বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে ।আজ আমি মূলত দীর্ঘদিন পর ফেরি পথে ঢাকায় আসার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে এসেছি। একটা সময় ছিল যখন ফেরি পথ ছাড়া ঢাকায় যাওয়া আমাদের শহর থেকে একেবারেই অসম্ভব ছিল ।ঢাকায় যেতে হলে ফেরি পথে যেতে হতো। কিন্তু এখন পদ্মা সেতু হওয়াতে ফেরি পথে যাতায়াত একেবারেই প্রায় বন্ধের মতো। পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে সব সময় সেতু পথেই ঢাকা যাওয়া হয়েছে ।কিন্তু এবার রাজনৈতিক কারণে ওপথে জ্যাম হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় ফেরি পথে যাবার সিদ্ধান্ত হলো। দীর্ঘদিন পর ফেরির পথে যেতে বেশ ভালই লাগছিল ।কেননা একটা সময় চলার পর যখন বাসগুলো ফেরীতে ওঠে তখন নদীর সৌন্দর্য দারুন ভাবে উপভোগ করা যায় ।যে বিষয়টা আমার কাছে বেশ ভালো লাগতো ।সে অনুভূতিই এখন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

---

দীর্ঘদিন পর ফেরি পথে ঢাকায় আসা

---

প্রায় ঘন্টা খানেকের পথ অতিক্রম করার পর আমাদের বাস ফেরিঘাটে এসে থামল। এক মিনিটের মধ্যে ফেরিতে উঠে গেল। একটা সময় ছিল বাসগুলো দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ফেরির জন্য অপেক্ষা করত ।আর এখন ফেরি বাসের জন্য অপেক্ষা করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আসলে সবকিছুই পরিবর্তনশীল। তবে দীর্ঘদিন পর ফেরি পথে যেয়ে দেখলাম সেই আগের মতই অবস্থা, কোন উন্নতি হয়নি। রাস্তাঘাটের সেই একই অবস্থা ।যাইহোক ফেরিতে ওঠার পর আমরা বাস থেকে নেমে ফেরির উপরের দিকে উঠলাম ।সকালবেলায় তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে ছিলাম চা খেতে পারিনি তাই চা খাবার জন্য মূলত আমি উপরে উঠলাম।

---

উপরে ওঠার পর দেখলাম সেখানে অনেকেই বসে নাস্তা করছে ।তবে সেখানে কফির ব্যবস্থাও দেখলাম ।তাই আর চা না খেয়ে কফি টাই খেলাম। কফি শেষ করার পর বাইরে দাঁড়িয়ে নদীর চমৎকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলাম। ফেরিতে দোতলায় কিংবা তিনতলায় উঠে এরকম নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে দারুন লাগে। দীর্ঘদিন পর মনে হয় অনেক বেশি ভালো লাগছিল ফেরিতে ওঠার পর ।অধিকাংশ লোকই বাস থেকে নেমে ফেরি তে ঘোরাঘুরি করে।

---

এই বিরতিতে অনেক হকার কে দেখতে পাওয়া যায় । সেতু পথে গেলে সে সুযোগটা একেবারেই নেই। দীর্ঘদিন পর বিভিন্ন ধরনের হকার দেখতে পেলাম ।ঝালমুড়ি মাখা, চানাচুর মাখা, আমরা মাখা, কদবেল মাখা, সিদ্ধ ডিম, পপকর্ন ভাজা, সন পাপড়ি, চকলেট, চিপস, শসা,এগুলো নিয়ে বিভিন্ন হকার্সকে দেখতে পেলাম ।তবে ফেরি পথে সিদ্ধ ডিম খেতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে ।বিট লবণ দিয়ে চমৎকার ভাবে এরা গরম ডিম পরিবেশন করে খেতে বেশ ভালোই লাগে। আমি ও আমার মেয়ে একটা ডিম খেলাম।

---

মূলত ফেরি পার হতে চল্লিশ মিনিটের মত সময় লাগে ।আমরা বাইরে দাঁড়িয়ে বেশিরভাগ সময় কাটালাম ।তারপর ফেরি তীরে ফেরার আগেই আমরা আবার বাসে যেয়ে বসলাম ।ফেরিতে ওঠার পর বাসে বসতে খুব একটা ভালো লাগে না। যদিও জানালার ধারে বসে ছিলাম সেখান থেকেও নদী পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। তাই খুব একটা খারাপ লাগেনি ।কিন্তু বাসের পাশে অন্য বাস থাকলে নদীর সৌন্দর্য দেখা যায় না সে বিষয়টা খুব একটা ভালো লাগে না।

---

আরো কিছু সময় পর আমাদের বাস ফেরি থেকে নেমে পরল। তারপর চলতে লাগল দীর্ঘসময়ের যাত্রা ।আসলে অনেকদিন পর ফেরি পথে এসে ভিন্ন রকমের ভালোলাগা ছিল। তবে সময়টা অনেক বেশি লেগেছিল। যেখানে আড়াই ঘণ্টায় ঢাকা চলে আসি সেখানে পাঁচ ঘন্টা সময় লেগেছিল। তাই ও পথে দ্বিতীয় বার আর যাবার ইচ্ছে নেই ।হয়তো এটাই ফেরি পথে শেষ যাত্রা হতে পারে। আবার নাও হতে পারে ।কেননা কোন কিছুই মানুষের হাতে নয়। সবকিছুই প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল ।যাই হোক আশা করছি আপনাদের কাছে আমার আজকের লেখাটা ভালো লেগেছে।

---

---

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার:	@wahidasuma
ডিভাইস:	OPPO Reno8 T

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা আফরোজ সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

VOTE@bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy