বেশ ভালো সময় উপভোগ করেছেন। আমার ও ইচ্ছা আছে পদ্ধা নদীর মধ্যে ঘুরতে যাওয়া। যাইহোক, বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।

পদ্মা নদীর পাড়ের সুন্দর কিছু ছবি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন দেখছি।। অসাধারণ সুন্দর এখানকার পরিবেশ। পদ্মা নদীর কথা আমরা ছেলেবেলা থেকেই শুনে আসছি। একবার গিয়েছিলাম এই নদীর পাড়ে। অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশ এবং নদীর সৌন্দর্য মুগ্ধ করে সব সময়। আপনার পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।

পদ্মা নদীর পাড়ে গিয়ে দেখছি বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। নদীর পাড়ে ঘুরাঘুরি করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি আজকে আপনার ঘুরাঘুরি করার দ্বিতীয় পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, যে পর্বটা অনেক সুন্দর হয়েছে। ঘুরাঘুরি করার সময় দেখছি আপনি অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন।

পদ্মা নদীর পাড়ে এত ভালো মুহূর্ত কাটালেন দেখেই তো ভালো লাগলো অনেক বেশি। নদীর পাড়ের সৌন্দর্য দেখছি খুবই দারুণ। যেটা আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। এরকম জায়গাগুলোতে ঘুরতে গেলে ভালো মুহূর্ত কাটানো যায়। আর মন মানসিকতা খুব ভালো থাকে। বেশ কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন, যেটা আরো ভালো লেগেছে আমার কাছে।

পদ্মা নদীতে এখনো কোনদিন ঘুরাঘুরি হয়নি।তবে পদ্মা নদীর এতো সুন্দর সুন্দর দৃশ্য গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম আপু।আপনারা সুন্দর মূহুর্ত উপভোগ করছেন সেটা দেখেই বুঝতে পারছি। ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।