বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে ।আজ আমি মূলত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।আমার মাঝে মাঝে ভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে লিখতে বেশ ভালোই লাগে ।যদিও সব সময় লেখার সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না। তারপরেও যখন সময় পাই তখন চেষ্টা করি ভিন্ন কোনো বিষয় নিয়ে লেখার জন্য ।যেটা আমাদের জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ আমার লেখার বিষয় হচ্ছে জীবনকে উপভোগ করতে শেখো দেখবে জীবন সুন্দর হবে। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার লেখাটি ভালো লাগবে।

---

জীবন কে উপভোগ করতে শেখো দেখবে জীবন সুন্দর হবে।

---

প্রতিটা মানুষের জীবনে সফলতার প্রয়োজন রয়েছে ।কিন্তু সেই সফলতার পেছনে ছুটতে ছুটতে মানুষ ভুলেই যায় সে জীবনটাকে সুন্দরভাবে উপভোগই করছে না। শুধুমাত্র জীবনে সফল হওয়াই মানুষের জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত নয় ।সেই সঙ্গে জীবনটাকে উপভোগ করাও উচিত ।কেননা আমাদের জীবন খুবই ক্ষণস্থায়ী । এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে যেমনি টাকার প্রয়োজন রয়েছে তেমনি প্রয়োজন রয়েছে জীবনটাকে উপভোগ করার। কেননা জীবনটাকে যদি উপভোগই করতে না পারলাম তাহলে এ জীবনের সার্থকতা কি ?

---

শুধুমাত্র টাকার পেছনে ছুটে ছুটে একটা সময় দেখা যায় পাহাড় সমান টাকা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই টাকা খরচ করার মতো শারীরিক অবস্থা তার নেই। ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা পরে থাকবে কিন্তু আমাদের জীবন থেকে বিদায় নেওয়ার সময় হয়ে যাবে। এরকম টাকা থেকে কি লাভ? যেখানে জীবনের কিছুই দেখা হলো না, কিছুই উপভোগ করা হলো না ।তাই আমাদেরকে প্রথমে জীবনটাকে উপভোগ করতে শিখতে হবে। আর অল্প কিছুতে সন্তুষ্ট হওয়ার মন-মানসিকতা তৈরি করতে হবে ।কেননা আমাদের মন-মানসিকতা এতটাই নিম্ন যে আমরা যেটুকু কল্পনাও করি না, সেটুকু পেয়ে গেলেও তাতে সন্তুষ্ট হই না ।আমরা আরো বেশি কিছু পেতে চাই। এই চাওয়ার প্রবণতা থেকেই আমরা টাকার পিছনে ছুটতে থাকি।

---

কিন্তু এই টাকার পেছনে অতিরিক্ত না ছুটে আমরা যদি অল্পতেই সন্তুষ্ট হয়ে জীবনটাকে উপভোগ করি তাহলে জীবনটা অনেক বেশি সুখকর হয়ে উঠবে । শারীরিক এবং মানসিক প্রশান্তি জীবনের আয়ু বৃদ্ধি করবে ।শরীরে আমাদের কোন সমস্যা না থাকলেও কিন্তু আমাদের উচিত নিয়মিত চেকআপ করা যাতে শরীরে কোন ব্যাধি ছোট থেকে বড় আকার ধারন করতে না পারে। সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত।যাতে করে সবার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকে।মনের মধ্যে কোন রাগ ঘৃণা রাখা উচিত নয়।মনে রাখতে হবে ক্ষণস্থায়ী জীবন।এত দুশ্চিন্তা করে কি লাভ?

মনের মধ্যে কোন রাগ, ঘৃণা ,ক্ষোভ, দুশ্চিন্তা না থাকলে সেই মানুষটি হতে পারে পুরোপুরি সুখী একজন মানুষ ।কারো প্রতি কোনোরকম ঘৃনা না থাকলে অন্যদের নিয়ে চিন্তা করার সময় তার থাকবে না ।সে সব সময় একজন সুখী মানুষ হিসেবে থাকবে ।এছাড়া তাকেও সবাই ভালবাসবে। সবার সঙ্গে সে সুন্দর সময় কাটাতে পারবে , অর্থাৎ জীবনটাকে উপভোগ করতে পারবে। মাঝে মাঝে আমাদের উচিত পুরনো ছেলেবেলার বন্ধু গুলোকে খুঁজে বের করা ।যাদের সঙ্গে একটা সময় আনন্দমুখর সময় কাটিয়েছি। তাদের সঙ্গে আবার নতুন করে কিছুটা সময় কাটালে দেখা যায় যে জীবনের মধ্যে অন্যরকম পরিবর্তন ভালোলাগার সৃষ্টি হয়। মনে হয় যেন সেই পুরনো দিনগুলোতে ফিরে গিয়েছি। বয়স যেন অনেকটা কমে আসে। সব সময় জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করলে বেশ ভালো থাকা যায়।

---

মাঝে মাঝে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করলে মন মানসিকতা ভালো হয়, মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। জীবনে যেমন টাকার প্রয়োজন আছে, তেমনি এগুলোর প্রয়োজনও অনস্বীকার্য । মোটকথা জীবনকে উপভোগ করাই আমাদের জীবনের প্রধান ব্রত হওয়া উচিত। তাহলে হয়তো দীর্ঘ আয়ু লাভ করা সম্ভব।দুশ্চিন্তা বিহীন জীবন যাপনে যে সুখ তা আর কিছুতে আছে বলে মনে হয় না।

---

মাঝে মাঝে প্রিয়জনের হাতটি ধরে কিছুটা সময় কাটানোর মাঝেও কিন্তু দারুণভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায়। সেই সময়টাই বা কজনে করে উঠতে পারে। সবাই তো ব্যস্ত সময় পার করে। একটা সময় যখন জীবনের হিসাব মেলাতে যায় তখন সবকিছু গরমিল হয়ে যায় । তখন দেখে অনেক সময় পেরিয়ে গিয়েছে জীবনটাকে উপভোগ করার সময়ই তো হলো না । যাইহোক সেই আফসোস না করে আমাদের এখনই জীবনকে উপভোগ করতে হবে। তবেই জীবনটা অনেক বেশি সুখী ও সমৃদ্ধশালী হবে।

---

---

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার:	@wahidasuma
ডিভাইস:	OPPO Reno8 T

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা আফরোজ সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

VOTE@bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy